Type to search

Lead Story জাতীয় বাংলাদেশ শিক্ষা

সারা দেশে সহিংসতায় পুলিশসহ অন্তত ৭৬ জনের মৃত্যু

  • আবারো তিন দিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার
  • সারা দেশে সহিংসতায় পুলিশসহ অন্তত ৫৯ জনের মৃত্যু, গুলিবিদ্ধ হয়েছে অনেক মানুষ
  • রোববার সন্ধ্যা ছয়টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি
  • “সর্বাত্মক অসহযোগ” আন্দোলন কর্মসূচির ডাক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের, ঢাকা সহ বিভিন্ন জেলায় মিছিল-সমাবেশ।
  • রাজধানী ঢাকার সব ওয়ার্ডে এবং দেশের সব জেলা ও মহানগরীতে জমায়েত কর্মসূচি পালন করছে আওয়ামী লীগ।
  • সরকার পতনের এক দফা দাবি জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। তারা জাতীয় সরকার গঠনের দাবিও জানিয়েছে।

    সশস্ত্র বাহিনীকে ছাত্র জনতার মুখোমুখি দাঁড় না করানোর আহবান সাবেক সেনাপ্রধানের

    দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশের সশস্ত্র বাহিনীতে সাধারণ ছাত্র জনতার মুখোমুখি না করার আহবান জানিয়েছেন সাবেক সেনাপ্রধান ও সেনা কর্মকর্তারা।

    দেশের বিদ্যমান অবস্থায় সংকট নিরসনে করণীয় প্রসঙ্গে রোববার দুপুরে ঢাকায় সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন সাবেক সেনা কর্মকর্তারা।

    সেখানে লিখিত বক্তব্যে সাবেক সেনাপ্রধান ইকবাল করিম ভুঁইয়া বলেন, সশস্ত্র বাহিনীকে অবিলম্বে সেনা ছাউনিতে ফিরিয়ে নিয়ে যে কোন আপদকালীন সংকট মোকাবেলার জন্য প্রস্তুত রাখা প্রয়োজন”।

    তিনি বলেন “অনুরোধ করে বলছি, এ সংকট আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের উদ্যোগ গ্রহণ করুন। দেশ প্রেমিক সশস্ত্র বাহিনীকে ছাত্র জনতার মুখোমুখি করা যাবে না”।

    বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর অবদানের কথা তুলে ধরে মি. ভুঁইয়া এই ব্রিফিংয়ে বলেন, “যে সম্মান, মর্যাদা ও গৌরব অর্জন করেছে, তা আজ কঠিন পরীক্ষার মুখোমুখি দাঁড়িয়েছে”।

    যে কারণে মাঠে দায়িত্বরত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের নিজ দেশের সাধারণ জনগণের পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানান তিনি।

    সশস্ত্র বাহিনীকে অবিলম্বে সেনা ছাউনিতে ফিরিয়ে নেয়ার আহবান জানিয়ে সাবেক এই সেনাপ্রধান বলেন, “আমরা নিজেরা নিজেদের সাথে যুদ্ধ করতে পারি না। দেশটাকে যুদ্ধ শহরে পরিণত করতে দিতে পারি না”।

    এই ছাত্র বিক্ষোভে নিহত ও গুলির ঘটনা জাতিসংঘের নেতৃত্বে স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য তদন্তের জন্য তিনি দাবি জানান।

    এই সংবাদ সম্মেলনে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিতি ছিলেন।

    সহিংসতায় সারা দেশে অন্তত ৭৬ জন নিহত,মৃতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি সিরাজগঞ্জে

    বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলন চলাকালে সহিংসতায় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে কমপক্ষে ৭৬ জন নিহত হয়েছেন।

    রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সরকার সমর্থক ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংঘর্ষে তারা মারা গেছেন।

    এর মধ্যে মৃত্যুর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি সিরাজগঞ্জে। সেখানে অন্তত ১৮ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ১৩ জনই পুলিশ বলে নিশ্চিত করেছেন বাহিনীর কর্মকর্তারা।

    আর ঢাকায় মারা গেছেন কমপক্ষে ছয় জন, যাদের মধ্যে আওয়ামী লীগের একজন নেতা রয়েছেন।

