Type to search

Lead Story আন্তর্জাতিক

চীনকে মোকাবিলায় বিশাল অবকাঠামো সহায়তা পরিকল্পনা

চীনের ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক প্রভাব মোকাবিলা করতে উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য অবকাঠামো সহায়তা পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে বিশ্বের শীর্ষ ৭ ধনী দেশের জোট জি-৭।

শনিবার (১২ জুন) জি-সেভেন বৈঠকের দ্বিতীয় দিনে এই পরিকল্পনা ঘোষণা করা হয়। ঘোষিত এই পরিকল্পনা চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংয়ের লক্ষ-কোটি ডলারের ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ উদ্যোগের একটি জবাব হতে যাচ্ছে বলে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং অন্য জোট নেতারা আশা করছেন, তাদের এই পরিকল্পনা, যা বিল্ড ব্যাক বেটার ওয়ার্ল্ড (বি৩ডব্লিউ) নামে পরিচিতি পেয়েছে, উন্নয়নশীল দেশগুলোকে অবকাঠামো নির্মাণে একটি অংশীদারিত্ব অর্জনের পথ করে দেবে। এজন্য তাদের চার লাখ কোটি ডলারের তহবিল যোগান দিতে যাচ্ছে জি-৭, যা ২০৩৫ সাল নাগাদ এসব দেশের অবকাঠামো খাতের জন্য দরকার।

বাইডেন প্রশাসনের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, এটা শুধু চীনকে মোকাবিলা করার পরিকল্পনা নয়। এখন পর্যন্ত আমাদের মূল্যবোধ, মান ও আমাদের ব্যবসা করার পদ্ধতি প্রতিফলিত হয় এমন কোন ইতিবাচক বিকল্প আমরা প্রস্তাব করিনি।

যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বাণিজ্য ও মানবাধিকার বিষয়ে চীনের প্রতি একটি অংশীদারিত্বমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে একমত হয়েছে জি-৭।

হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তন, স্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্য নিরাপত্তা, ডিজিটাল প্রযুক্তি, ও জেন্ডার ন্যায্যতা ও সাম্য খাতে বেসরকারি খাতের মূলধন কাজে লাগাতে বি৩ডব্লিউ উদ্যোগকে ব্যবহার করবে জি-৭ এবং এর মিত্ররা। তবে এই পরিকল্পনা কীভাবে কাজ করবে অথবা প্রকৃতপক্ষে কী পরিমাণ মূলধন এটা আসলে ব্যবহার করা হবে- তাৎক্ষণিকভাবে সেসব বিষয়ে জানা যায়নি।

গত তিন দশকে চীন তাদের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের (বিআরআই) আওতায় বিশ্বের একশটিরও বেশি দেশে অবকাঠামো উন্নয়নে শত শত কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে – যা নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলো উদ্বিগ্ন।

হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, জি-৭ এর পরিকল্পনার অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র সরকার বিদ্যমান উন্নয়নশীল অর্থায়নকে বর্ধিত করতে এবং যৌথভাবে শত শত কোটি ডলার অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগ করতে সেদেশের কংগ্রেসের সঙ্গে কাজ করবে।

যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চীনে শ্রমিকদের কাজ করতে বাধ্য করার বিষয়ে এবং ওয়াশিংটনের সঙ্গে সুর মিলিয়ে বেজিংয়ের বিরুদ্ধে একটি কড়া বক্তব্য দেওয়ার গুরুত্ব তুলে ধরে দৃঢ় বক্তব্য দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। কিন্তু তিন দিনের সম্মেলন শেষে ঘোষণাপত্রে অন্যান্য সদস্য দেশ চীনের বিরুদ্ধে কতোটা কড়া অবস্থান নিতে চাইবে তা নিয়ে সংশয় রয়ে গেছে।

Translate »