অবিলম্বে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করে, আটককৃত সব মানুষকে মুক্তি দিতে হবে

আওয়ামীলীগ সরকারের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, অবিলম্বে বাতিল করতে হবে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, এই আইনে আটককৃত সব মানুষকে মুক্তি দিতে হবে।

বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে জঘন্য মিথ্যাচার ও তাঁর খেতাব বাতিলের চক্রান্ত, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল, লেখক মুশতাক আহমেদ ও সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কিরের হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি যৌথভাবে এই সমাবেশের আয়োজন করে।

সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ক্ষমতাসীন সরকার গণতান্ত্রিক সরকার নয়, জনগণের সরকার নয়৷ জোর করে রাষ্ট্রক্ষমতা ও রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে তারা বেআইনিভাবে আগের রাতে ভোট করে ক্ষমতা দখল করে বসে আছে। দেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নামে তৈরি করা হয়েছে একটি ভয়াবহ আইন৷ এই আইন দিয়ে সমগ্র বাংলাদেশের জনগণের বাক্‌স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে, লেখার স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’

বর্তমান সরকার শুধু ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য আজ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মতো আইন তৈরি করেছে বলেন তিনি।

মহাসচিব অভিযোগ করে বলেন, ‘মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে ৩৫ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে৷ সাত শর ওপর মানুষ, রাজনীতি করেন না যারা, তাঁদের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় আটকে রাখা হয়েছে৷ নির্মম নির্যাতন করা হয়েছে কার্টুনিস্ট কিশোরের ওপর৷ লেখক মুশতাক আহমেদ কারাগারে নিহত হয়েছেন৷ আমি ধন্যবাদ দিতে চাই কার্টুনিস্ট কিশোরকে যে আজ তিনি নিজের ওপর হওয়া অত্যাচার-নির্যাতনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন৷’

মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার থাকা দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার জন্য তিনি আহ্বান জানান।

সরকারের উদ্দেশে ফখরুল বলেন, ‘আপনারা এত ভয় পান কেন, অনুমতি দেওয়ার পরও কেন চতুর্দিকে বন্ধ করে দিয়ে নেতা-কর্মী-সমর্থকদের আসতে দেন না? কারণ, আপনারা জানেন, মানুষ জেগে উঠলে আপনাদের ক্ষমতায় থাকা সম্ভব হবে না।’

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি হাবীব-উন-নবী খান সোহেলের সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাজিমুদ্দিন আলমসহ আরো অনেকে বক্তব্য দেন৷

বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনগুলোর বিভিন্ন পর্যায়ের কয়েক’শ নেতা-কর্মী এসমাবেশে অংশ নেন৷