    এছাড়া ফেনীতে আটজন, নরসিংদীতে ছয়জন, লক্ষ্মীপুরে আট জন, ভোলায় একজন, রংপুরে চার জন, মুন্সিগঞ্জে তিনজন, মাগুরায় দুইজন, বগুড়ায় চার জন, জয়পুরহাটে দুই জন, পাবনায় তিনজন, শেরপুরে তিন জন, সিলেটে দুই জন, কিশোরগঞ্জে তিনজন, কুমিল্লায় দুইজন এবং বরিশালে একজন নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত হয়েছে বিবিসি বাংলা।

    সহিংসতা
    ছবির ক্যাপশান,রোববার সকালে ঢাকার শাহবাগের ছবি

    জঙ্গি হামলা হচ্ছে, ঘরে ফিরে যান: সরকারি বিজ্ঞপ্তি

    কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের এক দফা দাবিতে ডাকা অসহযোগ আন্দোলন ঘিরে জঙ্গি হামলার সতর্কতা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে সরকার।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রেস উইং থেকে এই বিবৃতিটি পাঠানো হয়েছে বলে বিবিসি বাংলাকে নিশ্চিত করেছেন প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খান।

    রোববার সংঘাতে অর্ধশতাধিক মানুষের প্রাণহানির মধ্যেই বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।

    বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবক সকলকে নিরাপদে ঘরে ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় জঙ্গি হামলা হচ্ছে। জঙ্গি হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

    সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের টানা কর্মসূচি শেষে এক দফায় সরকার পতনের ডাক দেয়া হয় শনিবার। রবিবার থেকে শুরু করা হয়েছে অসহযোগ আন্দোলন। এর মধ্যেই সারা দেশে সহিংসতায় অর্ধশতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

    রাজশাহীতে সরকারি অফিসে আগুন

    রাজশাহীতে মোহনপুরে থানার সামনে কয়েকটি গাড়ি ও মোটরসাইকেলে এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের অফিসে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন রাজশাহীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ রফিকুল আলম।

    এছাড়া সেখানে এসি ল্যান্ড বা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয়ের সামনে কেশরহাট পৌরসভা অফিসেও অগ্নিসংযোগের কথা জানিয়েছেন রাজশাহীর সাংবাদিক আনোয়ার আলী হিমু।

    তিনি জানান সেখানে প্রথমে মোহনপুর থানার সামনে, এরপর এসি ল্যান্ডের প্রাঙ্গনে আগুন দেয়া হয়। এরপর আওয়ামী লিগের অফিসে ভাঙচুর করে অগ্নিসংযোগ করা হয়।

    সিরাজগঞ্জের থানা হামলায় ১৩ পুলিশ নিহত

    সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানা হামলায় অন্তত ১৩ জন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

    রাজশাহী রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইডি বিজয় বসাক বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানায় হামলায় ১১ জন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন।

    কারা এই হামলা চালিয়েছে, পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেনি। মৃত্যুর সংখ্যা আরো বাড়তে পারে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

    ”আমরা ওই এলাকায় ঢোকার চেষ্টা করছি, কিন্তু এখনো পারছি না।”

    পরবর্তীতে পুলিশ সদর দপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সেখানে ১৩ পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছে।

    স্থানীয় সাংবাদিকরা জানিয়েছেন, বেশ কয়েক হাজার মানুষ দুপুরের দিকে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানায় হামলা করে।

    এ নিয়ে রোববার সারা দেশে সহিংসতায় অন্তত ৫৯ জনের মৃত্যুর নিশ্চিত খবর পেয়েছে বিবিসি বাংলা।

    রোববার দুপুরে কুমিল্লায় আরেক পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করার তথ্য পাওয়া গেছে।

    পুলিশ সদর দপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের থানা, পুলিশ সুপারের কার্যালয়, রেঞ্জ অফিস, ফাঁড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে, যাতে তিন শতাধিক পুলিশ আহত হয়েছে।

    সিলেটের গোলাপগঞ্জে সংঘর্ষে নিহত ২, আহত অনেকে

    সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ ও বিজিবির সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন আরো অনেকে।

    উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সুদর্শন সেন বিবিসি বাংলাকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    নিহতের একজনের নাম তাজউদ্দিন, তার বয়স ৪৩ বছর এবং অপরজন ১৮ বছর বয়সী সানি আহমেদ বলে জানা গিয়েছে।

    তবে তাদের মৃত্যুর কারণের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

    রোববার বেলা আড়াইটার দিকে ঢাকা দক্ষিণ রোডের গোলাপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে আন্দোলনকারীদের সাথে পুলিশ ও বিজিবির সংঘর্ষ বেধে যায়।

