বৃটেনের রেস্তোরাঁয় সহিংসতা, উদ্বেগ স্থানীয় বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের
ক্ষোভ ও বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে বৃটেনের শেফিল্ডের একটি রেস্তোরাঁ। গরুর মাংস খাওয়ানোর অভিযোগে রেস্তোরাঁয় কর্মীদের ভঙচুর এবং মারধর করেছে ভারতীয় কয়েকজন নাগরিক। তবে রেস্তোরাঁর মালিক বলছে তাদের মেনুতে গরুর মাংসের কোনো রেসিপি নেই। ভেড়ার মাংসের সাথে গরুর মাংস দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ ভারতীয়দের। মূলত এ বিষয়টিকে নিয়েই রেস্তোরাঁয় গোলমাল করেন তারা। এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে চলছে তুমুল তর্ক-বিতর্ক। নিন্দাও জানিয়েছেন অনেকে।ধর্মীয় সম্প্রদায়ের দাবি অসহিষ্ণুতার উদাহরণ সৃষ্টি করেছে ওই ঘটনা। বিষয়টি তদন্ত করছে পুলিশ। অপ্রীতিকর ঘটনার জন্য বশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করেছে তারা। এ খবর দিয়েছে অনলাইন জিও নিউজ।
এতে বলা হয়, ঘটনাটিকে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার একটি বাজে উদাহরণ হিসেবে বর্ণনা করেছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। এতে শহরের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নিয়ে গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে তারা। কয়েক মাস আগে ঘটলেও সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই গোলমালের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ায় বিষয়টি পুনরায় সামনে এসেছে। চলছে তুমুল তর্ক-বিতর্ক।
জিও নিউজের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন রেস্তোরাঁর মালিক রহিমুল্লাহ খান। ঠিক কি হয়েছিল তা তুলে ধরেণ তিনি। রহিমুল্লাহ বলেছেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িতরা ভারতীয় নাগরিক। তারা মদ্যপ অবস্থায় রেস্তোরাঁয় এসে ভেড়ার মাংসের সঙ্গে গরুর মাংস মেশানোর অভিযোগ তোলেন। ম্যানেজমেন্ট থেকে বারবার বলা হয়েছে যে তাদের মেনুতে গরুর মাংস নেই। কিন্তু তা কর্ণপাত করেননি অভিযোগকারীরা। রহিমুল্লাহ অভিযোগ করে বলেছেন, মদ্যপ ওই ব্যক্তিদের একজন রেস্তোরাঁর এক কর্মীর গায়ে হাত তুলেছেন। যাতে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পরে স্থানীয় পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিবেশ শান্ত হয়। ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রপ্তার করেছে পুলিশ। এ বিষয়টি তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন রেস্তোরাঁর মালিক। এ ঘটনায় শেফিল্ড শহরের সাম্প্রদায়ীক সম্প্রীতিতে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা এবং বিভিন্ন সম্প্রদায়ের নেতারা ঘটনাটিকে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার একটি উদ্বেগজনক উদাহরণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
-জিও নিউজ