ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা উদযাপন করেছে ইরান

ইসরায়েলে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা উদযাপন করতে তেহরানের রাস্তায় বহু মানুষ নেমে এসেছেন। তারা ইরান, লেবানন ও হিজবুল্লাহর পতাকা এবং নিহত হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরুল্লাহর প্রতিকৃতি হাতে নিয়ে হামলার সমর্থন জানান।
ইরানে ব্রিটিশ দূতাবাসের সামনে মূলত এই জমায়েত হয়। এর আগে এপ্রিলে ইসরায়েলে ইরানের হামলার পরও এই একই স্থানে জমায়েত লক্ষ্য করা যায়।
মঙ্গলবার রাতজুড়ে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ১৮১ টি ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছে ইরানের সেনাবাহিনীর এলিট শাখা ইরান রেভোল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি)। অধিকাংশ ক্ষেপণাস্ত্রই অবশ্য লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার আগেই ধ্বংস করে দিয়েছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।
তবে কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করা যায়নি। সেসব ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর এলাকায় একজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন দুজন ইসরায়েলি। আইডিএফ কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে টাইমস অব ইসরায়েল এবং এএফপি।
ইরান যে হামলা চালিয়েছে তার অন্যতম লক্ষ্য ছিল ইসরায়েলের নেভাতিম বিমান ঘাঁটি। যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিএনএন হামলার ভিডিও বিশ্লেষণ করে জানিয়েছে, নেভাতিম ঘাঁটিতে অন্তত কয়েক ডজন ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইরান। যেগুলো একের পর এক ঘাঁটিতে আঘাত হানতে দেখা গেছে।
এদিকে ইরান হামলা শুরু করার পর যুদ্ধাকালীন মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠক ডাকেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। বৈঠক শেষে এক বক্তব্যে তিনি বলেছেন, ‘ইরান অনেক বড় ভুল করেছে এবং এই ভুলের জন্য ইরানকে মূল্য দিতে হবে।’ ইরানে হামলা চালানোর হুমকিও দিয়েছেন তিনি।
অপরদিকে ইরানের রেভ্যুলশনারি গার্ড বলছে, ইসরায়েল যদি এই হামলার জবাব দেয়, তাহলে আরও হামলা চালানো হবে।
-এএফপি