কোটা আন্দোলনে মৃত্যুর সংখ্যা সম্পর্কে এখন পর্যন্ত যা জানা যাচ্ছে
কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহতদের সংখ্যার বিষয়ে প্রকাশিত সরকারি তথ্যের সঙ্গে বেসরকারি তথ্যের বড় ব্যবধান লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
ফলে আন্দোলনকে ঘিরে গত দুই সপ্তাহের সহিংসতায় ঠিক কতজন প্রাণ হারিয়েছেন, সেটি নিয়ে এক ধরনের ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।
আন্দোলন ঘিরে সহিংসতায় সোমবার পর্যন্ত সারা দেশে দেড়শ মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। অন্যদিকে, গত ১৬ই জুলাই থেকে এখন পর্যন্ত শিক্ষার্থীসহ অন্তত ২৬৬ জন মানুষ মারা গেছেন বলে দাবি করছেন আন্দোলনকারীরা। আহত হয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ।
এর মধ্যে আবার স্থানীয় গণমাধ্যমগুলোর খবরেও মৃত্যু নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন তথ্য প্রকাশ হতে দেখা যাচ্ছে। কোথাও বলা হয়েছে মৃতের সংখ্যা ২১১ জন, আবার কোন গণমাধ্যম দাবি করছে ১৮৫ জন।
কিন্তু কোটা সংস্কার আন্দোলনের সহিংসতায় নিহতের সংখ্যা প্রকৃতপক্ষে কত? এ বিষয়ে হাসপাতালগুলোই-বা কী বলছে?- খোঁজ নিয়েছে বিবিসি বাংলা।
মৃতের সংখ্যা দুইশ’ ছাড়িয়েছে
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে গত দুই সপ্তাহের সহিংসতায় এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্যে অন্তত ২০৮ জনের মৃত্যুর তথ্য পেয়েছে বিবিসি বাংলা। আহত হয়েছে পাঁচ হাজারের বেশি মানুষ।
ঢাকাসহ যেসব জেলায় সংঘর্ষ ও সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে, সেসব এলাকার দুই ডজনেরও বেশি হাসপাতাল এবং নিহতদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
এর মধ্যে কেবল ঢাকা মহানগরীর হাসপাতালগুলোতেই মারা গেছেন অন্তত ১৬৫ জন।
বাকিদের মৃত্যু হয়েছে সাভার, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, রংপুর, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, সিলেট, মাদারীপুর এবং বগুড়ায়।
এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে। সোমবার পর্যন্ত সেখানে মারা যাওয়া মোট মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে কমপক্ষে ৮৬ জনে।
“এদের মধ্যে ৬০ জনকেই হাসপাতালে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছে,” বিবিসি বাংলাকে বলেন হাসপাতালটির পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।
ঢাকার অন্য সরকারি হাসপাতালগুলোর মধ্যে শহীদ সোহরাওয়াদী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৩ জন, কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালে আটজন, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সাতজন এবং ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব নিউরোসায়েন্স ও হাসপাতালে ছয়জন মারা গেছেন।
এর বাইরে, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতাল এবং কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে চারজন করে আরও আটজনের মৃত্যু হয়েছে।
এছাড়া সহিংসতায় ঢাকায় পুলিশের তিনজন সদস্যের মৃ্ত্যুর তথ্য পাওয়া গেছে।
অন্যদিকে, কোটা আন্দোলনের সহিংসতায় আহত হয়ে ঢাকার বেসরকারি হাসপাতালগুলো থেকে অন্তত ৩৪ জনের মৃ্ত্যুর তথ্য পাওয়া গেছে।
এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির খবর মিলেছে উত্তরা ও রামপুরা-বনশ্রী এলাকার বেসরকারি হাসপাতালগুলো থেকে।
কারণ গত ১৮ই জুলাই থেকে ২০শে জুলাই পর্যন্ত এসব এলাকা রীতিমত রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছিল।
ঢাকা মহানগরীর বাইরে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে।
বেসরকারি এই হাসপাতালটিতে অন্তত ১০ জন মারা গেছেন বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
এছাড়া নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, নরসিংদী, রংপুর, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, সিলেট, মাদারীপুর এবং বগুড়ার বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে আরও কমপক্ষে ৩৩ জনের মৃত্যুর তথ্য পেয়েছে বিবিসি বাংলা।
মৃতদের সবার তথ্য নেই