    কুমিল্লায় পুলিশ কনস্টেবলকে পিটিয়ে হত্যা

    কুমিল্লায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক দফা দাবিতে বিক্ষোভকারীদের সাথে সংঘর্ষে দাউদকান্দির ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশের এক কনস্টেবল নিহত হয়েছেন।

    বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা রিজিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজি। নিহতের নাম এরশাদ ‌আলী বলে তিনি জানিয়েছেন।

    তিনি বলেন, আন্দোলনকারীরা কুমিল্লার ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়েতে বিক্ষোভ করার এক পর্যায়ে পুলিশ ফাঁড়ির পুরাতন ভবন ঘেরাও করে এবং ইট পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে।

    এসময় পুলিশ তাদের প্রতিহত করতে চাইতে বিক্ষোভাকারীরা এরশাদ ‌আলীকে টেনে হিঁচড়ে বেধড়ক পেটাতে থাকে। এ সময় অন্য পুলিশ সদস্যরা ছাদে উঠে গেলেও এরশাদ আলী ভিড় থেকে নিজেকে বের করতে পারেননি।

    এতে গণপিটুনিতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরে বিক্ষোভকারীরা ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে থানায় আগুন লাগিয়ে দেয়।

    সেইসাথে তারা পুলিশের একটি প্রাইভেট কার ও রেকারে আগুন দেয়।

    হত্যা ও সহিংসতার দায় আন্দোলনকারী নেতৃত্বকেই নিতে হবে: আওয়ামী লীগ

    দেশে বর্তমানে সহিংসতা ও মৃত্যুর যেসব ঘটনা ঘটছে, সেগুলোর দায় আন্দোলনকারী নেতৃত্বকেই নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক।

    রোববার বিকেলে ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন তিনি।

    “সরকার পতনের এই আন্দোলন ছাত্র সমাজের নয়। তথাকথিত সরকার পতনের এই এক দফা দাবি ক্ষমতালিপ্স বিএনপি-জামায়াত ষড়যন্ত্রকারীদের,” বলেন মি. নানক।

    আওয়ামী লীগ তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

    “সরকার তাদের (আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের) যেকোনও বক্তব্য শোনার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কিন্তু ছাত্র সমাজের কাঁধের উপর বন্দুক রেখে সরকারকে হটিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র বাংলাদেশের কৃষক-শ্রমিক-ছাত্র আপামর জনগণ মেনে নেবে না, মেনে নেবে না,” বলেন মি. নানক।

    তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ইতোমধ্যেই সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে পাড়া-মহল্লায়-রাজপথে কঠিন প্রতিরোধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর ফলে উদ্ভূত পরিস্থিতি ও সকল হত্যা-সহিংসতার দায় আন্দোলনকারী নেতৃত্বকেই নিতে হবে।”

    বিএনপি-জামায়াত দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে চাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন মি. নানক।

    “আমাদের শেষ রক্তবিন্দু থাকতে সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের আস্ফলন সহ্য করবো না,” সাংবাদিকদের বলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মি. নানক।

    রোববার ঢাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে

    ছবির উৎস,Getty Images

    ছবির ক্যাপশান,রোববার ঢাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে

    আবারো তিন দিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা

    কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের অসহযোগ আন্দোলনের মধ্যে সোমবার থেকে তিনদিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার।

    আগামী বুধবার পর্যন্ত এই ছুটি বলবৎ থাকবে।

    নির্বাহী আদেশে এই ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে বলে বিবিসি বাংলাকে নিশ্চিত করেছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ শিবলী সাদিক।

    এই আন্দোলন ঘিরে সহিংসতা ও প্রাণহানি বাড়ার পর কারফিউ জারি করা হয় গত ১৯ জুলাই রাতে। পরে ২১ থেকে ২৩শে জুলাই পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়।

    পরে ২৪ ও ২৫শে জুলাই সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত সীমিতভাবে চলে সরকারি-বেসরকারি অফিস।

    পরিস্থিতি আরো স্বাভাবিক হলে গত রবি, সোম ও মঙ্গলবার অফিস চলে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত। পরে গত বুধবার থেকে স্বাভাবিক সময় ধরে চলছে সরকারি-বেসরকারি অফিস।

    বিবিসি বাংলা

Translate »