সার্বিয়াকে ২-০ গোলে হারিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করলো ফেভারিট ব্রাজিল
ম্যাচের তৃতীয় মিনিটে নিজেদের প্রান্ত থেকে গুছিয়ে আক্রমণ করে ব্রাজিল। ডান প্রান্ত থেকে বল নিয়ে সার্বিয়ার ডি বক্সে ঢুকে যায় রাফিনহা। সেখান থেকে বাড়ানো বল সার্বিয়ার ডিফেন্ডারদের গায়ে লেগে প্রতিহত হয়। ম্যাচের ৫ মিনিটে মাঝমাঠে নেইমারকে ফাউল করার কারণে হলুদ কার্ড দেখেন স্ট্রাহিনা প্যাভলোভিচ। ম্যাচের দশম মিনিটে ডি বক্সে বল পান নেইমার। কিন্তু গোলমুখে শট করতে পারেননি তিনি।
বিরতি থেকেই ৪৬ মিনিটে গোলের সহজ সুযোগ নষ্ট করে ব্রাজিল। গোলরক্ষককে এক পেয়েও বল জালে জড়াতে ব্যর্থ রাফিনহা। ম্যাচের ৪৯ মিনিটে ডি বক্সের বাইরে নেইমারকে ফাউল করে সার্বিয়ার ডিফেন্ডার। নেইমারের নেওয়া ফ্রি কিক সার্বিয়ার ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে প্রতিহিত হয়। ম্যাচের ৫২ মিনিটে মাঝমাঠ থেকে বল নিয়ে যায় ভিনিসিয়াস। তবে ফিনিশিং ব্যর্থতায় গোল বঞ্চিত হয় ব্রাজিল। ম্যাচের ৫৫ মিনিটে বাম প্রান্ত ধরে বল নিয়ে ক্রস করে ভিনিসিয়াস। ডি বক্সের ভেতরে বল পেয়েও তা জালে জরাতে ব্যর্থ হয় নেইমার।
তবে ম্যাচের ৬২ মিনিটে অবশেষে গোলের দেখা পায় ব্রাজিল। বাম প্রান্ত থেকে শট করেন ভিনিসিয়াস। সেই শট সার্ভিয়ার গোলরক্ষকের হাতে লেগে বল যায় ডি বক্সে দাঁড়িয়ে থাকা রিচার্লিসন। সেখান থেকে শট করে বল জালে জড়ান তিনি। এতে ম্যাচে প্রথম গোলের দেখা পায় ব্রাজিল। ম্যাচের ৬৭ মিনিটে কাউন্টার অ্যাটাকে আবারও গোলের সুযোগ পায় ব্রাজিল। তবে ডি বক্সে বল নিয়ে গিয়ে শট করতে ব্যর্থ হয় ভিনিসিয়াস।
ম্যাচের ৭৮ মিনিটে রিচার্লিসনকে উঠিয়ে জেসুসকে নামান ব্রাজিলের কোচ তিতে। সেইসঙ্গে নেইমারকেও তুলে নেন তিনি। নেইমারের পরিবর্তে মাঠে নামেন অ্যান্টোনি। ম্যাচের ৮১ মিনিটে ডি বক্সের বাইরে থেকে ক্যাসেমিরোর নেওয়া শট ক্রসবারের লেগে ফিরে এলে গোল বঞ্চিত হয় ব্রাজিল।
ম্যাচের ৮৫ মিনিটে সাজানো আক্রমণ থেকে ডি বক্সের বাইরে থেকে শট করেন রদ্রিগেজ। তবে তা চলে যায় ক্রসবারের ওপর দিয়ে। ম্যাচের ৮৯ মিনিটে বাম প্রান্ত ধরে আক্রমণ সাজায় ব্রাজিল। সেখান থেকে ডানিলোর ক্রস থেকে মার্টিনেল্লির হেড চলে যায় গোলপোস্টের বাইর দিয়ে। এরপর আর কোন গোল না হলে ২-০ গোল জিতে মাঠ ছাড়ে তিতের শীর্ষরা।
এবিসিবি/এমআই