প্যারিসে দ্বিতীয় স্বর্ণ জিতলেন বাইলস
ইতিহাস গড়তে বেশ সময়ই লাগল সিমোন বাইলসের। প্যারিস অলিম্পিকে দ্বিতীয় স্বর্ণ জিতলেন তিনি। অলিম্পিক ক্যারিয়ারে জিতলেন ষষ্ঠ স্বর্ণ। অলিম্পিক অলরাউন্ড জিমন্যাস্টিকসে জিতলেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় স্বর্ণ। বিশ্বের মাত্র তৃতীয় জিমন্যাস্ট হিসেবে এই কীর্তি গড়লেন তিনি। যদিও সময় লেগে গেল।
রিও অলিম্পিকে ১৯ বছরের সিমোন বাইলস চারটি স্বর্ণ জিতে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন। টোকিও অলিম্পিকে অনুমিতভাবেই তার প্রতি অনেক প্রত্যাশা ছিল দেশের ও ভক্তদের। কিন্তু মানসিক স্বাস্থ্যের কারণে আসর থেকে শেষ পর্যন্ত নাম প্রত্যাহার করে নেন তিনি। না হলে, ওই আসরেই হয়তো আরও এক হালি স্বর্ণ জিতে ফেলতেন। হয়তো অলরাউন্ড জিমন্যাস্টিসকের স্বর্ণেও দ্বিতীয়বার চুমু খাওয়া হয়ে যেত।
কিন্তু তার অলিম্পিকে প্রথমের পর দ্বিতীয়বার অলরাউন্ডে স্বর্ণ জিততে লেগে গেল ৮ বছর। এর আগে সোভিয়েত ইউনিয়নের লারিসা লাতিনিনা অলরাউন্ডে ১৯৫৬ ও ১৯৬০ আসরে স্বর্ণ জেতেন। চেকো স্লোভাকিয়ার ভেরা চাসলাভাস্কা ১৯৬৪ ও ১৯৬৮ আসরে ওই ইভেন্ট সেরা সাফল্য পান। ৫৬ বছর পর তাদের পাশে নাম তুললেন বাইলস।
অলিম্পিক জিমন্যাস্টিকসের অলরাউন্ড ইভেন্টে রৌপ্য জিতেছেন ব্রাজিলের রেবেকা আন্দ্রাদে এবং ব্রোঞ্জ জিতেছেন বাইলসের যুক্তরাষ্ট্রের সতীর্থ সুনিসা লি। টোকিও তিনি এই আসরে স্বর্ণ পেয়েছিলেন। বাইলসের মতো সুনিসার ব্রোঞ্জও কম গৌরবের নয়। গত দু’বছর ধরে নানা কিডনি জটিলতার সঙ্গে লড়াই করেছেন তিনি।
স্বর্ণ জয়ী বাইলস বলেন, ‘বিশ্বাসই হচ্ছে না, আমি এটা জিততে পেরেছি। এখন এটা নিয়ে তেমন কোন অনুভূতি হচ্ছে না, তবে অলিম্পিক ভিলেজে (রুমে) যাওয়ার পর নিশ্চয় এটার গুরুত্ব বুঝতে পারবো। আমি কেবল বলতে পারি, আজকের পারফরম্যান্সে খুশি। আমার সামনে এখনও তিনটা ফাইনাল বাকি। এখন একটু আনন্দ করার সময়।’
বাইলস দ্বিতীয় বয়স্ক নারী হিসেবে অলরাউন্ড জিমন্যাস্টিকসে স্বর্ণ জিতেছেন। তার আগে ১৯৫২ সালে ৩০ বছর বয়সে স্বর্ণ জিতেছিলেন সোভিয়েতের মারিয়া। এছাড়া এই ইভেন্টে স্বর্ণটা নিজেদের সম্পতিও বানিয়ে ফেলেছে মার্কিনরা। ২০০৪ সাল থেকে প্যারিসের ২০২৪ পর্যন্ত টানা ছয় আসরে এই ইভেন্টে স্বর্ণ জিতেছে যুক্তরাষ্ট্র।
এবিসিবি/এমআই