দলীয় নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়াবেন বরিস জনসন, তবে প্রধানমন্ত্রী থাকছেন
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন তার মন্ত্রী ও এমপিদের সমর্থন হারানোর পর কনজারভেটিভ পার্টির নেতার পদ থেকে সরে দাঁড়াবেন।
চলতি গ্রীষ্মে কনজারভেটিভ পার্টির একজন নতুন নেতা নির্বাচন করা হবে এবং অক্টোবরে দলীয় সম্মেলনের সময় নতুন কেউ একজন প্রধানমন্ত্রী থাকবেন।
এই সময় পর্যন্ত মি. জনসন প্রধানমন্ত্রীর পদে বহাল থাকবেন।
তার নেতৃত্বের প্রশ্নে সরকার থেকে একের পর এক পদত্যাগের পরও তিনি “চালিয়ে যাওয়ার” ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিলেন।
এর আগে, নবনিযুক্ত অর্থমন্ত্রী নাদিম জাহাউই-সহ তার মন্ত্রিসভার সিনিয়র সদস্যরা তাকে পদত্যাগ করতে বলেন এবং “সম্মানের সঙ্গে” চলে যেতে অনুরোধ করেন।
মি. জনসন প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের বাইরে পদত্যাগের বিষয়ে একটি বিবৃতি দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
ক্ষমতাসীন টোরি দলের নেতৃত্বের লড়াইয়ে জয়ী হওয়ার পর ২০১৯ সালের জুলাই মাসে মি. জনসন প্রধানমন্ত্রী হন এবং এর পাঁচ মাস পরে একটি ঐতিহাসিক সাধারণ নির্বাচনে বিপুল জনসমর্থনে জয়লাভ করেন।
তিনি “ব্রেক্সিট সম্পন্ন করার” প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন তবে সাম্প্রতিক মাসে তাঁর সরকার বেশ কিছু বিষয়ে বিতর্কের মুখে পড়ে, যেসবরে মধ্যে ছিল ডাউনিং স্ট্রীটে লকডাউনের মধ্যে আয়োজন করা পার্টির বিষয়ে পুলিশী তদন্ত।
প্রাক্তন ডেপুটি চিফ হুইপ ক্রিস পিনশারের বিরুদ্ধে ওঠা যৌন অসদাচরণের অভিযোগের বিষয়গুলো যেভাবে প্রধানমন্ত্রী সামাল দিয়েছেন তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পর চলতি বিদ্রোহের সূত্রপাত ঘটে।
বিবিসির রাজনীতি বিষয়ক সম্পাদক ক্রিস মেসন জানান, টোরি ব্যাকবেঞ্চারদের ১৯২২ কমিটির চেয়ারম্যান গ্রাহাম ব্র্যাডি প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করে বলেছেন যে তিনি দলের আস্থা হারিয়েছেন।
বিবিসি