Type to search

আন্তর্জাতিক

পিতা ও ছেলের চরম দ্বন্দ্ব: পতনের পথে সৌদি আরব

রাষ্ট্রীয়-পৃষ্ঠপোষকতায় হত্যাকাণ্ডের শিকার সাংবাদিক জামাল খাসোগির মৃত্যুবার্ষিকী যখন দ্বিতীয় বছর পূর্তির দ্বারপ্রান্তে তখন পতনের পথে সৌদি আরবের রাজত্বও। ইতোমধ্যে দেশটি উপসাগরীয় ও মধ্যপ্রাচ্যীয় অঞ্চলে নেতৃত্ব ও প্রভাব হারাতে শুরু করেছে।

৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ওপেক এবং ইসলামী সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) প্রভাবশালী সদস্য হিসেবে সৌদি আরবের যে উত্থান ও খ্যাতি ছিল, তাতে শুরু করেছে এখন ছন্দপতন ঘটতে।

ইসলামের পবিত্রতম স্থানগুলোর আতুরঘর এবং বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম তেল মজুদকারী ভুল নীতির কারণে দেশটির ধর্মীয় এবং অর্থনৈতিক প্রভাব হারাচ্ছে।

গত ৫ বছর দেশটির সময় যেমন ছিল ধ্বংসাত্মক, তেমনি বেদনাদায়ক। প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং উচ্চভিলাষ নিয়ে যেভাবে কাজ শুরু করেছিলেন যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান, তা শিরগিরই বেপরোয়াগিরিতে ধংসস্তুপে পরিণত হতে পারে। যুবরাজের পরমার্শদাতা হিসেবে পরিচিত আরেক ম্যাকিয়াভেলি সংযুক্ত আরব আমিরাতের (দুবাই) যুবরাজ মোহাম্মদ বিন জায়েদ (এমবিজেড)। তার অনুপ্রেরণায় যুবরাজ সালমান সব কিছুকে হঠকারী মানসিকতা দ্বারাই বিচার করতে শুরু করেছেন।

তিউনিসিয়া ও লিবিয়ার মতো দেশগুলোর অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ এবং মিসরে স্বৈরশাসক সিসিকে সমর্থন দেয়া সৌদি আরবের  দেউলিয়া অবস্থা উন্মোচনের মতোই হয়েছে।

বাশার আল আসাদকে নিয়েও সৌদির একই অবস্থা। নিজেদের ভুলের কারণে দেশটি এখন আমিরাত এগিয়ে চলেছে টেক্কা দিয়ে আর সৌদি ক্রমশ পিছিয়ে যাচ্ছে।

সালমানের হঠকারীতা হয়ত তার ক্ষমতায় থাকাকে জোরদার করেছে কিন্তু অন্যদিকে ভয়াবহভাবে দুর্বল করে দিয়েছে দেশটিকে। সৌদি কয়েক বিলিয়ন ডলারে অস্ত্র কিনেছে, ইয়েমেনে ৫ বছর ধরে যুদ্ধ চালিয়ে আসছে, যা বিশ্বে কয়েক বছরের মধ্যে মানবিক বিপর্যয়।

এদিকে ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক স্থাপনে আরব আমিরাত এবং বাহরাইনকে উদ্বুদ্ধ করেছে সৌদি যুবরাজ সালমান। যা তিনি তার পিতা সৌদি বাদশা আবদুল আজিজকে না জানিয়ে করেছেন। এছাড়া যুবরাজ ইসরায়েল সাথে সম্পর্ক স্থাপনের পক্ষে অন্যদিকে বাদশা বিপক্ষে। এনিয়ে পিতা ও পুত্রের মধ্যে ‘দ্বন্দ্ব’ দেখা দিয়েছে।

Translate »