Type to search

Lead Story আন্তর্জাতিক

ফিলিস্তিনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে রাজি প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন

ওয়াশিংটনে প্যালেস্টাইনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে দেশটির নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন রাজি হয়েছেন। কিন্তু তাতে ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা মার্কিন জঙ্গিবিরোধী আইনের মারপ্যাচে পড়তে পারেন। ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা ও উপদেষ্টারা এমন আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন।

২০১৯ সালে পাস হওয়া মার্কিন জঙ্গি-বিরোধী আইনের অধীনে যুক্তরাষ্ট্রে অফিস খুললে ফিলিস্তিনি কর্মকর্তাদের ৬৫৫ মিলিয়ন ডলার জরিমানা দিতে হবে। ফিলিস্তিনিদের আর্থিক অনুদান চালু করা নিয়েও বাধায় পড়তে পারে জো বাইডেন প্রশাসন। কারণ ২০১৮ সালে পাস হওয়া টেলর ফোর্স অ্যাক্ট অনুযায়ী, সহিংস অপরাধের জন্য ইসরায়েলে বন্দিদের অর্থ দেওয়া বন্ধ না করলে ফিলিস্তিন পূর্ণ আর্থিক সাহায্য পাবে না।

মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন সম্পর্কের রীতি বদলে ইসরায়েলের সমর্থনে একাধিক পদক্ষেপ নেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। জো বাইডেন প্যালেস্টাইনের সাহায্য করতে চান ঠিকই, কিন্তু কংগ্রেসের পাস করা বিভিন্ন আইন তার পথে বাধা সৃষ্টি করবে।

গত মঙ্গলবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত দূত রিচার্ড মিলস জানিয়েছেন, ওয়াশিংটন আগের প্রশাসনের বন্ধ করে দেওয়া কূটনৈতিক মিশন পুনরায় চালু করতে চায়। তবে কোনও সময়সীমা উল্লেখ করেননি তিনি।

বিশ্লেষকদের মতে, ওয়াশিংটনে পিএলও’র মিশন খুললে ইসরায়েলের সাথে টানাপোড়েনের শুরু হতে পারে যুক্তরাষ্ট্রের। কারণ, ১৯৭২ সালে মিউনিখ অলিম্পিকে ইসরায়েলি খেলোয়াড়দের হত্যায় সংগঠনটির বিরুদ্ধে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।

২০২১ সালে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনের আদেশ দিয়েছেন। ফলে ২০০৬ সালের পর ফিলিস্তিনিরা এই প্রথম বুথমুখী হবেন। এমন সংকটে ফের কূটনৈতিক সম্পর্ক তৈরিতে আগ্রহের কথা জানিয়েছেন বাইডেন।

এই বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, ত্রাণ প্রদানে জো বাইডেন-কমলা প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্রের টেইলর ফোর্স অ্যাক্টসহ সব আইন পুরোপুরি মেনে চলবে।

ফিলিস্তিনিদের এক মার্কিন আইন উপদেষ্টা বলেন, প্রশাসন ও কংগ্রেসের মধ্যে পিএলও মিশন পুনরায় চালু করার জন্য একটি সমাধান বের করার জন্য আলোচনা চলছে। যে আর্থিক দাবি তোলা হয়েছে তা পরিশোধ করতে হবে না ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে।

Translate »