Type to search

খেলাধুলা

‘বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিততে পারে’

২০২৩ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স ছিল হতাশাজনক। এরপর গেল বছরও দলটা ভালো পারফর্ম করতে পারেনি। এরই মধ্যে ওয়ানডে ফরম্যাটের আরও একটা টুর্নামেন্টে মাঠে নামতে যাচ্ছে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর দল। এই দলটাই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিততে পারে, বাংলাদেশের পাঁড় ভক্তও নিশ্চয়ই এমন আশা করেন না।

সে দলটার ওপর ভরসা রাখতে চাইছেন কোচ ফিল সিমন্স। তার অভিমত, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে ওঠা তো বটেই, শিরোপা জেতার রসদও বাংলাদেশ দলের আছে।

২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে মাশরাফি বিন মুর্তজার নেতৃত্বে সেমিফাইনাল খেলার সেরা সাফল্যের পর এবার বাংলাদেশ আরও এগিয়ে যেতে চায়। প্রস্তুতি ক্যাম্পের তৃতীয় দিনে সিমন্স তার দলের প্রতি পূর্ণ আস্থা প্রকাশ করেছেন।

তিনি স্পষ্টভাবে বলেন, ‘আমি যদি বিশ্বাস না করতাম, তাহলে এখানে থাকতাম না। আমার মনে হয়, কোনো টুর্নামেন্টে গেলে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়ে যেতে হয় এবং ম্যাচের দিনে সেরা ক্রিকেট খেলতে হয়। আমি এটাকেই গুরুত্ব দেই এবং প্রতিবার দলকে এই মানসিকতা নিয়ে খেলতে বলি।’

তার আত্মবিশ্বাসের অন্যতম কারণ হলো বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর। যদিও সেখানে ওয়ানডে সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে হেরেছিল দল, তবে ৩-০ ব্যবধানে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছিল এবং টেস্ট সিরিজেও একটি ম্যাচ জিতেছিল।

সিমন্স দলের উন্নতি সম্পর্কে বলেন, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের পারফরম্যান্স বিবেচনা করলে আমি বলব, আমরা উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছি। অবশ্যই সফরের কিছু দিক আমাদের পক্ষে যায়নি, তবে আমি বিশ্বাস করি, যদি আমরা নিজেদের সেরা খেলাটা খেলতে পারি, তাহলে আমাদের খুব ভালো সুযোগ রয়েছে।’

তবে কোচ স্বীকার করেন যে দলটির প্রস্তুতি আদর্শ নয়। ৪০ দিনের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) মৌসুম শেষে খেলোয়াড়দের দ্রুতই ৫০ ওভারের ক্রিকেটে মানিয়ে নিতে হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি স্বীকার করেন, ‘আমি আপনার সঙ্গে একমত—এটি আদর্শ প্রস্তুতি নয়।’

তবে সিমন্স আত্মবিশ্বাসী যে দল দ্রুতই মানিয়ে নিতে পারবে। তিনি বলেন, ‘দুই দিনের অনুশীলনে বিপিএল নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। খেলোয়াড়রা দীর্ঘ সময় ব্যাটিং এবং ওয়ানডে ফরম্যাটের জন্য সঠিক লাইন-লেংথে বোলিংয়ের ওপরই মনোযোগ দিয়েছে। আমি মনে করি না যে বিপিএলের মানসিক ক্লান্তি তাদের কোনো প্রভাব ফেলবে।’

-যুগান্তর

Translate »