বাইডেনের জয় নিশ্চিত করলো মার্কিন কংগ্রেস
যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ছবি : সংগৃহীত।
অনলাইন ডেস্ক:
চরম উদ্বেগ আর উৎকন্ঠার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে মার্কিন কংগ্রেসের যৌথসভায় জো বাইডেনকে জয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। আগামি ২০ জানুয়ারি শপথ নিতে আর কোনো বাধা নেই নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের।
বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) ওয়াশিংটন ডিসির ক্যাপটল হিলে ট্রাম্পপন্থীদের হামলার পর কংগ্রেসের অধিবেশনে বাইডেনের জয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় পাশাপাশি ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের জয় চূড়ান্ত করেছে কংগ্রেস ।
বাইডেন শপথ নেওয়ার আগেই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ক্ষমতাচ্যুত করার দাবি উঠেছে। পার্লামেন্ট ভবনে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উগ্র সমর্থকদের বিক্ষোভ, ভাংচুর ও সন্ত্রাসী সহিংসতায় এ পর্যন্ত চারজনের মৃত্যু এবং ১৪ জন পুলিশ আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসি’র অবরুদ্ধ ক্যাপিটল হিল বা সংসদ ভবনের ভেতরে দেশটির আইনপ্রণেতারা আর বাইরে কারফিউ। এমন এক শাসরুদ্ধকর অবস্থায় স্থানীয় সময় বুধবার রাতভর ইলেকট্রোরাল কলেজ ভোট গণনা শেষে জো বাইডেনকে প্রেসিডেন্ট ও কমলা হ্যারিসকে ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে জয়ী ঘোষণা করা হয়।গণতন্ত্র ও সংবিধান রক্ষায় মার্কিন নেতাদের এ অভূতপূর্ব রায়ে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে চূড়ান্ত অনুমোদন পেলেন জো বাইডেন।
এর আগে রিপাবলিকান সদস্যদের দাখিল করা এরিজোনা ও পেনসিলভেনিয়ার ফলাফল বাতিলের আবেদন নিয়ে দীর্ঘ বিতর্ক ও ভোটাভুটি শেষে তা খারিজ হয়ে যায়। পরে এক এক করে ৫০টি অঙ্গরাজ্যের ইলেকট্রোরাল ভোট সার্টিফাইট বা সত্যায়ন করে চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করেন অধিবেশনের সভাপতি ভাইস প্রেসিডন্ট মাইক পেন্স। এতে বাইডেনে-হ্যারিসের প্রাপ্ত ৩০৬ ইলেকট্রোরাল ভোট এবং ট্রাম্প-পেন্সের ২৩২ অক্ষুণ্ন থাকে। নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদ পরিচালনা করেন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। হাউস ও সিনেট যৌথ অধিবেশন শুরু হয় স্থানীয় বুধবার রাত ৮ টায় এবং তা শেষ হয় পরদিন বৃহস্পতিবার সকাল ৩টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত। যদিও রিপাবলিকান সিনেটরদের জর্জিয়া এবং উইসকনসিনের ভোট বাতিলের দাবি কোন প্রকার ভোটাভুটি ছাড়াই খারিজ হয়ে যায়। আবার অনেক রিপাবলিকান সদস্যরা তাদের অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেন।
একইসঙ্গে জর্জিয়া ও পেনসিলভানিয়ায় জো বাইডেনের পাওয়া ইলেকটোরাল ভোট নিয়ে ট্রাম্পের চ্যালেঞ্জ খারিজ করে দিয়েছে কংগ্রেস। ট্রাম্পপন্থীদের হামলার কারণে থমকে গিয়েছিল কংগ্রেস অধিবেশন।