কোটা আন্দোলনের সহিংসতায় মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আন্দোলনকারী, এমনকী সরকারের পক্ষ থেকেও এই কথা বলা হয়েছে।
এর একটি কারণ হলো আহতদের অনেকেই এখন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাচ্ছেন। আর দ্বিতীয় কারণটি হচ্ছে মৃতদের সবার তথ্য হাসপাতালগুলোর কাছে নেই।
কর্মকর্তাদের অনেকেই জানিয়েছেন যে, আহতদের চাপ সামলাতে গিয়ে নিহতদের সবার তথ্য তারা রাখতে পারেননি।
“যারা আহত অবস্থায় এসেছেন, তাদেরকে বাঁচানোই তখন আমাদের মূল ফোকাস ছিল। ফলে সবার তথ্য রাখা সম্ভব হয়নি,” বিবিসি বাংলাকে বলেন ফরাজী হাসপাতালের উপ-মহাব্যবস্থাপক রুবেল হোসাইন।
বনশ্রী, আফতাবনগর, বাড্ডা, যাত্রাবাড়ি এবং উত্তরার আরও অন্তত সাতটি হাসপাতাল থেকে একই ধরনের তথ্য পেয়েছে বিবিসি বাংলা।
নাম নিবন্ধন করার আগেই স্বজনদের অনেকে মরদেহ নিয়ে চলে গেছেন বলেও জানাচ্ছেন কর্মকর্তারা।
পুলিশ ও স্বজনরা আগ্রহ না দেখানোই মরদেহগুলোর ময়নাতদন্ত করা হয়নি বলেও জানিয়েছেন তারা।
১৮ই জুলাই থেকে পরবর্তী তিনদিনের মধ্যে উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কমপক্ষে ১১ জনের মরদেহ আনা হয়েছিল বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
“এর মধ্যে একজনের ব্যাপারে কোনও তথ্য আমাদের কাছে নেই। এন্ট্রি করার আগেই পরিবারের সদস্যরা লাশ নিয়ে চলে গেছে,” বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন হাসপাতালটির ঊর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা।
একই এলাকার ক্রিসেন্ট হাসপাতালে অন্তত সাত জনের মরদেহ এসেছিল বলে কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে। তবে নিবন্ধন খাতায় তথ্য আছে মাত্র পাঁচজনের।
এদিকে, ১৮ই জুলাইয়ের পর আফতাবনগর এলাকার নাগরিক স্পেশালাইজড হাসপাতালে অন্তত দু’জন ব্যক্তির মরদেহ আনা হয়েছিল বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
এর মধ্যে একজনের নাম-ঠিকানা লেখা থাকলেও অন্যজনের ব্যাপারে কোনও তথ্যই হাসপাতালটির কাছে নেই।
একই সময়ে বাড্ডা ও রামপুরা-বনশ্রী এলাকার বেটার লাইফ হাসপাতাল, ডেলটা হেলথ কেয়ার, আল-রাজী ইসলামিয়া হাসপাতাল, অ্যাডভানস হাসপাতাল, বাংলাদেশ মাল্টিকেয়ার হাসপাতালে শতাধিক আহত ব্যক্তি এবং বেশ কিছু মরদেহ আনা হয়েছিল।
এক্ষেত্রে আহতদের ব্যাপারে কিছু তথ্য নথিভুক্ত করা হলেও মরদেহের তথ্য রাখা হয়নি বলে হাসপাতালগুলোর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
“কারণ আমাদের এখানে কেউ মারা যায়নি। মৃত অবস্থাতেই আনা হয়েছিল,” বিবিসি বাংলাকে বলেন বাংলাদেশ মাল্টিকেয়ার হাসপাতালের একজন কর্মকর্তা।
একইভাবে, যাত্রাবাড়ি এলাকার সালমান হাসপাতাল, প্রো-অ্যাকটিভ হাসপাতাল এবং ইসলামিয়া হাসপাতালে মৃতদের ব্যাপারে কোনও তথ্য নেই।
মৃত অবস্থায় যেসব মরদেহ এসেছিল, সেগুলোকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালের মর্গে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছে হাসপাতালগুলো।
উল্লেখিত হাসপাতালগুলোর বাইরেও ঢাকায় আরও অনেক হাসপাতাল রয়েছে, যেগুলোতে আহতদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
তবে সেগুলোর সবক’টিতে গিয়ে খোঁজ নেওয়া বিবিসি বাংলার’র পক্ষে সম্ভব হয়নি।
পুলিশ এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারাও এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কোনও তথ্য বা পরিসংখ্যান জানাতে পারেনি।
এমনকি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যেসব মরদেহ আনা হয়েছিল, তার অনেকগুলো অজ্ঞাতনামা হিসাবে পরবর্তীতে দাফন করা হয়েছে।
‘বেশিরভাগই গুলিবিদ্ধ’
কোটা আন্দোলনের সহিংসতায় যে ২০৮ জনের মৃত্যুর খবর বিবিসি বাংলা পেয়েছে, তাদের বড় একটি অংশই গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন বলে জানিয়েছে হাসপাতালগুলো।
সহিংসতা শুরু হওয়ার পর গত প্রায় দুই সপ্তাহে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কমপক্ষে ৬০ জন মানুষকে মৃত অবস্থায় আনা হয় বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
“এদের বেশিরভাগই গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছে,” বিবিসি বাংলাকে বলেন হাসপাতালটির একজন চিকিৎসক।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থান যে ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে, তাদের মধ্যেও বেশিরভাগ গুলিবিদ্ধ ছিল বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই চিকিৎসক।
