বাংলাদেশ-ভারত থেকে কোভিড-১৯ ছড়ানোর সংবাদ ভিত্তিহীন: চীনা রাষ্ট্রদূত

কোভিড-১৯ উৎপত্তির জন্য কয়েকজন চীনা বিজ্ঞানীর পক্ষ থেকে বাংলাদেশ, ভারতসহ আরও কয়েকটি দেশকে দায়ী করার যে খবর ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড পত্রিকা দি সান প্রকাশ করেছিল তাকে ভুয়া বলেছে চীন।
ঢাকায় চীনের উপ-রাষ্ট্রদূত ইয়ান হুয়ালং রবিবার (২৯ নভেম্বর) তার ফেসবুক পেজে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের এমন একটি লিংক শেয়ার করে ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘ফেক নিউজ!’
হুয়ালংয়ের কমেন্টে কয়েকজন ফেসবুক ব্যবহারকারী বলেছেন, এ ধরনের নিউজ ভারতের মিডিয়া ছড়াচ্ছে। তাই চীনের উচিৎ একটা বিবৃতি দেয়া। হংকং-ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টেও এই খবর এসেছে। নামকরা প্রকাশনা সংস্থা এলসিভিয়ারের মালিকানাধীন প্রি-প্রিন্ট সার্ভার সোশ্যাল সায়েন্স রিসার্চ নেটওয়ার্ক (এসএসআরএন)-এ প্রকাশিত একটি গবেষণা নিবন্ধে চাইনিজ অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেসের বিজ্ঞানীরা দাবি করে জানিয়েছেন, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে উহানে প্রথম যে সংক্রামক করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হয়, তার মিউটেশন বেশি ছিল। ওই নমুনার চেয়েও কম মিউটেশনের ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে ৮টি দেশে: বাংলাদেশ, যুক্তরাষ্ট্র, গ্রিস, ইতালি, অস্ট্রেলিয়া, ভারত, চেক রিপাবলিক, রাশিয়া এবং সার্বিয়া।
সর্বকোষীয় করোনা ভাইরাস পুনরুৎপাদনের জন্য প্রাকৃতিকভাবে নিজেদের পরিবর্তন করে। এর অর্থ তাদের ডিএনএ’তে প্রতিবার ছোট ছোট যে পরিবর্তন হয়, তার মাধ্যমে নিজেদের প্রতিলিপি তৈরি করে তারা। চীনা
বিজ্ঞানীরা জানান, সবচেয়ে কম পরিবর্তন বা মিউটেশনের নমুনা আক্রান্ত করে ভাইরাসের ‘আসল ভার্সন’পাওয়া যাবে। তাদের দাবি, বাংলাদেশ ও ভারত যে স্ট্রেইন পাওয়া গেছে, তাতে অনেক কম মিউটেশন। মানে সেখান থেকে আগে ছড়িয়ে থাকতে পারে। ২টি দেশ যেহেতু ভৌগোলিকভাবে পাশাপাশি তাই এই মহাদেশে সম্ভাবনা বেশি দেখছেন তারা।