ইউক্রেন আক্রমণ করলে রুশ গ্যাসলাইন বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি আমেরিকার

ইউক্রেনের অভ্যন্তরীণ সংঘাত থামাতে রাশিয়া যদি সেখানে যুদ্ধ শুরু করে তবে রাশিয়া থেকে পশ্চিম ইউরোপে গ্যাস সরবরাহে চালু হতে যাওয়া নতুন একটি পাইপলাইন বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে আমেরিকা।
জার্মানির রাজধানী বার্লিনের কর্মকর্তারাও আশঙ্কা করছেন, রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করলে গ্যাস সরবরাহের পাইপলাইন নর্ড স্ট্রিম-২ প্রকল্পটি বন্ধ হয়ে যাবে। খবর বিবিসির।
যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র দেশগুলোও বলছে, রাশিয়া যদি সত্যি ইউক্রেন আক্রমণ করে বসে তবে তারা রাশিয়ার অর্থনৈতিক স্থাপনাগুলোতে আঘাত হানবে।
ইউক্রেন সীমান্তে হাজার হাজার সেনা জড়ো করে ফেলা রাশিয়া এখনও অবধি যেকোনো যুদ্ধ বা হামলার কথা অস্বীকার করছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেছেন, ‘আমি পরিষ্কার করেই বলে দিতে চাই, রাশিয়া যদি ইউক্রেনে হামলা করে, তাহলে নর্ড স্ট্রিম ২ গ্যাস পাইপলাইন প্রকল্প আর সামনে এগোবে না।’
অবশ্য যুক্তরাষ্ট্র এই গ্যাস পাইপলাইন প্রকল্প কিভাবে বন্ধ করবে এবং এটি বন্ধ বা বাতিল করার ক্ষমতা ওয়াশিংটনের আছে কি না, সে বিষয়ে বিশদ কোনো ব্যাখ্যায় যাননি নেড প্রাইস।
তিনি বলেন, ইউক্রেনে হামলা হলে এই প্রকল্প যেন সামনে না এগোয়, তা নিশ্চিত করতে জার্মানির সঙ্গে কাজ করব আমরা।’
যুক্তরাষ্ট্র যখন এই গ্যাস পাইপলাইন প্রকল্পটি পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়ার কথা বলছে, তখন জার্মানি বলছে, প্রকল্পের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়টি তারা উড়িয়ে দেবে না।
জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বায়েরবক দেশটির পার্লামেন্টে জানিয়েছেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে বড় ধরনের নিষেধাজ্ঞার প্যাকেজ নিয়ে পশ্চিমা মিত্রদের সঙ্গে কাজ চলছে। যেসব বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা আরোপের সম্ভাবনা রয়েছে তার মধ্যে নর্ড স্ট্রিম ২ প্রকল্পও রয়েছে। তবে তিনি আরও বলেছেন, রাশিয়ার সঙ্গে সংলাপ চালিয়ে যাওয়াকেই বেশি ভালো বলে মনে করছেন তিনি।
১১ হাজার কোটি মার্কিন ডলার ব্যয়ে ১২২৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পাইপলাইনটি নির্মাণ করতে রাশিয়ার পাঁচ বছর সময় লেগেছে। বাল্টিক সাগরের নিচ দিয়ে এবং ইউক্রেনের ভেতর যাওয়া এই পাইপলাইন দিয়ে রাশিয়া থেকে জার্মানিতে আরও বেশি পরিমাণে গ্যাস রপ্তানি করতে চায় মস্কো।
তবে গ্যাস পাইপলাইনটি এখনও চালু হয়নি। জার্মান আইন না মানায় এর অনুমোদন আপাতত স্থগিত রয়েছে বলে গত বছরের নভেম্বর জানানো হয়েছিল।
এবিসিবি/এমআই