লিভ টুগেদারের বৈধতা দিল আরব আমিরাত, লাইসেন্স ছাড়া মাদকদ্রব্য বিক্রির নিয়মও শিথিল

মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম প্রভাবশালী দেশ আরব আমিরাত (দুবাই) লিভ টুগেদারকে বৈধতা দিয়েছে।
এর অর্থ হল- এক সময়কার কট্টর ইসলামি অনুশাসনের দেশটিতে এখন থেকে অবিবাহিত নারী-পুরুষ একসাথে থাকতে পারবেন। আইনগতভাবে কোনো ধরনের বাধার মুখে তাদেরকে পড়তে হবে না।
একই সাথে লাইসেন্স ছাড়া মদপানের সুযোগও দেয়া হয়েছে জনগণকে।
দেশটির ইসলামিক পারসোনাল ল’-তে পরিবর্তন আনার মধ্য দিয়ে এই ২টি সুযোগ দেয়া হয়েছে ২১ বছরের বেশি বয়সী মানুষের জন্য।
একইসাথে কথিত ‘অনার কিলিং’-কে অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করার বিষয়টিও অনুমোদন করেছে আরব আমিরাত। জীবনমান উন্নত করার লক্ষ্যে দেশটির আইনে এসব পরিবর্তন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, সংযুক্ত আরব আমিরাতে বহু ধর্ম-বর্ণের লোকের বসবাস রয়েছে। তবে দেশটি মূলত আরব মুসলিমের শাসনাধীন ও তাদের বাসস্থান।
সেপ্টেম্বরে আমেরিকার মধ্যস্থতায় ইসরাইল-আরব আমিরাত সম্পর্ক স্বাভাবিক করা হয়। মুসলিম দেশটি এরপরই ইসরাইলের কাছ থেকে বিনিয়োগ ও পর্যটক আকর্ষণের চেষ্টা করছে।
সরকার সিদ্ধান্ত নেয়ার পর এ আইন কার্যকর হচ্ছে দ্রুত। এখন থেকে মদপান, মাদবদ্রব্য ও বিক্রি ও মালিকানায় রাখার কারণে কোনো সমস্যায় পড়তে হবে না।
এ ছাড়া ২১ বছরের বেশি বয়সী অবিবাহিত নারী-পুরুষ আত্মীয় হোক বা না-হোক, একসাথে বসবাসের ক্ষেত্রে কোনো জবাবদিহির মধ্যে পড়তে হবে না।
গত শনিবার মুসলিম ব্যক্তিগত ও পারিবারিক আইনে পরিবর্তনের এঘোষণা দেয়া হয় আরব আমিরাতের পক্ষ থেকে।
এতদিন আরব আমিরাতের আইনে লাইসেন্স ছাড়া মদ ও মাদক রাখা এবং বিক্রির দায়ে ধরা পড়লে শাস্তির মুখে পড়ার বিধান ছিল। এ জন্য বিধান ছিল অন্তত ৮০টি বেত্রাঘাতের। অবশ্য এ ধরনের শাস্তি বাস্তবায়নের ঘটনা খুবই কম দেখা গেছে।
এটি দেশটিতে বসবাসকারী লক্ষ বিদেশির জন্য বড় খবর। সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিদেশি নাগরিকের সংখ্যা দেশটির মূল অধিবাসীদের ১০ গুণ।