Type to search

খেলাধুলা

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ-২০২১ ফাইনাল আজ

একে একে কেটে গেল ৪০টি বছর। কিন্তু নকআউট পর্বে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডের পরিণতির আর পরিবর্তন হলো না। ১৯৮১ সালে বেনসন অ্যান্ড হেজেস ওয়ার্ল্ড সিরিজ কাপের প্রথম ফাইনালে অজিদের ৭৮ রানে হারিয়েছিল কিউইরা। সেবারই শেষ, এরপর নকআউটে ১৬ ম্যাচ খেলে একটিতেও জিততে পারেনি নিউজিল্যান্ড।

আজ রবিবার (১৪ নভেম্বর) কেন উইলিয়ামসনের দল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে পারবে কি ভাগ্য পরিবর্তন করতে? না কি ধারা বজায় রাখবে অস্ট্রেলিয়া? সেজন্য লক্ষ্য রাখতে হবে কিছু কৌশলগত দিকে। যা তুলে ধরেছে ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফো-

১৮০ রানই যথেষ্ট?

সাদা বলে গত চার বিশ্বকাপে শিরোপা জিতেছে ফাইনালে পরে ব্যাট করা দল। এই বিশ্বকাপও যেন একই ইঙ্গিত দিচ্ছে। সেমিফাইনালে ম্যাচ জিতেছে পরে ব্যাট করা দলই, তাও এক ওভার হাতে রেখে। দুবাইয়ে এই বিশ্বকাপে ১২ ম্যাচের ১১টাতেই জিতেছে পরে ব্যাট করা দল। তাহলে কী আগে ব্যাট করা দলের জন্য জয়ের রাস্তা নেই?

aus vs nz2কার হাতে যাবে শিরোপা, রবিবার জানা যাবে

আছে, অবশ্যই আছে। সেজন্য স্কোরবোর্ডে জমা করতে হবে ১৮০ রানের বেশি। ২০১৮ সাল থেকে  দুবাইয়ে ২০ বার আগে ব্যাট করা দল ১৮০ বা তার বেশি রান তুলেছে। এর মধ্যে ১৯ বারই জয়ের দেখা পেয়েছে তারা। আর এক ম্যাচ ছিল ফল শূন্য। তাই আগে ব্যাট করা দলের লক্ষ্যটা কী সেটা নিশ্চয়ই আর বলে দিতে হবে না।

স্পিনের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার যুদ্ধ

গত বছরের শুরু থেকে টি-টোয়েন্টিতে লেগ স্পিনের বিপক্ষে ১৪ গড়ে রান তুলেছে অস্ট্রেলিয়া। স্ট্রাইকরেটেও নমনীয়তা ১২২.০৮। সেমিফাইনালে শাদাব খান বেশ ভুগিয়েছে তাদের। চার উইকেট নিয়ে ম্যাচের মোড়ই প্রায় ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন এই স্পিনার। তাই ফাইনালে ইশ সোধিকে বেশ সামলে খেলতে হবে। অজিদের বিপক্ষে ৯ ম্যাচে ১৬ উইকেট নিয়েছেন এই লেগ স্পিনার।

aus vs nz3দুই অধিনায়ক

তিনবার করে শিকার করেছেন অ্যারন ফিঞ্চ ও মার্কাস স্টয়নিসকে। আর ডেভিড ওয়ার্নারকে তো পাত্তাই দেননি। মাত্র ৮ বলের ব্যবধানে ফাঁদে ফেলেছেন দুইবার। তাই টিম সাউদি ও ট্রেন্ট বোল্টকে ব্যবহার না করে শুরুতে সোধিকে আনলে হয়তো ভুল প্রমাণ হবেন না কিউই অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন।

অন্যদিকে, আরেক স্পিনার মিচেল সান্টনার অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খুবই মিতব্যায়ী। ৯৩ বলে মাত্র  ৯৫ রান দিয়েছেন, আর ঝুলিতে আছে ৫ উইকেট।

জাম্পাকে ‘অ্যাটাক’ করবে কে?jampaনিশ্চয়ই অ্যাডাম জাম্পাকে সামলানোর পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নামবে কিউইরা

টুর্নামেন্টটা স্বপ্নের মতো করে কাটাচ্ছেন অ্যাডাম জাম্পা। বরা বরই অবমূল্যায়িত থাকা এই লেগ স্পিনার এবার যেন নিজেকে প্রমাণ করার পণ নিয়েই এসেছেন। সুপার টুয়েলভ থেকে সেমিফাইনাল পর্যন্ত সর্বোচ্চ উইকেট নিয়েছেন তিনি। বেশ চতুরতার সঙ্গে  লাইন, লেংথ ও গতিতে বৈচিত্র আনেন ম্যাচের মধ্যে। তাই তাকে অ্যাটাক (আক্রমণ) করা কঠিনই ব্যাটারদের জন্য।

কিউই অধিনায়ক উইলিয়ামসনের বিপক্ষে ভালোই সফল জাম্পা। ৩৮ বলের বিনিময়ে ২ বার তুলে নিয়েছেন তাকে। রান খরচ করেছেন মাত্র ৩৭। ওয়ানডে ফরম্যাটেও একই অবস্থা। তবে লেগ স্পিনার হলেও বাহাতি ব্যাটারদের বিপক্ষে জাম্পা সাফল্য বেশি পেয়েছে। তাই তাকে আক্রমণ করতে হলে এগিয়ে আসতে হবে মার্টিন গাপটিল ও গে­ন ফিলিপসকে। কেননা তারা দুজনই জাম্পার বিরুদ্ধে প্রায় ২০০ স্ট্রাইকরেটে রান তুলেছেন।

গাপটিল বনাম বাহাতি পেসার

২০১৮ সালের শুরু থেকে বাহাতি পেসারদের বিরুদ্ধে গাপটিলের স্ট্রাইকরেট ৯০.২৭ এবং প্রতি ২৪ বলে আউট হয়েছেন একবার করে। মিচেল স্টার্ক নিশ্চয়ই সেটা মনে রাখবেন।

এবিসিবি/এমআই

Translate »