Type to search

Lead Story আন্তর্জাতিক

গাজাবাসীদের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করা অবিচার: ট্রাম্পের মন্তব্যের পর সিসি

মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি বলেছেন, গাজাবাসীদের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করা একটি অবিচার। আমরা এই অবিচারে অংশ নিতে পারি না।

সম্প্রতি গাজা খালি করা নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন্তব্যের পর বুধবার (২৯ জানুয়ারি) কায়রোতে কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুতোর সঙ্গে এক সংবাদ সম্মেলনে সিসি এ কথা বলেন।

সিসি বলেন, ফিলিস্তিনি জনগণকে তাদের ভূমি থেকে বিতাড়িত ও বাস্তুচ্যুত করা একটি অবিচার যেখানে আমরা অংশ নিতে পারি না। ফিলিস্তিন ইস্যুতে মিসরের ঐতিহাসিক অবস্থানের সঙ্গে কখনোই আপস করা যাবে না।

তিনি আরও বলেন, মিশর ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সমর্থন করে এবং ট্রাম্পের সঙ্গে কাজ করতেও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ, যিনি দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের ভিত্তিতে কাঙ্ক্ষিত শান্তি অর্জন করতে চান। আমরা বিশ্বাস করি, ট্রাম্প মধ্যপ্রাচ্যে ন্যায্য ও দীর্ঘস্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার এই দীর্ঘ প্রতীক্ষিত লক্ষ্য পূরণ করতে সক্ষম হবে।

১৯ জানুয়ারি ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর গত সোমবার ট্রাম্প গাজা উপত্যকা ‘খালি’ করার পরিকল্পনার পরিকল্পনা তুলে ধরে ফিলিস্তিনিদের মিশর বা জর্ডানের মতো স্থানে সরে যাওয়ার আহ্বান জানান। সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, তিনি আশা করছেন মিশরের প্রেসিডেন্ট কিছু গাজাবাসীকে তার দেশে নিয়ে যাবেন। ‘আমরা তাদের অনেক সাহায্য করেছি এবং আমি নিশ্চিত যে তিনি আমাদের সাহায্য করবেন। আমি মনে করি জর্ডানের রাজাও এটি করবেন।’

জর্ডানও ট্রাম্পের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, জর্ডান জর্ডানিদের জন্য এবং ফিলিস্তিন ফিলিস্তিনিদের জন্য।

২০২৩ সালের অক্টোবরে ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে উভয় দেশই ফিলিস্তিনিদের গাজা থেকে প্রতিবেশী মিশরে এবং পশ্চিম তীর থেকে জর্ডানে বাস্তুচ্যুত করার পরিকল্পনার বিষয়ে সতর্ক করে আসছে।

সিসি বারবার সতর্ক করে দিয়েছেন, এই ধরনের বাস্তুচ্যুতি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের ইস্যুটিই নিঃশেষ করে ফেলবে।

প্রসঙ্গত, মিশর যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রধান আরব মিত্র। ইসরায়েল ছাড়া মিসরই একমাত্র দেশ, যারা চলতি সপ্তাহে ট্রাম্পের বৈদেশিক সহায়তা স্থগিত থেকে ছাড় পেয়েছিল।

-ইত্তেফাক

Translate »