ভারতীয় পেসারদের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন স্টিভেন স্মিথ

দেশের মাটিতে গত সিরিজে ভারতের পেসারদের কাছেই অস্ট্রেলিয়া নাস্তানাবুদ হয়েছে। ঐ সিরিজে দলে ছিলেন না অস্ট্রেলিয়ার ২ সেরা খেলোয়াড় স্টিভেন স্মিথ ও ডেভিড ওয়ার্নার। তবে তারা আসন্ন সিরিজে থাকছেন। তাই স্মিথ সিরিজ শুরুর আগে ভারতীয় পেসারদের চ্যালেঞ্জ দিয়ে রাখলেন। বাউন্স দিয়ে ভারতের পেসাররা ঘায়েল করার পরিকল্পনা করলে তা ভেস্তে যাবে বলেও জানিয়ে দিলেন স্টিভেন স্মিথ।
২০১৮-১৯ সফরে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে প্রথমবারের মত ৪ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতে ভারত। সিরিজে ভারতের ৩ পেসার জসপ্রিত বুমরাহ, মোহাম্মদ সামি ও ইশান্ত শর্মা আট ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার ৫১ উইকেট শিকার করেছিলেন। যে কারণে সে সফরে ভারতের পেসারদের সাফল্য এখনো টাটকা।
তাই আগামী সিরিজে ভারতের পেসারদের জন্য চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন স্মিথ। তিনি জানান, ‘গত সিরিজে ভারতের পেসাররা দারুন পারফরমেন্স করেছে। এবার কঠিন হবে তাদের জন্য সিরিজটি। বিশেষ করে ভারতের পেসারদের নিয়ে বিভিন্ন পরিকল্পনা সাজিয়েছি। সাফল্য পেতে বুমরাহ-সামিদের অনেক পরিশ্রম করতে হবে।’
বাউন্সারের বিপক্ষে পটু অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যানরা। কিন্তু নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২০১৯-২০ মৌসুমে স্মিথ-ওয়ার্নার-লাবুশেনদের বাউন্সারেই কুপোকাত করেছিলো কিউই বোলাররা।
ঐ টেস্ট সিরিজে মোট ১০বার নিউজিল্যান্ডের বাঁ-হাতি পেসার নিল ওয়াগনারের তারা শিকার হয়েছিলেন। বাউন্সার দিয়েই স্মিথ-ওয়ার্নার-লাবুশেনদের সমস্যায় ফেলেছিলেন ওয়াগনার। এরমধ্যে ৪বার শর্টপিচ ডেলিভারিতে স্মিথকে আউট হয়েছিলেন ওয়াগনার।
ওয়াগনারের বিষয়ে স্মিথ জানান, ‘আমি কন্ডিশন বুঝে, নিজের মতো খেলি। বিপক্ষ কিভাবে আউট করার চেষ্টা করছে, তা বুঝে প্রতিরোধের চেষ্টা করি। শর্টপিচ ডেলিভারি আরও অনেক দলই করেছে আমার বিপক্ষে। তবে কেউ ওয়াগনারের মতো সাফল্য পায়নি। ওয়াগনার মাথা ও পাঁজর লক্ষ্য করে বল করে। তবে এভাবে যদি আমাকে আউটের চেষ্টা করে ভারত, তবে সুবিধা করতে পারবে না। আমি ক্যারিয়ারে প্রচুর শর্টপিচ বল খেলেছি। খুব বেশি সমস্যায় পড়িনি। এবার দেখা যাক কি হয়।’
ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষে গোলাপি বলের টেস্ট দিয়ে শুরু হবে ৪ ম্যাচের সিরিজ। ১৭ ডিসেম্বর অ্যাডিলেড ওভালে হবে দিবা-রাত্রির টেস্ট। মেলবোর্নে ২৬ ডিসেম্বর হবে সিরিজের ২য় টেস্ট। অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে ৭ জানুয়ারি হবে তৃতীয় টেস্ট। ১৫ জানুয়ারি, গাব্বাতে সিরিজের চতুর্থ ও শেষ টেস্ট।