Type to search

আন্তর্জাতিক

তীব্র উষ্ণতায় চরম ঝুঁকিতে দক্ষিণ এশিয়ার ৪৬ কোটি শিশু

জলবায়ু পরিবর্তনের জেরে বৈশ্বিক উষ্ণতা বাড়ার প্রেক্ষাপটে দক্ষিণ এশিয়ার তিন-চতুর্থাংশ শিশু এরই মধ্যে ভয়াবহ উচ্চ তাপমাত্রা মোকাবিলা করছে। বাংলাদেশসহ এ অঞ্চলের চার দেশের শিশুরা চরম ঝুঁকিতে আছে। সব মিলিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার ৪৬ কোটি শিশু তীব্র উষ্ণতায় ভোগান্তিতে রয়েছে। সোমবার জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ এসব তথ্য জানায়। খবর এএফপির।

ইউনিসেফের দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক আঞ্চলিক পরিচালক সঞ্জয় উইজেসেকারা বলেন, বিশ্বব্যাপী সিদ্ধ হওয়ার মতো আবহাওয়ার বাস্তবতায় নথি থেকে স্পষ্টভাবে জানা যাচ্ছে, দক্ষিণ এশিয়ার লাখ লাখ শিশুর জীবন ও অগ্রগতি ক্রমাগত হুমকিতে ফেলছে তাপপ্রবাহ ও উচ্চ তাপমাত্রা। জাতিসংঘ সতর্ক করে বলেছে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে তীব্র তাপমাত্রার কারণে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও মালদ্বীপের শিশুরা চরম ঝুঁকিতে রয়েছে। এসব এলাকায় বছরে ৮৩ দিন তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি থাকে।

শিশুরা তাপমাত্রা পরিবর্তনের সঙ্গে দ্রুততর সময়ে মানিয়ে নিতে পারে না। তারা শরীর থেকে অতিরিক্ত উষ্ণতা বেরও করে দিতে পারে না। সঞ্জয় উইজেসেকারা বলেন, কম বয়সী শিশুরা বাস্তবিক অর্থে উষ্ণতা সহ্য করতে পারে না। এখনই পদক্ষেপ নিলে এ শিশুরা আগামী বছরগুলোতে আরও ঘন ঘন ও ভয়াবহ তাপপ্রবাহ মোকাবিলা করতে পারে।

এরই মধ্যে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যাপক ব্যবহারের ফলে আটারো শতকের চেয়ে বৈশ্বিক উষ্ণতা ১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়েছে। এতে তাপপ্রবাহ আরও বেশি ঘন ঘন, তীব্র ও দীর্ঘস্থায়ী হয়েছে। সেই সঙ্গে ঝড় ও বন্যার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগও বেড়েছে। চলতি বছরের জুলাই ছিল ইতিহাসের সবচেয়ে উষ্ণতম মাস।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের প্রভাবে বিশ্বব্যাপী তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়াসহ যেসব প্রভাব পড়েছে, তা অবশ্যই ঠিকঠাক করতে হবে। ভবিষ্যতের খারাপ পরিণতি থেকে বাঁচতে এ দশকের মধ্যেই নাটকীয়ভাবে অবশ্যই কার্বন দূষণ কমিয়ে আনতে হবে।

এবিসিবি/এমআই

Translate »