Type to search

আন্তর্জাতিক

ভারতে করোনার টিকা দিতে চায় ফাইজার

ভারতের কাছে জরুরি ভিত্তিতে কোভিড ভ্যাকসিন প্রয়োগের অনুমোদন চেয়েছে মার্কিন ওষুধ কোম্পানি ফাইজার ও জার্মানির কোম্পানি বায়োএনটেক। ভারতের ডাগ্রস কন্ট্রোলার জেনারেলের কাছে অনুমোদন চেয়েছে প্রতিষ্ঠান দুটি।

রোববার ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে এ কথা জানানো হয়েছে। ইতোমধ্যে মার্কিন ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ফাইজার ও জার্মানির কোম্পানি বায়োএনটেক উদ্ভাবিত করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন সর্বসাধারণের ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাজ্য ও বাহরাইন।

ভারতীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, ৪ ডিসেম্বর ডিসিজিআইয়ের কাছে আপৎকালীন ব্যবহারের ছাড়পত্র চেয়েছে ফাইজার। ভারতের বাজারে সাধারণত কোনো প্রতিষেধক ব্যবহারের আগে তাদের পেরোতে হয় শেষ পর্বের ট্রায়াল প্রক্রিয়া। দেশজুড়ে বেশ কয়েকটি ভ্যাকসিন আপাতত সে পর্যায়েই। ফাইজারের তৃতীয় ধাপে ৯৫ শতাংশ করোনা প্রতিরোধে সক্ষম বলে দাবি করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

চলতি সপ্তাহেই ব্রিটেন ও বাহরাইনের জনসাধারণকে কোভিড ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ শুরু করছে ফাইজার। বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে ফাইজারের ভ্যাকসিন জনসাধারণকে দেওয়ার ছাড়পত্র দিয়েছিল ব্রিটেন। কিন্তু তাদের ভ্যাকসিন সংরক্ষণের জন্য অতি নিম্ন তাপমাত্রার প্রয়োজন থাকায় ভারতের বাজারে আসার সম্ভাবনা কার্যত ছিল না। কারণ ফাইজারে প্রতিষেধক সংরক্ষণে প্রয়োজন মাইনাস ৭০ ডিগ্রি তাপমাত্রা। যে তাপমাত্রার কোল্ড স্টোরেজ নেই দেশে। তাই ফাইজারের ভ্যাকসিন পাওয়া নিয়ে হাল ছেড়েছিলেন অনেক ভারতীয়ই।

কিন্তু কার্যত সবাইকে চমকে দিয়ে শেষপর্বের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল পেরিয়ে সরাসরি প্রতিষেধক মানবদেহে প্রয়োগ করার বিষয়ে ছাড়পত্র চেয়েছে তারা। কিন্তু ঠিক কীভাবে অতি নিম্ন তাপমাত্রা বজায় রেখে তারা প্রতিষেধক কার্যকর রাখবে, সে নিয়ে মুখ খোলেনি সংস্থা। তাদের দাবি, সরকারের সাহায্য নিয়ে যে পুরো প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে বদ্ধপরিকর তারা।

জানা যাচ্ছে, ৪ ডিসেম্বর ডিসিজিআইয়ের কাছে আপৎকালীন ব্যবহারের ছাড়পত্র চেয়েছে ফাইজার। ভারতের বাজারে সাধারণত কোনো প্রতিষেধক ব্যবহারের আগে তাদের পেরোতে হয় শেষ পর্বের ট্রায়াল প্রক্রিয়া।

দেশজুড়ে বেশ কয়েকটি ভ্যাকসিন আপাতত সেই পর্যায়েই। কিন্তু সেই প্রক্রিয়া পর্ব সরিয়ে বিশেষ ক্ষেত্রে সরাসরি ভ্যাকসিনকে বাজারজাত করতে ছাড় দেওয়ার নিয়মও রয়েছে। কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ভারতের বাজারে চলে আসবে করোনার ভ্যাকসিন- এমন কথা জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

বেশ কয়েকটি প্রতিষেধক একেবারে শেষপর্যায়ের ট্রায়ালে রয়েছে বলেও উল্লেখ করেছিলেন তিনি। আপাতত শুধু বৈজ্ঞানিকদের সবুজ সঙ্কেত পেলেই ভারতে করোনা প্রতিষেধক দেওয়ার কাজ শুরু হয়ে যাবে বলেও জানিয়ে রেখেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। ভারতে এ পর্যন্ত ৯৬ লাখের বেশি মানুষ করোনায় আক্রন্ত হয়েছে। মারা গেছে ১ লাখ ৪০ হাজারের বেশি।

Translate »