রক্ত ঝরানোর খেলায় মেতেছে সরকার
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ক্ষমতার নড়বড়ে অবস্থা অনুধাবন করেই অবৈধ সরকার রক্ত ঝরানোর খেলায় উন্মাদ হয়ে উঠেছে। জোর করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে সরকার আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের দিয়ে বিরোধী মত ও বিশ্বাসের মানুষকে ধ্বংস করে দিতে চাচ্ছে। বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, শান্তিপূর্ণ কর্মিসভায় যাওয়ার পথে বিএনপির ময়মনসিংহ বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সের গাড়িবহরে সন্ত্রাসীদের হামলা, কৃষক দলের সহসভাপতি আবুল বাশার আকন্দের গাড়িসহ অন্য নেতাদের গাড়ি ভাঙচুর ও নেতাকর্মীকে আহত করা হয়েছে। শেরপুরে নেতাকর্মীর ওপর সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে তাঁদের আহত করেছে এবং মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিএনপি নেতাকর্মীর ওপর হামলা নিঃসন্দেহে কাপুরুষতা। অশুভ উদ্দেশ্যেই তারা এ ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। রাষ্ট্র পরিচালনার সব ক্ষেত্রে নজিরবিহীন ব্যর্থতা আড়াল করতেই সরকার দেশব্যাপী একের পর এক অমানবিক ও নৃশংস তাণ্ডব চালাচ্ছে। কিন্তু জনগণ এখন দুঃশাসন প্রতিরোধে চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিচ্ছে
তিনি নেতাকর্মীর ওপর হামলাকারী সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। পাশাপাশি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং গ্রেপ্তার নেতাকর্মীর মুক্তির দাবি জানিয়েছেন।
অনুমতি না দিলেও নয়াপল্টনেই মহাসমাবেশ-গয়েশ্বর: আগামী ১০ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপি মহাসমাবেশ করবে বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশের অনুমতি চেয়েছি। সেখানেই সমাবেশ করব। অনুমতি দিলেও করব, না দিলেও করব।’
বৃহস্পতিবার ঢাকা জেলা বিএনপির নতুন কমিটির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরীকে নিয়ে শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আবুল খায়ের ভুঁইয়া, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ঢাকা জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ডা. দেওয়ান সালাউদ্দিন বাবু, নতুন কমিটির সহসভাপতি খন্দকার মাঈনুল ইসলাম, যুগ্ম মহাসচিব শামছুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।-সমকাল
এবিসিবি/এমআই