Type to search

খেলাধুলা

নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ : ফিরছেন বিশ্বসেরা সাকিব

জুয়াড়ির অনৈতিক প্রস্তাবে তিনি রাজি হননি, ফিক্সিংয়ের সঙ্গে জড়াননি নিজেকে। কিন্তু বারবার প্রস্তাব পাওয়ার পরও আইসিসি কিংবা সংশ্লিষ্ট কাউকে সে বিষয়ে অবহিত করেননি সাকিব আল হাসান।

সেটাই ছিল তার অপরাধ, যে অপরাধে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন সময়ের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডার। এর মধ্যে এক বছরের স্থগিত নিষেধাজ্ঞা থাকায় সব মিলে এক বছরই সব ধরনের ক্রিকেটীয় কর্মকাণ্ডের বাইরে থাকতে হচ্ছে তাকে। তবে সাকিবকে আর বাইরে থাকতে হবে না, কালই যে ফুরোচ্ছে তার নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ।

গত বছরের অক্টোবরে বাংলাদেশের ক্রিকেট ছিল উত্তাল। বিশ্বকাপে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য না পাওয়ার পর শ্রীলঙ্কা সফরে ভরাডুবি ক্রিকেটারদের ফেলেছিল সমালোচনার মুখে। এরপর হঠাৎ করে এই অক্টোবরেই ১৩ দফা দাবিতে আন্দোলনে নামেন দেশের শীর্ষ ক্রিকেটাররা। জাতীয় ক্রিকেট লিগ চলাকালেই বয়কট করেন সব ধরনের ক্রিকেট।

ওই আন্দোলনে নেতা ছিলেন সাকিব। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সাকিবদের সঙ্গে বৈঠক করে দাবি-দাওয়া মেনে নেওয়ার ঘোষণা দেয়। এরপর ক্রিকেটাররাও ধর্মঘট প্রত্যাহার করেন, ফেরেন ক্রিকেটে।

এরপর বাজ পড়ার মতো খবর এলো। যে সাকিব বিশ্বকাপ মাতিয়ে এসেছেন ব্যাট-বলে, দলের সঙ্গে ভারত সফরে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছিলেন, কদিনের ব্যবধানে সেই সাকিবই এক বছরের জন্য হারিয়ে গেলেন বাংলাদেশের ক্রিকেট থেকে!

জুয়াড়ির প্রস্তাব গোপন করার অপরাধে গত বছরের ২৯ অক্টোবর তারকা এই অলরাউন্ডারকে নিষিদ্ধ করে আইসিসি। বছর ঘুরে আরেকটি ২৯ অক্টোবর এলো বলে। আজ ২৮ অক্টোবর, সাকিবের নিষেধাজ্ঞার শেষ দিন। আগামীকাল থেকেই সাকিব মুক্ত, অংশ নিতে পারবেন সব ধরনের ক্রিকেটীয় কর্মকাণ্ডে।

নিজের দোষ স্বীকার করে নিয়েছিলেন সাকিব, আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী ইউনিটকে সব ধরনের তথ্য দিয়ে করেছিলেন সহযোগিতা। যে কারণে শাস্তিটা বড় হয়নি। এক বছর নিষেধাজ্ঞার শাস্তি ভোগ করেই পার পেয়ে যাচ্ছেন। তবে ভবিষ্যতে যদি আবার তিনি এমন কোনো কাণ্ড ঘটান, তখন স্থগিত থাকা আরও এক বছরের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে। তবে সাকিবের মতো স্মার্ট ক্রিকেটার একই ভুল বারবার করবেন, এমনটা ভাবার সুযোগ নেই। তা ছাড়া ন্যাড়া তো আর বারবার বেলতলায় যায় না!

আইসিসির নিষেধাজ্ঞার শাস্তি খোলা মনেই মেনে নিয়েছিলেন সাকিব। শাস্তির বিরুদ্ধে আপিল করেননি। এরপর গত এক বছর ক্রিকেট থেকে সম্পূর্ণই দূরে ছিলেন তিনি। অধিকাংশ সময়টা তিনি কাটিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে পরিবারের সান্নিধ্যে। এরই মধ্যে দ্বিতীয় কন্যাসন্তানের বাবা হয়েছেন। মাঝে সেপ্টেম্বরে ঢাকা ফিরেছিলেন ব্যক্তিগত অনুশীলনের জন্য। বিকেএসপিতে লোকচক্ষুর অন্তরালে অনুশীলন চালিয়েছেন বেশ কিছুদিন। যাতে নতুন করে আইসিসির কোনো ঝামেলায় না পড়েন।

Translate »