জো বাইডেন ও ট্রাম্পের কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করতে হঠাৎ যুক্তরাষ্ট্রে জয়শঙ্কর
ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বারের মতো মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর প্রথমবার যুক্তরাষ্ট্র সফর করছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। ট্রাম্পের শপথ গ্রহণের কয়েক সপ্তাহ আগে তার এই সফরকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এই সফরে বিদায়ী বাইডেন প্রশাসনের কর্মকর্তাদের পাশাপাশি ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছেন তিনি।
আগামী ২০ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে আমেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার আগেই নয়াদিল্লি-ওয়াশিংটন সম্পর্ককে মজবুত করতে সক্রিয় হল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার। ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর এটি হবে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের প্রথম উচ্চপর্যায়ের সফর।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরফে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ২০২৪ সালের ২৪-২৯ ডিসেম্বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফর করবেন। তিনি দ্বিপাক্ষিক, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নিয়ে আলোচনা করতে অপর পক্ষের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এই সফরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের কনসাল জেনারেলদের একটি সম্মেলনেও তিনি সভাপতিত্ব করবেন।
২০১৬-২০২০ মেয়াদে ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন মোদির সঙ্গে তার ব্যক্তিগত সমীকরণ ছিল নিবিড়। গত নভেম্বরে হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তনের পরেই তাকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। গত চার বছর ধরে জো বাইডেনের সময়ে আমেরিকান কংগ্রেসের মানবাধিকার সংক্রান্ত রিপোর্টে তুলোধুনো করা হয়েছে সংখ্যালঘু নিপীড়ন, জাতি বৈষম্য, মণিপুরের হিংসার মতো ঘটনাকে।
এনডিএ শিবিরের একাংশের অভিযোগ, এমনভাবে প্রশ্ন সাজানো হতো যাতে মোদি সরকারের মানবাধিকার রক্ষা, বাকস্বাধীনতা সংক্রান্ত ভূমিকার সমালোচনা করা যায়। ট্রাম্প আসার পর এই প্রবণতার ইতি ঘটবে বলে মনে করছে সাউথ ব্লক।
পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে যোগ দেবেন জয়শঙ্কর, যিনি ইতিমধ্যেই ওয়াশিংটনে রয়েছেন। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে চালু হওয়া আইসিইটি, জিই-এফ৪১৪ জেট ইঞ্জিন চুক্তি, বায়োটেকনোলজি, কোয়ান্টাম প্রযুক্তি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, সেমিকন্ডাক্টর এবং মহাকাশের মতো ক্ষেত্রগুলোতে সহযোগিতাসহ প্রযুক্তি সংক্রান্ত আলোচনা হতে পারে।
জয়শঙ্কর ও মিশ্রি ট্রাম্পের টিম এবং রাজ্য ও প্রতিরক্ষা বিভাগে গুরুত্বপূর্ণ পদের জন্য মনোনীতদের সঙ্গে দেখা করতে পারেন বলে আশা করা হচ্ছে। ২০১৬ সালের মার্কিন নির্বাচনের পর ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হিসেবে ট্রাম্পের দলের সঙ্গে দেখা করেছিলেন এস জয়শঙ্কর।
তথ্যসূত্র: দ্য হিন্দু