একই ধরনের তথ্য দিয়েছে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।
“আমাদের এখানে যে দশজনের মৃত্যু হয়েছে, তাদের প্রত্যেকেরই বুলেট ইনজুরি ছিল,” বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন হাসপাতালটির একজন কর্মকর্তা।
মূলতঃ কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়।
এসব সংঘর্ষের অসংখ্য স্থিরচিত্র এবং ভিডিও ফুটেজ মূলধারার গণমাধ্যমগুলোতে প্রচার হয়েছে।
একইসঙ্গে, ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতেও বেশকিছু ভিডিও ছড়িয়ে পড়তে দেখা গেছে।
সেসব ভিডিও ও স্থিরচিত্রে আন্দোলনকারীদের ইট-পাটকেলের বিপরীতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সদস্যদের কাঁদানে গ্যাস, রাবার বুলেট, ছররা বুলেট, এমনকী সরাসরি গুলি চালাতেও দেখা গেছে।
এসব গুলিতে অনেকেই হতাহত হয়েছেন, যাদের একজন রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ।
গত ১৬ই জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়টির ফটকের সামনে পুলিশের গুলিতে আহত হন মি. সাঈদ। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
এর দু’দিন পর ঢাকায় কপালে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসে’র (বিইউপি) শিক্ষার্থী মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধ।
একইভাবে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন টঙ্গী সরকারি কলেজে ছাত্র রিদোয়ান শরীফ রিয়াদ, ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেলে কলেজের (ডিআরএমসি) শিক্ষার্থী ফারহান ফাইয়াজ এবং সাংবাদিক তাহির জামান প্রিয়।
এছাড়া আন্দোলনে অংশ না নেওয়া অনেক সাধারণত মানুষও গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। তাদের মধ্যে কেউ কেউ ঘরের বারান্দা, এমনকী ছাদে দাঁড়িয়ে থাকার পরও গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে।
কোটা আন্দোলনে নিহত মুগ্ধ, প্রিয় এবং রিয়াদ
মারা গেলেন কারা?
কোটা সংস্কার আন্দোলনের সহিংসতায় যারা মারা গেছেন, তাদের সবার পরিচয় পাওয়া যায়নি।
তবে যাদের পরিচয় পাওয়া গেছে, তাদের মধ্যে অনেকেই শিক্ষার্থী, শ্রমজীবী, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, বেসরকারি চাকরিজীবী, সাংবাদিক এবং পুলিশের সদস্য বলে জানা যাচ্ছে।
এছাড়া বেশ কয়েকজন নারী এবং শিশুও নিহত হয়েছে।
স্থানীয় গণমাধ্যমগুলোর হিসেবে, গত দুই সপ্তাহের কোটা আন্দোলনের সহিংসতায় নিহত শিশু-কিশোর এবং নারীদের সংখ্যা ২০ জনেরও বেশি।
গত ১৯শে জুলাই ঢাকার যাত্রাবাড়ি ও নারায়ণগঞ্জ এলাকায় বারান্দায় ও ছাদে খেলার সময় আবদুল আহাদ ও রিয়া গোপ নামে দুই শিশু গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছে।
এর মধ্যে শিশু আহাদের বয়স চার বছর এবং রিয়ার বয়স সাড়ে ছয় বছর বলে জানিয়েছে পরিবার।
এছাড়া ঢাকার বনশ্রীতে মায়া ইসলাম প্রায় ৬০ বছর বয়সী এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। ১৯শে জুলাই বিকেলে সংঘর্ষ চলাকালে বাসার ভেতরেই ওই নারী গুলিবিদ্ধ হন বলে জানা যাচ্ছে।
কোটা আন্দোলনে মৃতদের মধ্যে কমপক্ষে ৪০ জন শিক্ষার্থী রয়েছেন, যাদের বেশিরভাগেরই বয়স ১৭ বছর থেকে ৩০ বছরের মধ্যে।
তবে পেশা বিবেচনায় নিহতদের মধ্যে শ্রমজীবী মানুষের সংখ্যাই বেশি বলে জানা যাচ্ছে।
দিনমজুর, দোকানকর্মী, গাড়িচালক, রিকশা-ভ্যানচালক, পোশাক কারখানার শ্রমিকসহ অন্তত ৬৫ জন শ্রমজীবী ও স্বল্প আয়ের মানুষ মারা যাওয়ার খবর গণমাধ্যমের খবরে এসেছে।
সহিংসতায় মাসুদ পারভেজ, মুহাম্মদ মুক্তাদির এবং গিয়াস উদ্দিন নামের পুলিশের তিনজন সদস্যও নিহত হয়েছেন।
এর বাইরে, খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে চারজন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন।
তাদের মধ্যে শাকিল হোসেন এবং তাহির জামান প্রিয়র মৃত্যু হয়েছে গুলিতে। আর হাসান মেহেদী এবং এটিএম তুরাব নামের বাকি দুই সাংবাদিক ছররা বুলেটে আহত হয়ে মারা গেছেন বলে জানিয়েছেন তাদের স্বজনরা।-বিবিসি বাংলা
এবিসিবি/এমআই