হোটেলের বিল পরিশোধের অর্থ ছিল না সদ্য প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের

কলেজে পড়ার সময় বসন্তের ছুটিতে জো বাইডেন বাহামায় গিয়েছিলেন। সেখানেই নেইলিয়া হান্টারের সাথে দেখা। তারা প্রথমে প্রণয়, পরে বিয়ে করেন।
দ্বিতীয় সাক্ষাতে জো বাইডেন যখন রেস্টুরেন্টে গেলেন, বিল পরিশোধের মতো অর্থ ছিল না। সাহায্যের হাত বাড়ান প্রেমিকা নেইলিয়া, তবে টেবিলের নিচ দিয়ে। ২০ ডলারের একটি নোট এগিয়ে দিয়েছিলেন জো বাইডেনের দিকে।
নেইলিয়ার মায়ের সাথে যখন প্রথম দেখা করতে গিয়েছেন বাইডেন। তখন ধারে কাছেও যায়নি জামাতা-শাশুড়ির সম্পর্ক। জো বাইডেনকে নেইলিয়ার মা জিজ্ঞেস করেছিলেন, তুমি ভবিষ্যতে কি হতে চাও?
জো বাইডেন বলেছিলেন, আমি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হতে চাই। শাশুড়িকে দেয়া সেই কথাই রেখেছেন তিনি।
১৯৭২ সালে প্রথমবারের মত মার্কিন সিনেটর হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলে বাইডেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে পঞ্চম কনিষ্ঠতম সিনেটর তিনি। কিন্তু সিনেটে নির্বাচিত হওয়ার সপ্তাহ কয়েক পর ঘটে বাইডেনের জীবনে চরম অপ্রত্যাশিত ঘটনা।
ক্রিসমাসের গাছ নিয়ে গাড়িতে করে বাড়ি ফিরছিলেন তার স্ত্রী ও ৩ সন্তান। ভুট্টাবাহী ট্রাক্টরের সাথে সংঘর্ষে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে। হাসপাতালে নেওয়ার আগেই ১৩ বছর বয়সী কন্যা নাওমিসহ মারা যান স্ত্রী নেইলিয়া।
গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল বাইডেনের ২ পুত্র বো ও হান্টারকে। হাসপাতালে বোকে যে কক্ষে রাখা হয়েছিল, সেখানেই সিনেট সদস্য হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন বাইডেন।
ওই দুর্ঘটনার পর দেলাওয়ারের উইলমিংটনের বাড়িতে থেকেই অফিস করতে থাকেন জো বাইডেন। ওয়াশিংটনে পৌঁছাতেন প্রতিদিন ৭৫ মিনিট ট্রেনযাত্রা করে।
এভাবে ৩০ বছরের বেশি সময় অফিস করেছেন তিনি। ট্রেনের কর্মীদের পরিবারের সদস্য মনে করতেন, নিজ বাড়িতে দাওয়াত করেও খাইয়েছেন বাইডেন।