মিয়ানমারে সু চিসহ গ্রেপ্তার হওয়া সব নেতাকে মুক্তি দিতে হবে: অস্ট্রেলিয়া

অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেরিস পাইন। ছবি: সংগৃহীত
অনলাইন ডেস্ক:
এক বছরের জরুরি অবস্থা জারি করে ক্ষমতায় বসেছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। দেশের ক্ষমতা হস্তান্তর করা হয়েছে কমান্ডার-ইন-চিফ মিন অং হ্লেইংয়ের কাছে। গত কয়েকদিন ধরে দেশটির বেসামরিক সরকারের সাথে উত্তেজনার মধ্যেই এমন পদক্ষেপ নিয়েছে সেনাবাহিনী।
আজ সোমবার (১ফেব্রুয়ারি) মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) প্রধান অং সান সু চি, দেশটির প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টসহ বেশ কয়েকজনকে আটক করে সেনাবাহিনী। স্থানীয় সময় সকালে অভিযান চালিয়ে এসব নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এনএলডির মুখপাত্র মিও নিয়ুন্ট।
মিয়ানমার সেনাবাহিনীর এই সামরিক অভ্যুত্থানের নিন্দা জানিয়ে অস্ট্রেলিয়া জানিয়েছে, তাৎক্ষণিকভাবে সু চিসহ গ্রেপ্তার হওয়া সব নেতাকে মুক্তি দিতে হবে। একই সাথে দেশের ক্ষমতা দখলের বিষয়েও মিয়ানমারের সেনাবাহিনীকে সতর্ক করা হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেরিস পাইন এক বিবৃতিতে জানান, মিয়ানমার সেনাবাহিনীকে আইনের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আহ্বান জানাচ্ছি আমরা। আইনি ব্যবস্থার মাধ্যমেই বিরোধ নিরসন এবং যেসব বেসামরিক নেতাকে বেআইনিভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের তাৎক্ষণিক মুক্তি দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
মেরিস পাইন জানান, দেশটিতে ২০২০ সালের জাতীয় নির্বাচনের ফলাফল অনুসারে শান্তিপূর্ণ সরকার গঠনের প্রতি আমাদের দৃঢ় সমর্থন রয়েছে। আজ সোমবার নব-নির্বাচিত সংসদের প্রথম বৈঠক হবার কথা ছিল। কিন্তু অধিবেশন স্থগিত করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানায় সেনাবাহিনী।
আমেরিকারও মিয়ানমারের নেতাদের মুক্তি দিতে দেশটির সেনাবাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। একইসঙ্গে অভ্যুন্থান নিয়ে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসন।
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জেন সাকি এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, মিয়ানমারের সম্প্রতি নির্বাচনের ফলাফল পরিবর্তন বা গণতান্ত্রিকভাবে ক্ষমতা পরিবর্তন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার যেকোনো প্রচেষ্টাকে যুক্তরাষ্ট্র বিরোধিতা করে। যদি এই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা না হয়, তাহলে যারা এরসঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো আমরা।