সরকারের অস্তিত্ব সংকটাপন্ন

সরকারের অস্তিত্ব এতোটাই সংকটাপন্ন উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ক্ষমতায় টিকে থাকতে তারা দেশের জনগণসহ বিএনপি ও বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের ওপর মরণকামড় দিতে শুরু করেছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, একটি গণতান্ত্রিক দেশে এখন বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর সভা-সমাবেশের ওপরই কেবল বাধা দেওয়া হচ্ছে না, বরং যে কোনো জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানের ওপরও ন্যাক্কারজনক হামলা চালানো হচ্ছে। বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলায় কেবল আওয়ামী সন্ত্রাসীরাই নয়, আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীও এ ধরণের হামলায় পিছিয়ে নেই।
তিনি আরও বলেন, দুর্গাপুর উপজেলা এবং পৌর বিএনপিসহ অঙ্গ ও এর সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত মহান স্বাধীনতা দিবসের র্যালিতে পুলিশ কর্তৃক হামলা, নেত্রকোণা জেলা বিএনপি’র সাবেক সদস্য ও দুর্গাপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ইমাম হাসান আবু চান চেয়ারম্যান (গুলিবিদ্ধ অবস্থায়), দুর্গাপুর পৌর বিএনপির আহবায়ক আতাউর রহমান ফরিদ আলী, পৌর যুবদলের আহবায়ক আবু সিদ্দিক রুক্কু (গুলিবিদ্ধ অবস্থায়), গাঁওকান্দিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক শাহ আলমসহ ৮ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার এবং দুর্গাপুর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক জহিরুল আলম ভুঁইয়া, দুর্গাপুর পৌর বিএনপির সদস্য সচিব হারেজ গণি, দুর্গাপুর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক জামাল উদ্দিন মাস্টার, পৌর যুবদলের সদস্য সচিব সম্রাট গণি, দুর্গাপুর উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক শিশির আহমেদ এবং উপজেলা বিএনপি নেতা বাদশা মিয়াসহ ৬০ জনের অধিক নেতাকর্মীকে গুলিবিদ্ধ করা ও নেতাকর্মীদের তিন শতাধিক মোটরসাইকেল নিয়ে যাওয়ার ঘটনা তারই প্রমাণ। সবমিলিয়ে বর্তমান শাসকগোষ্ঠী এখন ফ্যাসিবাদী কায়দায় দেশ শাসন করছে।
ফখরুল বলেন, দমন-পীড়ন চালিয়ে জনগণের মৌলিক অধিকার হরণ এবং বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের ওপর ক্রমাগত জুলুম ও রক্তপাতের বিরুদ্ধে দেশের মানুষের ঐক্যবদ্ধ হওয়া এখন খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে।
বিএনপি মহাসচিব অবিলম্বে উল্লিখিত গ্রেপ্তারকৃত নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ তাদের নিঃশর্ত মুক্তির জোর দাবি জানান। একইসঙ্গে তিনি পুলিশী গুলিবর্ষণে গুরুতর আহত নেতাকর্মীদের আশু সুস্থতা কামনা করেন।-সমকাল
এবিসিবি/এমআই