Type to search

আন্তর্জাতিক

বিদায়ের আগে ‘ইরানে হামলার ছুতা খুঁজছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প’

নির্বাচনে হারের পর কী করবেন, ঠিক বুঝে উঠতে পারছেন না মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ক্ষমতা ছাড়ার আগে তাই ইরানে হামলার ফন্দি এঁটেছিলেন তার। বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) ওভাল অফিসে শীর্ষ উপদেষ্টাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন ট্রাম্প। ইরানের প্রধান পরমাণু স্থাপনায় হামলা চালানোর সুযোগ আছে কিনা- উপদেষ্টাদের কাছে জানতে চেয়েছিলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ৪ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে গত সোমবার এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে দ্য নিউইয়র্ক টাইমস।

ইরানে হামলার পরিকল্পনা নিয়ে ওভাল অফিসে আলোচনা করতে উপস্থিত ছিলেন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও, নতুন ভারপ্রাপ্ত প্রতিরক্ষামন্ত্রী কিস্টোফার মিলার ও জয়েন্ট চিফ অব স্টাফের চেয়ারম্যান জেনারেল মার্ক মিলি। এক পর্যায়ে হামলার পরিকল্পনা নিয়ে অগ্রসর না হতে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে রাজি করান তারা। এ ক্ষেত্রে সীমান্ত সংঘাতের ঝুঁকির কথা বলেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপদেষ্টারা।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মূলত ইরানের নাতাঞ্জ পরমাণু স্থাপনায় হামলা চালাতে চেয়েছিলেন। জাতিসংঘ গত সপ্তাহে জানিয়েছিল, ইরান ওই স্থাপনায় পরমাণু সমঝোতায় অনুমোদিত পরিমাণের চেয়ে মজুদ করেছে ১২ গুণ ‘সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম’। পররাষ্ট্রমন্ত্রী পম্পেও, জেনারেল মিলিসহ উপস্থিত অন্য উপদেষ্টারা ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এই বলে সতর্ক করে দেন- ইরানের পরমাণু স্থাপনায় হামলা চালালে মধ্যপ্রাচ্যে বড় আকারে সামরিক সংঘাত বেধে যেতে পারে। এ ছাড়া মেয়াদ শেষ হওয়ার মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে এমন সংঘাত বাধানো ঠিক হবে না বলেও জানান ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপদেষ্টারা।

তারা জানান, ইরানে হামলা চালালে উদ্ভূত পরিস্থিতি আর ওয়াশিংটনের নিয়ন্ত্রণে থাকবে না। ট্রাম্প প্রশাসনের কয়েক কর্মকর্তা অবশ্য জানিয়েছে, সতর্ক করার পরও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এখনও সম্ভবত ইরানে হামলার পাঁয়তারা থেকে পিছু হটেননি। বুধবারও বিষয়টি নিয়ে তিনি অল্প কয়েকজন জাতীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তার সাথে আলোচনা করেছেন। ইরাকে ইরানঘনিষ্ঠ মিলিশিয়া গোষ্ঠীগুলোর ওপরেও হামলার পরিকল্পনা ত্যাগ করেননি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। হোয়াইট হাউস এসব বিষয়ে কোনো আলোচনা করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার ৪ বছর মেয়াদের প্রায় পুরোটাজুড়েই ইরানের ব্যাপারে আগ্রাসী নীতি অনুসরণ করেছেন। তিনি ইরানের সাথে পরমাণু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এ ছাড়া ইরানের ওপর নতুন করে অর্থনৈতিক অবরোধও আরোপ করে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। গত ৩ নভেম্বর অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্প হেরেছেন। কিন্তু নবনির্বাচিত ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট বাইডেনের কাছে পরাজয় স্বীকার করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছেন ট্রাম্প। নিয়ম অনুসারে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট ২০ জানুয়ারি ক্ষমতা গ্রহণ করবেন। কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন এখন পর্যন্ত ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়ায় কোনো সহযোগিতা করছে না।

এদিকে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আমেরিকার বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আফগানিস্তান এবং ইরাক থেকে আরও সেনা ফেরানোর নির্দেশ দিতে পারেন। তেহরানের ব্যাপারে আগ্রাসী হলেও আফগানিস্তান-ইরাক থেকে সেনা ফেরাতে তিনি তড়িঘড়ি করছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা জানান, আফগানিস্তান থেকে আগামী মধ্য জানুয়ারি নাগাদ সেনাসংখ্যা প্রায় ৫ হাজার থেকে আড়াই হাজারে নামিয়ে আনা হবে। আর ইরাকে সেনাসংখ্যা ৩ থেকে কমিয়ে করা হবে আড়াই হাজার

Translate »