রাজনীতিতে আসবেন-তামিমের প্রশ্নে আফ্রিদি শোনালেন নিষ্ঠুর বাস্তবতা
উপমহাদেশে তারকা ক্রিকেটারদের রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়ার উদাহরণ কম নয়। পাকিস্তানের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ইমরান খান তো পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীও হয়েছেন। সে হিসেবে রাজনীতির প্রতি ঝোঁক আছে অনেকেরই। কিংবদন্তি শহিদ আফ্রিদিরও তেমন ইচ্ছে আছে নাকি; জানতে চেয়েছেন বাংলাদেশে সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল। যার উত্তরে অবশ্য রসিকতা করতে ছাড়েননি আফ্রিদি।
চলছে বিপিএলের ১১তম আসর। যেখানে শহিদ আফ্রিদি এসেছেন চিটাগং কিংসের মেন্টর হয়ে। চিটাগংয়ের ডাগআউটে নিয়মিতই দেখা যাচ্ছে তাকে। তবে এবার নিজ দল ছেড়ে ফরচুন বরিশাল অধিনায়ক তামিম ইকবালের নিয়ন্ত্রণে দলটির হোটেলে গিয়েছিলেন তিনি।
সেখানে গিয়ে মেয়ের জামাতা শাহীন শাহ আফ্রিদি, আফগানিস্তানের তারকা অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নবী ও পাকিস্তানি আলরাউন্ডার ফাহিম আশরাফের সঙ্গে দেখা করে এসেছেন। এসময় রুমে আড্ডা দিয়ে সবাইকে একসঙ্গে খেতেও দেখা গেছে। যা শহীদ আফ্রিদির ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা গেছে।
সেই আড্ডায় টেবিলের এক কোনে বসে থাকা তামিম হঠাৎ আফ্রিদিকে প্রশ্ন করে বসেন- ‘রাজনীতিতে আসবেন নাকি শহিদ ভাই। যার উত্তরে আফ্রিদির জবাব- তোমাদের অবস্থা দেখে আর ইচ্ছে নেই।’ আফ্রিদির এমন উত্তরে তখন অট্টহাসিতে ভেঙে পড়তে দেখা গেছে সবাইকে।
আফ্রিদির এমন উত্তরটা যে ক্রিকেটারদের রাজনীতিতে আসা নিয়ে তার দেখা বাজে অভিজ্ঞতার আলোকে সেটা বলায় যায়। কেননা, রাজনীতিতে জড়িয়ে ইমরান খান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হলেও তার বর্তমান ঠিকানা জেল। অন্যদিকে বাংলাদেশের সাবেক দুই অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা ও সাকিব আল হাসানের পরিণতিও অনেকটা একই রকম। দু’জনই এখন আত্মগোপনে।
সাকিব দেশে ফিরতে চেয়েও পারছেন না। যে কারণে অবসর বলার আগেই এক রকম ক্যারিয়ারের ইতি ঘটে গেছে তার। আর মাশরাফি তো বিপিএলেও খেলতে পারছেন না। এমন কি কোথায় আছেন তিনি সেটাও জানা যাচ্ছে না। দেশে দু’জনের নামেই হয়েছে বেশ কিছু মামলা। তারকা ক্রিকেটারদের এমন রাজনৈতিক পরিহাস দেখার পর আফ্রিদির এমন উত্তর তাই যথার্থই বলা চলে।
-যুগান্তর