Type to search

খেলাধুলা

বাটলারের ব্যাটিং তান্ডবে উড়ে গেলো অস্ট্রেলিয়া

অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হওয়া মানেই টানটান উত্তেজনায় ভরপুর। কিন্তু দুবাইতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ছেলেখেলা করলো ইংলিশরা। একপেশে ম্যাচে অজিদের ৮ উইকেটে হারিয়ে সেমিফাইনালের দিকে আরো এগিয়ে গেল ইংল্যান্ড। শুরুতে ব্যাট করে ক্রিস জর্ডান-ক্রিস ওকসদের বোলিং তোপে মাত্র ১২৫ রানেই গুটিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। জবাবে বাটলারের ৭১ রানের অপরাজিত তাণ্ডবে দাপট দেখিয়ে জিতলো ইংল্যান্ড। দুর্দান্ত এই জয়ে গ্রুপের শীর্ষস্থান পাকা করলো ইংলিশরা।

১২৫ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে দুর্দান্ত শুরু পায় ইংলিশরা। ২০ বলে ২২ রান করে জাম্পার বলে এলবি হয়ে জেসন রয় ফিরলে বেশি সময় থাকতে পারেননি ডেভিড মালানও (৮ রান)। কিন্তু একপাশ আগলে অজি পেসারদের তুলোধুনো করেন বাটলার। শেষ ৬ ওভারে ওভারপ্রতি ১০ রানের বেশি করে তুলেন বাটলার-বেয়ারস্টো। চলমান বিশ্বকাপে দ্রুততম ফিফটি গড়ার পথে ৩২ বলে ৫ চার আর বিশাল ৫ ছক্কায় ৭১ রানের ইনিংস গড়েন জশ বাটলার। ১১ বলে ১৬ রান করে অপরাজিত থাকেন জনি বেয়ারস্টোও।

দুই মাস পর শুরু হতে যাচ্ছে ঐতিহাসিক অ্যাশেজ। তার আগে আজ দুবাইয়ে বিশ্বকাপের মঞ্চে সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে মুখোমুখি দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া। যে জিতবে সেই সেমিফাইনালের পথে অনেকটা এগিয়ে যাবে। দু’দলই দুটি করে ম্যাচ খেলে দুটিতেই জয় পেয়েছে। টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১২৫ রান তুলতেই সবকটি উইকেট হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। জিততে ইংল্যান্ডের চাই ১২৬ রান।

টস হেরে ব্যাট করতে নেমেই ওয়ার্নারকে সাজঘরে পাঠালেন ওকস। বাটলারের তালুবন্দী হওয়ার আগে ২ বলে ১ রান করেন ওয়ার্নার। পরের ওভারের প্রথম বলেই জর্ডানের বলে ওকসের হাতে ধরা পড়েন স্টিভ স্মিথ। ৫ বলে ১ রান করে ক্রিজ ছাড়েন তিনি। দলীয় ১৫ রানে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে হারালো অস্ট্রেলিয়া। ক্রিস ওকসের বলে এলবিডব্লিউয়ের শিকার হন তিনি। ৯ বলে ৬ রান করেন ম্যাক্সওয়েল। পাওয়ারপ্লের ৬ ওভারে বিবর্ণ অস্ট্রেলিয়া। ৩ উইকেট হারিয়ে প্রথম পাওয়ারপ্লেতে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ মাত্র ২১ রান।

সপ্তম ওভারের প্রথম বলে আদিল রশিদের বলে এলবিডব্লিউ হন মার্কাস স্টোনিস। ৪ বলে খেলেও খাতা খুলতে পারেননি তিনি। দলীয় ৫১ রানে দলের পঞ্চম উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। লিভিংস্টোনের বলে জেসন রয়ের হাতে ধরা পড়েন ম্যাথু ওয়েড। ২ বাউন্ডারির সাহায্যে ১৮ বলে ১৮ রান করেন তিনি।

১৭তম ওভারে ক্রিস ওকসের বলে জোড়া ছক্কা হাঁকান অ্যাস্টন অ্যাগার। ওভারে মোট ২০ রান ওঠে। পরের ওভারেই অ্যাস্টনকে ফেরালেন টাইমাল মিলস। ২ ছক্কার সাহায্যে ২০ বলে ২০ রান করে লিভিংস্টোনের হাতে ধরা পড়েন অ্যাগার।

দলীয় ১১০ রানে জর্ডানের বলে বেয়ারস্টোর হাতে ধরা পড়েন ফিঞ্চ। ৪টি বাউন্ডারি মেরে ৪৯ বলে ৪৪ রান করে মাঠ ছাড়েন অজি অধিনায়ক। পরের বলেই প্যাট কামিন্সের স্ট্যাম্প উড়িয়ে দেন জর্ডান।

শেষ ওভারের চতুর্থ বলে রান আউটে কাটা পড়েন অ্যাডাম জাম্পা(১)।  শেষ বলে ব্যক্তিগত ১৩ রানে মিলসের শিকার হন স্টার্ক। শুন্যরানে অপরাজিত থাকেন হ্যাজলউড।

ইংল্যান্ডের হয়ে ৩ উইকেট লুফে নেন ক্রিস জর্ডান। দুইটি করে উইকেট শিকার করেছেন ক্রিস ওকস ও টাইমাল মিলস। আদিল রশিদ ও লিভিংস্টোন নিয়েছেন একটি করে উইকেট।

অস্ট্রেলিয়া একাদশ:

ডেভিড ওয়ার্নার, অ্যারন ফিঞ্চ (অধিনায়ক), স্টিভেন স্মিথ, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, মার্কাস স্টয়নিস, ম্যাথিউ ওয়েড, অ্যাশটন অ্যাগার, প্যাট কামিন্স, মিচেল স্টার্ক, অ্যাডাম জাম্পা, জশ হ্যাজলেউড।

ইংল্যান্ড একাদশ:

জেসন রয়, জস বাটলার, ডেভিড মালান, জনি বেয়ারস্টো, ইয়ন মরগ্যান, লিয়াম লিভিংস্টোন, মঈন আলি, ক্রিস ওকস, ক্রিস জর্ডান, আদিল রশিদ, টাইমল মিলস।

এবিসিবি/এমআই

Translate »