Type to search

Lead Story অপরাধ জাতীয় বাংলাদেশ

‘৪৩ বিডিআর সদস্যকে হত্যা করে জিয়াউল আহসান’

এনটিএমসির সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউল আহসান। ছবি: সংগৃহীত

 

এনটিএমসির সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউল আহসান ৪৩ জন বিডিআর সদস্যকে হত্যা করেন বলে দাবি করেছেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা মেজর (অব.) রেজাউল করিম।

শনিবার (২৪ আগস্ট) রাতে বেসরকারি টিভি চ্যানেল আইয়ে প্রচারিত ‘তৃতীয়মাত্রা’ অনুষ্ঠানে মেজর (অব.) রেজাউল করিম পিলখানা ট্র্যাজেডির ঘটনাপ্রবাহ বর্ণনাকালে এসব কথা বলেন।

পিলখানা ট্র্যাজেডির পর সেনানিবাসে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার সঙ্গে মতবিনিময়ের ঘটনার বর্ণনায় রেজাউল করিম বলেন, ‘ঘটনার পর আমরা শুধু একুটু দাবি করেছিলাম—প্রধানমন্ত্রী এখানে আসতে ভয় পাচ্ছেন কেন? তার এসে ঘটনার ব্যাখ্যা দেওয়া উচিত। আমরা আমাদের দাবি তুলে ধরতে চেয়েছি, বলতে চেয়েছি—এই এই ঘটনার প্রমাণ রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীকে বলতে চেয়েছি—শুধু আমাদের অনুমতি দিন জড়িতদের জিজ্ঞাসা করি, এটার সুষ্ঠু তদন্ত হোক। সেদিন প্রধানমন্ত্রীর সামনে আমরা যে কয়জন কথা বলেছি সবার নামের তালিকা করা হয়। পরবর্তী সময়ে নানাভাবে তাদেরকে হেনস্তা করা হয়েছিল। এই তালিকাটা অনেক বড়। সুনিতা পালকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে সজীব ওয়াজেদ জয় (শেখ হাসিনার পুত্র) বলেছিলেন—বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ৩৫ শতাংশ ইসলামী উগ্রবাদীদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এরপর ২০০৯ সালের ৩ নভেম্বর পিলখানার ভেতর থেকে আমাকে চোখ বেঁধে তুলে নেওয়া হয়। সাত-আট দিন জানতাম না আমি কোথায় আছি। চোখ খোলার পর দেখি আমি ডিজিএফআইয়ের কার্যালয়ে। আমার সামনে বসা কর্নেল সালেহ ও ব্রি. জে. ইমরুল কায়েসকে (মিজারুল কায়েসের ছোট ভাই)। আমাকেও ইসলামী উগ্রবাদী বানানো হলো।’

মেজর (অব.) রেজাউল করিম বলেন, ‘২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি আমি র‍্যাব-৩-এ কর্মরত ছিলাম। র‍্যাব-৩ কে পিলখানার হাসপাতাল গেট বলে পরিচিত নিউ মার্কেট এলাকায় মোতায়েন করা হয়। আমিও সেখানে ছিলাম। যখন দেখছি বিডিআরের সদস্যরা গুলি করছে তখন আমি র‍্যাব-৩-এর কমান্ডার কর্নেল জাকির ও র‍্যাবের এডিজি রেজানুর খানকে ফোন করে সব খুলে বলি। জাকির খুব ক্ষিপ্ত হন। রেজানুর খান ফোন করে আমাকে তাত্ক্ষণিকভাবে সেখান থেকে প্রত্যাহার করে নেন। সেখান থেকে চলে আসার পর বেলা ৩টার দিকে আমরা আবাহনী মাঠে জড়ো হই। আমাদের একটাই দাবি ছিল—পিলখানায় যেন সেনা অপারেশন চালানো হয়। ৪৬ ব্রিগেডের ব্রি. জে. হাকিম সেখানে সবাইকে বললেন—অপারেশন হবে, তবে এখনো অনুমতি আসেনি। এক পর্যায়ে হাকিম পালিয়ে যান। পরে আমরা সেনানিবাসে চলে আসি। সন্ধ্যায় শুনি কামরাঙ্গীরচর এলাকায় সেনা কর্মকর্তাদের লাশ পাওয়া যাচ্ছে। সন্ধ্যায় সেখানে গিয়ে প্রথমে ক্যাপ্টেন মাজহারের লাশ গ্রহণ করি। এরপর কর্নেল জাহিদের (তৎকালীন আইজিপি নূর মোহাম্মদের মেয়ের জামাতা) লাশ পাই। ঘটনা ঘটার সময় আইজিপি নূর মোহাম্মদও র‍্যাবকে অনুমতি দেননি। অথচ, পুরো পিলখানা নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার মতো সক্ষমতা র‍্যাবের ছিল।’

 

ইত্তেফাক

Translate »