কোভিড-১৯ নতুন ভ্যারিয়েন্ট সম্পর্কে সতর্ক করলো ডব্লিউএইচও

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মহাপরিচালক তেদ্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস বলেছেন, প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসকে মানুষ যেন ভুলেই গেছে! এ ধরনের উদাসীনতা ও অসচেতনতা করোনার আরো ভয়াবহ ভ্যারিয়েন্ট সৃষ্টির সুযোগ করে দিতে পারে। সুইজারল্যান্ডের রাজধানী জেনেভায় ডব্লিউএইচওর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে গেব্রিয়েসুস তার এই উদ্বেগের কথা জানান।
তিনি বলেন, মহামারির জরুরি অবস্থা থেকে উত্তরণের পর্যায়ে থাকলেও এখনো আমরা পুরোপুরি রেহাই পাইনি। স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও টিকাদানে বিরতি বা ধীরগতি ভাইরাসটির নতুন ধরনের আগমনের পরিবেশ তৈরি করছে। যদি নতুন কোনো ভ্যারিয়েন্টের আগমন ঘটে, তাহলে সেটি আরো ভয়াবহ ও প্রাণঘাতি হওয়ার সব সম্ভাবনা রয়েছে।
গেব্রিয়েসুস বলেন, করোনায় আক্রান্তদের একটি বড় অংশই মৃদু উপসর্গে ভোগেন। কিন্তু আমাদের এটা ভুললে চলবে না, আমাদের চারপাশে এমন অনেক মানুষ আছেন, যাদের জন্য ভাইরাসটি প্রকৃত অর্থেই প্রাণঘাতি।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে বিশ্বের প্রথম করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। করোনায় প্রথম মৃত্যুও ঘটে চীনে। ২০২০ সালের শুরু থেকে খুব দ্রুতগতিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে প্রাণঘাতি এ ভাইরাস।
পরিস্থিতি সামাল দিতে ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি বিশ্ব জুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করে ডব্লিউএইচও। কিন্তু তাতেও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় অবশেষে ঐ বছরের ১১ মার্চ করোনাকে মহামারি হিসেবে ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।
আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৬৪ কোটি ৯২ লাখ ৪৫ হাজার ২৯২ জন এবং এ রোগে মৃত্যু হয়েছে মোট ৬৬ লাখ ৪৪ হাজার ৬১৬ জনের।
এবিসিবি/এমআই