Type to search

Lead Story রাজনীতি

আমরা আর মামুদের’ নির্বাচনে চলছে নৌকা-ডামির কামড়া-কামড়ি

বিএনপি অভিযোগ করে বলেছে, ‘আমরা আর মামুদের’ একদলীয় ডামি নির্বাচন ঘিরে একদিকে চলছে রীতিমত রঙ-তামাশা আর অন্যদিকে চলছে নৌকা-ডামির কামড়া-কামড়ি।

মঙ্গলবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ অভিযোগ করে বলেন, ভোটারদের ন্যুনতম আগ্রহ না থাকলেও গণতান্ত্রিক বিশ্বকে তথাকথিত ভোটের উৎসব দেখানোর জন্য জনগণের ওপর অত্যাচার নিপীড়ন শুরু হয়েছে। সাধারণ মানুষকে জোর করে মিছিলে যেতে বাধ্য করা হচ্ছে। এলাকা ছাড়া করার ভয় দেখানো হচ্ছে। নৌকার প্রচার মাইকের আওয়াজ শুনলেই লোকজন সেখান থেকে পালিয়ে যাচ্ছেন। ভোটের উৎসবের বদলে আতংক আর উৎকণ্ঠা সর্বত্রই। তারা দেশটাকে যুদ্ধাবস্থায় নিয়ে যেতে চায়। সারাদেশে এখন আওয়ামী সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের অভয়রন্যে পরিণত হয়েছে। পুরো রাষ্ট্রযন্ত্রকে নামানো হয়েছে ‘আমি আর ডামি’র ভোটরঙ্গে।

নির্বাচন থেকে বিরোধী দলকে দুরে রাখতে একের পর এক নাশকতার সাজানো গল্প মঞ্চস্থ করা হচ্ছে অভিযোগ করে রিজভী বলেন, বিএনপিসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের আটক করে, গুম করে, নির্যাতন চালিয়ে, শেখানো বুলি দিয়ে স্বীকারোক্তি আদায় করে যারা মনে করছেন- পার পেয়ে যাবেন, তারা বোকার স্বর্গে বাস করছেন। গাজীপুরের রেললাইন কেটে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে যে দুর্ঘটনা ঘটেছিল তার মূলে নাকি ছিলেন ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি ইখতিয়ার রহমান কবির। তিনি নাকি যুবদল নেতা সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর কাছ থেকে রেললাইন কাটার নির্দেশনা পান। মিথ্যাচারেরও একটি সীমা থাকে। পুলিশের দুরভিসন্ধিমূলক ও কল্পিত নির্দেশনার এমন নাটক তারা নিয়মিত করছে। ভূয়া পাতানো  নির্বাচনকে জায়েজ করার জন্য প্রতিটি আগুন সন্ত্রাসও সরকারের লোকজনের পরিকল্পিত ও পাতানো নাটক। এপর্যন্ত যারা ধরা পড়েছে তাদের অনেকে সরকারি দলের লোকজন। আগুন সন্ত্রাস আওয়ামী লীগের মজ্জাগত। বিএনপি সহিংসতা ঘৃণা করে।

নির্বাচন ঘিরে ভারতের ভূমিকার সমালোচনা করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, বিএনপিসহ সব দলকে বাদ দিয়ে এই পাতানো নির্বাচনের অন্যতম মদদদাতা হিসেবে পার্শ্ববর্তী দেশের নাম সর্বজন বিদিত। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বাংলাদেশে এসে একদলীয় নির্বাচনের পক্ষে সাফাই গাইছেন। তারা বাংলাদেশের গণতন্ত্র-মানুষের অধিকার চান না। এখন তাদের থলের বিড়াল বেরুতে শুরু করেছে। ভারত মনোনীত প্রার্থীরা বীরদর্পে বলছেন-‘আমাকে ভারত মনোনয়ন দিয়েছে। আমি ভারতের প্রার্থী। আমি এখানে হারার জন্য আসিনি।’ এই বক্তব্য চরম রাষ্ট্রদ্রোহিতা। অথচ তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া তো দূরের কথা প্রতিবাদেরও সাহস পায় না সরকার বা নির্বাচন কমিশন। তার মানে তারা স্বীকার করে নিয়েছে- ভারত তাদের অনুগত বহু সংখ্যককে মনোনয়ন দিয়েছে। তাহলে বাংলাদেশ কি পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ? তলে তলে দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব কি বিকিয়ে দেওয়া হয়েছে? ভারত এখন তাদের এদেশীয় অনুচরদের নমিনেশনও দিচ্ছে?-সমকাল

এবিসিবি/এমআই

Translate »