দেশে সংঘাত সৃষ্টির পায়তারা করছে সরকার
ক্ষমতাসীন সরকার ইচ্ছা করেই গোটা দেশ, জাতিকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিবলেছেন, তারা দেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করতে চায়। বিরোধী দলগুলোর রাজনীতিকে ধ্বংস করতে মিথ্যা, গায়েবি ঘটনার সৃষ্টি করছে, মামলা দিচ্ছে। বিরোধী দলকে উস্কে দেওয়ার চেষ্টা করছে। বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির পাল্টা তথাকথিত শান্তি সমাবেশ বা শান্তি মিছিল কর্মসূচি দিচ্ছে। যা সংঘাতের দিকে ঠেলে দেওয়া ছাড়া আর কিছু নয়। এটা কখনই জনগণ মেনে নেবে না ও এর সব দায়-দায়িত্ব সরকারকে বহন করতে হবে।
মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলটির ‘প্রশিক্ষণ সেল’ এর উদ্যোগে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের (ডিআই)’ সহযোগিতায় নারী প্রতিনিধিদের দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন। এতে ২৫ জন নারী নেত্রী অংশ নেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের ডেনা এল ওলস, মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন, প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন, রাশেদা বেগম হীরা ছাড়াও অনুষ্ঠানে শিক্ষক মাজহারুল হক, প্রশিক্ষণ সেলের সদস্য রেহানা আক্তার রানু ও নেওয়াজ হালিমা আরলি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সোমবার রাতে রাজধানীর মগবাজারে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, এটা অত্যন্ত উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, ষড়যন্ত্রমূলক চক্রান্ত। বিরোধী দলের ওপর দায় চাপানোর জন্য, দোষারোপ করার জন্য সরকারের বিভিন্ন সংস্থা এসব নাটক করছে। এর আগেও ঘটেছে। কোথাও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটেনি অথচ বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে গায়েবি মামলা দিয়েছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। তারা একনায়কতন্ত্র অর্থাৎ তারাই একমাত্র, আর কেউ নেই, তারাই দেশের মালিক- এ রকম একটা মানসিকতায় কাজ করছে। অতীতেও করেছে। আর এখনো দেশে গণতন্ত্র নেই। সব রাজনৈতিক স্পেসগুলোকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।
ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের ডেনা এল ওলসের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, পৃথিবীর কোথাও কি আছে যে, একটি গণতান্ত্রিক দলের ৪০ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট মামলা দায়ের, দলের প্রধান নেত্রীকে মিথ্যা মামলায় আটক করে রাখা, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে মিথ্যা মামলায় বিদেশে নির্বাসিত করে রাখা, ছয়শ’ নেতাকর্মীকে গুম করে ফেলা, সহস্রাধিক মানুষকে হত্যা করার ঘটনা। কোথাও নেই।
দেশে গণতন্ত্র নেই বলে বিদেশিরা আসছে দাবি করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিদেশিরা এখানে মানবাধিকার, গণতন্ত্র ও নির্বাচন সম্পর্কে জানতে এসেছে। অন্য দেশে তো তারা যায় না। এখানে আসে কেন? কারণ এখানে গণতন্ত্র নেই। এখানে নির্বাচন হয়নি, এখানে নির্বাচন হয় না।
তিনি আরও বলেন, আজ একটা অসম যুদ্ধের মধ্যে আছি। এই যুদ্ধটা হচ্ছে গণতন্ত্রকে রক্ষা করার যুদ্ধ, এই লড়াইটা হচ্ছে দেশটাকে রক্ষা করার লড়াই, এই লড়াইটা হচ্ছে অস্তিত্বের লড়াই। দেশে বিরোধী দলগুলো এখন যেসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে, তা আগে কখনো করেনি। সামনের নির্বাচনেই নির্ধারিত হবে দেশে গণতন্ত্র থাকবে, কি থাকবে না, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব থাকবে, কি থাকবে না, আর দেশের জনগণ চিরদিনের জন্য দাস হয়ে যাবেন কিনা। কথাগুলো আবেগে বলছি। এটা আমার অনুভূতি।-সমকাল
এবিসিবি/এমআই