সীতাকুণ্ডে ভয়াবহ বিস্ফোরণে নিহত বেড়ে ৪৯, শনাক্ত ২১

জেলা প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে আগুন এখনও জ্বলছে। নিহতের সংখ্যা বেড়ে এখন পর্যন্ত ৪৯ জনে দাঁড়িয়েছে। আর শনাক্ত হয়েছে ২১ জনের মরদেহ। অন্যদিকে দগ্ধ ও আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছে প্রায় ২৫০ মানুষ। মরদেহগুলো ময়নাতদন্ত ছাড়াই নিয়ে যেতে মৃতের স্বজনরা আকুতি জানিয়ে দৌঁড়ঝাঁপ করছেন।

আহত অনেকের অবস্থা গুরুতর, মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে বলেও তিনি জানান।
ফায়ার সার্ভিস জানান, লাশের সারি আরও দীর্ঘ হতে পারে। ফায়ার সার্ভিস ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন।

গত শনিবার (৪ জুন) রাত সাড়ে ৯টার দিকে লাগা আগুন এখনো জ্বলছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা একযোগে কাজ করে চলেছেন।

ভয়াবহ এ দূর্ঘটনায় পরিচয় শনাক্ত হওয়া মৃত্যু ২১ জন হলেন- বাঁশখালী উপজেলার ফরিদুল আলমের ছেলে মুমিনুল হক (২৪), মাহমুদুর রহমানের ছেলে মহিউদ্দিন (৩৪), দক্ষিণ বালিয়াপাড়ার সিহাব উদ্দিনের ছেলে হাবিবুর রহমান (২৩), চালিয়াপাড়ার আব্দুল আজিজের ছেলে রবিউল আলম (১৯), আব্দুল রশিদের ছেলে আলাউদ্দিন (৩৫), নিজাম উদ্দিনের ছেলে আলাউদ্দিন (৩৫), হাসান আলীর ছেলে তোফায়েল আহমেদ (২৩), নিজাম উদ্দিনের ছেলে সুমন (২৪), আবুল কাশেমের ছেলে ইব্রাহিম (২৭), মো. আসিফের ছেলে নয়ন (২২), দক্ষিণ হালিশহর এলাকার আব্দুল ছবুরের ছেলে হারুনুর রশিদ (৩৫), সাত্তারের ছেলে ফারুক জমাদার (৫৫), আমিন উল্লাহ’র ছেলে শাহাদাত উল্লাহ (৩০), সামসুল হকের ছেলে মনিরুজ্জামান (৩২), শাহ আলমের ছেলে শাহাদাত হোসেন (২৯), সোহরাব মিয়ার ছেলে তৌহিদুল হাসান (৪১), জাফর আহমদের ছেলে রিদুয়ান (২৪), চিত্তরঞ্জন চাকমার ছেলে নিপন চাকমা (৪৫), কামরুল মিয়ার ছেলে রানা মিয়া (২২), আব্দুল সত্তার তরফদারের ছেলে শাকিল তরফদার (২২), সোলাইমান মিয়ার ছেলে আফজাল (২০) ও আবু ইউসুফের ছেলে সালাউদ্দিন কাদের (৫০)।

বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহত ফায়ার সার্ভিসের নয় সদস্যের মধ্যে ৮ জনের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার শহিদুল ইসলাম। শনাক্তকৃতরা হলেন- কুমিরা ফায়ার স্টেশনের ফায়ার ফাইটার মো. রানা মিয়া, নার্সিং এটেনডেন্ট মনিরুজ্জামান, ফায়ার ফাইটার শাকিল তরফদার, লিডার মিঠু দেওয়ান, ফায়ার ফাইটার আলাউদ্দিন, সীতাকুন্ড ফায়ার স্টেশনের ফায়ার ফাইটার সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী, ফায়ার ফাইটার রমজানুল ইসলাম, লিডার নিপন চাকমা।

এদিকে পরিচয় শনাক্ত না হওয়া লাশ গুলোর ডিএনএ পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চকবাজার জোনের সহকারী (এসি) কমিশনার শহীদুল ইসলাম।

তিনি জানান, পাঁচলাইশ থানা পুলিশ লাশ গুলো সুরতহাল তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) মর্গে পাঠানো হচ্ছে। সেখানে মরদেহ শনাক্তের জন্য ডিএনএ সংগ্রহ করা হবে। যাদের স্বজন নিখোঁজ রয়েছেন তাদের ডিএনএ পরীক্ষা করে হস্তান্তর করা হবে মরদেহ।

এবিসিবি/এমআই