Type to search

Lead Story ফিচার

বিদায় বিষের ২০

বিদায় বিষের ২০

বিকাল গড়িয়ে যখন ঘড়ির কাঁটা সন্ধ্যার দিকে হামাগুড়ি দেবে তখনই হবে এ বছরের শেষ সূর্যাস্ত। অর্থাৎ ৫টা ২২ মিনিট হচ্ছে বছরের শেষ সূর্য দেখার সময়। এরপর আবার সূর্য যখন লাল হাতের মুঠো খুলে জানান দেবে, তখন হবে নতুন বছরের প্রথম সূর্যোদয়। ঘড়ির কাঁটা ৬টা ৪১ মিনিট স্পর্শ করার সঙ্গে সঙ্গে নতুন বছরের সকাল শুরু হবে। অবশ্য রাত ১২টা ১ মিনিটে আতশবাজি থেকে শুরু করে বিভিন্ন আঙ্গিকে নতুন ২০২১ সালের আলিঙ্গন শুরু হয়ে যাবে।

বছরের শেষের দিনে ২০২০ সালের পুরো বছরপানে ফিরে তাকালে মনে হয়, ২০২০ সালটা ছিল বিষসাল। এর অন্যতম কারণ হচ্ছে, করোনাভাইরাস বাংলাদেশসহ বিশ্বকে গ্রাস করে। এই বিদায়ি বছরে এত বেশি মহীরুহের পতন হয়েছে যা ১৯৭১ সালের পর হয়েছে কি না, সন্দেহ। বিশেষ করে শিল্প-সাহিত্যের জগতে এক অপূরণীয় শূন্যতা তৈরি করে গেল। একই সঙ্গে চিকিৎসক থেকে শুরু করে পুলিশ বাহিনীর সদস্য, সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধিসহ আরও অন্যান্য পেশার মানুষ অসময়ে চলে গেল। শুধু করোনার কারণে।

বিদায়ি বছরে শুরু হয় ১৭ মার্চ মুজিব বর্ষ। এ বর্ষ শুরুর জন্য অনেক আয়োজন ছিল সরকারে। কিন্তু করোনার কারণে সীমিত পরিসরে করতে হয়। করোনায় মানুষের জীবনযাপনও বেশ কিছুটা বদলে যায়। খাওয়া-দাওয়া থেকে শুরু করে একেবারে নিত্যপণ্যের মতো সামগ্রীর চাহিদাও নতুন রূপ ধারণ করে। শিক্ষাব্যবস্থা একেবারে লন্ডভন্ড হয়ে যায়। স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য সবাই সচেতন হয়ে পড়ে। ঘরবন্দি মানুষের কাছে অনেক নতুন বিষয় সামনে এসে দাঁড়ায়। দৈনন্দিন জীবনের চাকা অনেকটা স্তব্ধ হয়ে যায়।

বিশেষ করে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার বেগ অনেকটা থমকে যায়। চাকরি জীবনে অনেকের কর্মস্থল বন্ধ হয়ে যায়। অনেকে ঢাকা ছেড়ে নিজের গ্রামের বাড়িতে চলে যায়। পেশা বদলে যায় অনেকের। ভালো ছিল না অনেকেই। কবে করোনা থেকে মানুষ মুক্তি পাবে, কবে ভ্যাকসিন দেশে আসবে- এ নিয়ে প্রহর গোনে। তবে বছর শেষে দেশে ভ্যাকসিন আসার খবর শুনে আশ্বস্ত হয় মানুষ। যে কারণে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বললেন, আগামী বছর ভালোই যাবে। এরপরও চ্যালেঞ্জ থেকে যাবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

Translate »