Type to search

Lead Story আন্তর্জাতিক

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তিতে কোন প্রভাব পড়বে না: মিয়ানমার সেনাপ্রধান

মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া দর্শনার্থী রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু নিয়ে এক ধরনের আশঙ্কার মধ্যেই দেশটির সেনা প্রধান সিনিয়র জেনারেল মিন অং লাইং বলেছেন, তার সরকার মিয়ানমারের চলমান পররাষ্ট্র নীতিতে আনবে না কোন পরিবর্তন। রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়ার ব্যাপারে যে চুক্তি আছে তাতেও প্রভাব পড়বে না। যদিও অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের পর গত সোমবার টেলিভিশনে দেওয়া প্রথম ভাষণে ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি উল্লেখ করেননি এই সামরিক শাসক।

মিয়ানমানে গৃহহীন লোকজনকে বাংলাদেশ থেকে ফেরত নেবার কথা ছিল সেটা চলতে থাকবে। তার ভাষণের পুরোটাই দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম দ্য গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমারে ছাপা হয়েছে। ভাষণের বেশিরভাগ অংশেই নির্বাচিত সরকারকে উত্খাত করার পক্ষে জেনারেল লাইং সাফাই দিয়েছেন।

রোহিঙ্গা পুনর্বাসন ইস্যুতে তিনি জানান, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে অস্থায়ী শিবিরে যেসব বাস্তুচ্যুত জনগন রয়েছে তাদের পুনর্বাসনের কার্যক্রমও অব্যাহত থাকবে। বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি আলোচনার মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হবে। তবে তিনি বলেছেন, যদি তা দেশের স্বার্থের জন্য কোনো ক্ষতি না করে। বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিদের মধ্যে যারা গ্রহণযোগ্য, ১৯৮২ সালের নাগরিকত্ব অনুসারে তাদের ফেরার অনুমোদন দেওয়া হবে।

ভাষণে জেনারেল লাইং জানান, গ্রেপ্তার নেতা অং সান সু চি নভেম্বর মাসে যে নির্বাচনে ব্যাপক ভোটে বিজয়ী হয়েছে বলা হচ্ছে- তা সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ ছিল না। অনিয়মের যেসব অভিযোগ উঠেছে নির্বাচনে তা খতিয়ে দেখতে ব্যর্থ হয়েছে নির্বাচন কমিশন। খুব দ্রুতই নতুন নির্বাচনের মাধ্যমে জয়ীদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন জেনারেল লাইং। এজন্য নতুন একটি নির্বাচন কমিশন গঠনের কথা বলেছেন। তিনি তার ভাষণে সরাসরি বিক্ষোভরত মানুষদের কোন হুমকি দেননি তবে জানিয়েছেন, আইনের ঊর্ধ্বে কেউই নয়।

Translate »