মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার জন্য সরকার চূড়ান্ত পর্যায়ে উপনীত

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার জন্য সরকার চূড়ান্ত পর্যায়ে উপনীত। কথা, চিন্তা, মতপ্রকাশ, বিবেক, সংগঠন ও সমাবেশের স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে হুকুমবাদের দৌরাত্ম্যে। বহুত্ববাদিতা বিনষ্ট করে সামাজিক ভারসাম্য ও স্থিতি নষ্ট করা হয়েছে। তাই এখন সর্বত্র ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর দখলবাজদের জয়জয়কার। এই অসহনীয় দুঃশাসনের অবসান ঘটাতে জনসাধারণকে হতে হবে ঐক্যবদ্ধ।’
১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি বাকশাল ঘোষণা উপলক্ষে গতকাল সোমবার (২৪ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে তিনি একথা বলেন। এ দিনটিকে বিএনপি গণতন্ত্র হত্যা দিবস হিসেবে পালন করছে।
ফখরুল জানান, ক্ষমতাকে চিরকাল কুক্ষিগত করার অসৎ উদ্দেশ্যে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার একদলীয় শাসনব্যবস্থা বাকশাল গঠন করে হত্যা করে গণতন্ত্রকে। একটি মাত্র দল বাকশাল ছাড়া অন্য সব দল এবং সরকার অনুগত চারটি সংবাদপত্র ছাড়া বাকি গণমাধ্যম বন্ধ করে দেওয়া হয়। এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বহুদলীয় গণতন্ত্র ও জনগণের বাক-ব্যক্তিস্বাধীনতাকে গলাটিপে হত্যা করা হয়। শুধু তাই নয়; বাকস্বাধীনতা ও মানুষের মৌলিক অধিকার খর্ব করে মূলত মানবাধিকারকেই পদদলিত করেছে তারা।
তিনি জানান, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি ভোটারবিহীন নির্বাচন এবং ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর ভুয়া ভোটের নির্বাচনে জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে দেশে দ্বিতীয় বাকশালি রাজত্ব কায়েম করা হয়েছে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুপরিকল্পিতভাবে জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়ার জন্য আগেভাগেই আওয়ামী লীগ সরকার দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারাবন্দি করে।
এবিসিবি/এমআই