গরিলার দেহে করোনাভাইরাস
স্যান ডিয়েগোর সাফারি পার্কের একটি গরিলা
অনলাইন ডেস্ক:
যুক্তরাষ্ট্রের সান দিয়েগো জু সাফারি পার্কের কয়েকটি গরিলার শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। বিশ্বে প্রথমবারের মতো এ প্রজাতির প্রাণীর শরীরে করোনা সংক্রমণের কথা জানা গেল।
এর আগে দেশটির ব্রোঙ্কস চিড়িয়াখানায় কয়েকটি বাঘ ও সিংহের শরীরে কভিড-১৯ ভাইরাস ধরা পড়ে।
সান দিয়েগো জু সাফারি পার্কে একসঙ্গে থাকা আটটি গরিলার দেহে ভাইরাস রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এর মধ্যে কয়েকটির কাশিও হচ্ছে।
এর আগে দেশটির ব্রোঙ্কস চিড়িয়াখানায় কয়েকটি বাঘ ও সিংহের শরীরে কভিড-১৯ ভাইরাস ধরা পড়ে।যুক্তরাষ্ট্রের সান দিয়েগো জু সাফারি পার্কের কয়েকটি গরিলার শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। বিশ্বে প্রথমবারের মতো এ প্রজাতির প্রাণীর শরীরে করোনা সংক্রমণের কথা জানা গেল।
করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে গত ৬ ডিসেম্বর থেকে জনসাধারণের জন্য বন্ধ রয়েছে সান দিয়েগো জু সাফারি পার্ক। তার পরও যুক্তরাষ্ট্রে কৃষি বিভাগের ন্যাশনাল ভেটেরিনারি সার্ভিসের পরীক্ষাগারে তিনটি গরিলার শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। সেখানকার আটটি গরিলার সবক’টির নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
ধারণা করা হচ্ছে, পার্কের রক্ষণাবেক্ষণ কর্মীদের একজনের মাধ্যমে গরিলাগুলো সংক্রমিত হয়েছে। ওই কর্মীর করোনা শনাক্ত হলেও তার কোনো লক্ষণ ছিল না। গরিলার আশপাশে যাওয়ার সময় তিনি মাস্ক পরে ছিলেন।
মানুষের ডিএনএর সঙ্গে প্রায় ৯৮ শতাংশ মিল রয়েছে গরিলার। গবেষণায় জানা গেছে, মানুষ ছাড়া আরও কিছু প্রাণী করোনায় আক্রান্ত হতে পারে। তবে গরিলার ওপর করোনার প্রভাব কতটা মারাত্মক হতে পাওে, তা এখনও জানা যায়নি।
সান দিয়েগো পার্কে যেসব গরিলা করোনায় আক্রান্ত হয়েছে, সেগুলো ওয়েস্টার্ন লোল্যান্ড গরিলা। ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ডলাইফ ফান্ডের তথ্য অনুযায়ী রোগ ও পাচারের কবলে পড়ে বিগত ২০ বছরে এ প্রজাতির ৬০ শতাংশ গরিলা হারিয়ে গেছে।
মার্কিন দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্ট বলছে, মানুষ ও এপ বা বানরজাতীয় প্রাণীর মধ্যে বহু মিল আছে এবং সেকারণে করোনাভাইরাস গরিলার মত বিপন্ন প্রজাতির এপদের জন হুমকি হয়ে উঠতে পারে বলে এর আগেই বিজ্ঞানীরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
গরিলার মত এপদের মধ্যে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিজ্ঞানীরা
এক বিবৃতিতে সাফারি পার্কটির নির্বাহী পরিচালক লিসা পিটারসন বলেন, “কারো কারো কফ জমে গেছে এবং কাশি হচ্ছে – তা ছাড়া গরিলারা ভালোই আছে।”
“তাদের কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে এবং তারা খাবার খাচ্ছে, পানি খাচ্ছে। আমরা আশা করছি যে তারা পুরোপুরি সেরে উঠবে।
ডিসেম্বর মাসের শুরু থেকেই করোনাভাইরাস মহামারির কারণে সাফারি পার্কটি বন্ধ রয়েছে।