Type to search

আন্তর্জাতিক

হংকং ফ্লুতে আক্রান্ত হয়ে ভারতে মৃত্যু দুই, শনাক্ত ৯০

ভারতে এইচথ্রিএন২ ভাইরাসে (হংকং ফ্লু নামে পরিচিত) আক্রান্ত হয়ে ২ ব্যক্তি মারা গেছেন। শুক্রবার (১০ মার্চ) সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতের সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, নিহতরা কর্ণাটক ও হরিয়ানা রাজ্যের বাসিন্দা।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এইচথ্রিএনটু ভাইরাসে মৃত প্রথম ব্যক্তি হিরে গৌড়। তিনি কর্ণাটকের হাসান অঞ্চলের বাসিন্দা। তাকেই এই রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রথম  মৃত ব্যক্তি হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

গত কয়েক মাসে ভারতে ফ্লু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। বেশিরভাগ সংক্রমণের জন্য ‘হংকং ফ্লু’ নামে পরিচিত এইচথ্রিএনটু ভাইরাস দায়ী। অন্য যেকোনো ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের চেয়ে এইচথ্রিএনটুতে আক্রান্ত রোগীদের হাসপাতালে ভর্তির প্রবণতা বেশি দেখা যায়।

কর্মকর্তারা জানান, তিনি ২৪ ফেব্রুয়ারি হাসপাতালে ভর্তি হন এবং ১ মার্চ মারা যান। গৌড় ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপে ভুগছিলেন বলে জানা গেছে।

এখন পর্যন্ত ভারতে এইচথ্রিএনটু ভাইরাসে ৯০ জন আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে। এর পাশাপাশি ৮ এইচওয়ানএনওয়ান ভাইরাসে (সোয়াইন ফ্লু) আক্রান্ত ব্যক্তিও শনাক্ত হয়েছেন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উপসর্গের মাঝে রয়েছে অদম্য কাশি, জ্বর, ঠাণ্ডা লাগা ও শ্বাসকষ্ট হওয়া। কিছু রোগী বমি বমি ভাব, গলা ফুলে যাওয়া, শরীরে ব্যথা ও ডায়রিয়ার কথাও জানিয়েছেন। এ উপসর্গগুলো ১ সপ্তাহ পর্যন্ত থাকতে পারে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ভাইরাস উচ্চ মাত্রার সংক্রামক এবং খুব সহজে কাশি, হাঁচি ও আক্রান্ত ব্যক্তির কাছে আসার মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তে পারে।

এখন পর্যন্ত ভারতে হংকং ফ্লু ও সোয়াইন ফ্লু সংক্রমণের বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে। এ বছর এখনো কোনো বার্ড ফ্লু রোগীর বিষয়ে তথ্য পাওয়া যায়নি। এই ২ ভাইরাসের ক্ষেত্রেই উপসর্গগুলো করোনাভাইরাসের মতো। করোনাভাইরাস আঘাত হানার ২ বছরের মাথায় নতুন করে ফ্লু ছড়িয়ে পড়ায় জনমনে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে।

উচ্চ ঝুঁকির রোগীদের ক্ষেত্রে সংক্রমণ বড় আকারের ক্ষতি করতে পারে, যেমন বয়স্ক মানুষ ও কম বয়সী শিশু। এছাড়াও, দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন রোগে ভুগে যাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেছে, তাদের ক্ষেত্রেও ঝুঁকির মাত্রা বেশি।

এবিসিবি/এমআই

Translate »