Type to search

খেলাধুলা

ভারত ‘কান্ডে’ বিরক্ত মিলারও, ফাইনালে সমর্থন দেবেন নিউজিল্যান্ডকে

চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ইতিহাসের দ্রুততম সেঞ্চুরিটি হাঁকিয়েও লাভ হলো না ডেভিড মিলারের। সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকা হেরেছে ৫০ রানে। ম্যাচ শেষে ভারতের জন্য করা বাড়তি ভ্রমনে বিরক্তি প্রকাশ করেন মিলার। জানিয়ে রাখলেন, ফাইনালে সমর্থন দেবেন কিউইদেরই।

চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে তুঙ্গে ভারতের ‘ঘরের মাঠ’ সুবিধা প্রসঙ্গ। এ নিয়ে পক্ষে বিপক্ষে কথা বলেছেন অনেকেই। প্রথম সেমিফাইনালের পর তো ভারতীয় কোচ গৌতম গম্ভীর সমালোচকের ‘ছিঁচকাঁদুনে’ বলে বসেন। বুধবার দ্বিতীয় সেমিফাইনালের পর এ প্রসঙ্গে বিরক্তি ফুটে উঠেছে ডেভিড মিলারের কথায়। হয়তো সেজন্যেই এই প্রোটিয়া ব্যাটারের সোজাসাপ্টা উত্তর, ‘আমি সৎ উত্তরই দেব, আমার ধারণা আমি (ফাইনালে) নিউজিল্যান্ডকে সমর্থন জানাব।’ এর আগে কিউইদের দেয়া ৩৬৩ রান তাড়ায় নির্ধারিত ওভারে ৯ উইকেটে ৩১২ রানে থামে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস। ৬৭ বলে অপরাজিত সেঞ্চুরি হাঁকিয়েও হার এড়াতে পারেননি ডেভিড মিলার। এদিন চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ডে বীরেন্দ্র শেবাগ ও জশ ইংলিসকে (৭৭ বলে) পেছনে ফেলেন এই প্রোটিয়া ব্যাটার। সেমির আগে আইসিসি’র উদ্যোগে দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়া দু’দলই উড়ে যায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে তখন ভারতের সঙ্গে খেলছে নিউজিল্যান্ড। আইসিসি’র উদ্দেশ্য ছিল ভারত যদি সেমি নিশ্চিত করে, তবে তাদের সঙ্গে যে দলই খেলুক, তারা যেন সেই ভেন্যুতে প্রস্তুতির বাড়তি একদিন বেশি সময় পায়। পরে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে ভারতীয়রা সেমিতে অজিদের প্রতিপক্ষ হিসেবে পেলে সেখান থেকে করাচির বিমান ধরতে হয় দক্ষিণ আফ্রিকার। এদিন ম্যাচ শেষে সেই বাড়তি ভ্রমণ বিরক্তি প্রকাশ করে মিলার বলেন, ‘এসব কখনোই ভালো লাগার মতো কিছু নয়। এমন না যে ৫ ঘন্টার ফ্লাইট ছিল। রিকভারির জন্য যথেষ্ট সময় ছিল। তবে এমন পরিস্থিতি অবশ্যই আদর্শ কিছু ছিল না।’ যদিও এসবকে অজুহাত হিসেবে দেখাতে চান না বাঁহাতি এই ব্যাটার। পরাজয়ের জন্য নিজেদের ব্যর্থতাকে সামনে এনে তিনি যোগ করেন, ‘(রান তাড়ায়) টপ অর্ডার থেকে ভালো কিছু অবদান ছিল। তবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে মাঝের ওভারগুলোয় আমরা দু’টি উইকেট বেশি হারিয়ে ফেলি। দিনশেষে এটি দলীয় প্রচেষ্টা। সবাই নিজেদের সেরাটাই চেষ্টা করে।’ উইকেট প্রসঙ্গে মিলার বলেন, ‘উইকেট যত ভালো হোক, ৩৬০ রান তাড়া করা কখনোই সহজ নয়। রাতে শিশিরও পড়েনি। খেলা যত গড়িয়েছে তত উইকেটের অবস্থা বরং খারাপই হয়েছে। আমাদের ব্যাটিংয়ের সময় বল বেশি টার্ন করেছে।’ ফাইনালে কিউইদের প্রতি সমর্থন থাকলেও ম্যাচটি জমজমাট  হবে বলে আশাবাদী এই ৩৫ বছর বয়সী ক্রিকেটার। তিনি বলেন, ‘দু’টি দলই অবিশ্বাস্যরকমের ভালো। ভারত সারা বিশ্বকে দেখিয়েছে যে তারা কতটা ভালো। অনেক বছর ধরেই তারা ভালো ক্রিকেট খেলছে এবং তাদের দারুণ কিছু ক্রিকেটার আছে। দুর্দান্ত একটি ম্যাচ হতে যাচ্ছে।’

-মানবজমিন

Translate »