উত্তাল মিয়ানমার, এবার কুটনৈতিক বিদ্রোহ
মিয়ানমারের সামরিক জান্তা জনবিদ্রোহের পর এবার কুটনৈতিক বিদ্রোহের সামনে পড়ল। অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভে নির্বিচার হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদেই দেশটির সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে দাঁড়াচ্ছেন কূটনীতিকরা।
শুক্রবার (৫ মার্চ) সংবাদসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ওয়াশিংটনের মিয়ানমার দূতাবাস সামরিক জান্তার আনুগত্য স্বীকার করছে না।মিয়ানমারে অভ্যুত্থানের কয়েকদিন পর নিউইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে প্রায় ১০০ কোটি ডলার সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল দেশটির সেনাবাহিনী। কিন্তু আমেরিকা কর্মকর্তারা তাৎক্ষণাৎ তা জব্দ করে নেয়। এরপর আমেরিকা বাণিজ্য বিভাগ মিয়ানমারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও দেশটির সেনা-নিয়ন্ত্রিত ব্যবসাগুলোর লেনদেনের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
মিয়ানমারের সেনাদের আর্থিকভাবে লাভবান করতে পারে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এমন উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর অর্থায়ন স্থগিত করেছে। বিগত বছরগুলোতে দেশটির বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে ইইউয়ের ২৪১ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ ছিল।
অন্যদিকে, নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে মিয়ানমার রাষ্ট্রদূত প্রকাশ্যে বিশ্ববাসীকে সামরিক সরকারবিরোধী অবস্থান নেওয়ার আহ্বানের পর ওয়াশিংটনে দেশটির দূতাবাস বেসামরিক জনগণের হত্যার প্রতিবাদে সামরিক সরকারকে ‘সর্বোচ্চ সংযম’ দেখানোর আহ্বান জানায়।
খবরে বলা হয়েছে, ওয়াশিংটনে মিয়ানমার দূতাবাসের পদত্যাগ করেছেন এক কূটনীতিক। সেখানকার অন্তত ৩ কূটনীতিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দিয়ে জানিয়েছে, সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা জানিয়ে অসহযোগ আন্দোলনে যোগ দিচ্ছেন তারা। মিয়ানমারের মানবাধিকার-বিষয়ক জাতিসংঘের তদন্তকারী টমাস অ্যান্ড্রুস নিরাপত্তা পরিষদকে এশিয়ার দেশটির ওপর আন্তর্জাতিক অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা ও সামরিক সরকারের ওপর অর্থনৈতিক আরোপের আহ্বান জানিয়েছেন।