Type to search

Lead Story রাজনীতি

সরকারের কারসাজিতেই খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ছে বললেন মির্জা ফখরুল

সরকারের কারসাজিতেই খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। চাল, দুধ, পাউরুটিসহ খাদ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি পরিস্থিতি তুলে ধরতে গিয়ে বৃহস্পতিবার এক অনুষ্ঠানে তিনি এই অভিযোগ করেন।

তিনি বলেন, আটা, ময়দা, দুধ, পাউরুটি দাম বেড়েছে, আমাদের গরিব লোকরা কী করে? বেশির ভাগ রিকশা, শ্রমিক যারা দিনের বেলা রিকশা চালিয়ে ফুটপাত থেকে একটা কলা ও পাউরুটি খায়। আজকে সেই রুটির দাম ডাবল হয়ে গেছে, তিনগুণ হয়ে গেছে। চালের দাম ১০ থেকে ১৫ টাকায় উঠে গেছে। এমনকি সরকারও ১০ টাকা কেজি চালের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে।  ৬২ হাজার লোককে দেওয়া হতো সেখানে তারা ১৫ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, অর্থাৎ সরকার নিজেরাই এই মূল্য বৃদ্ধি করার জন্য সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করছে এবং তাদের কারসাজিতেই আজকে খাদ্যপণ্য বলুন, খাদ্যদ্রব্য বলুন মূল্যবৃদ্ধি পাচ্ছে এবং জনগণের দুর্ভোগ হচ্ছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমান সরকারের সমস্যাটা হচ্ছে তারা সবকিছুর মধ্যেই অবৈধ মুনাফা চায় এবং জনগণের ন্যূনতম প্রয়োজন যেটা খাদ্য, এই খাদ্যকে তারা এখন জিম্মি করে প্রোফিট নিতে চায়, মুনাফা লুটতে চায়। এটা আজকের ব্যাপার না, প্রথম ১৯৭৪ সালে যে দুর্ভিক্ষটা হয়েছিল সেখানে কিন্তু খাদ্য সংকট ছিল তা না, দুঃশাসন-দুর্নীতির কারণে ‍দুর্ভিক্ষ হয়েছিল। আজকে ঠিক একইভাবে খাদ্যশস্য যেটা মানুষের বেশি দরকার সেটাকে তারা অন্যায়ভাবে দাম বাড়াচ্ছে, মজুদ করছে, আটকে রাখছে। আর্টিফিশিয়াল একটা ক্রাইসিস তৈরি করে বাজারে দামটা বাড়িয়ে দিচ্ছে।

এর আগে দুপুর ১২টায় রাজধানীর বাসাবোতে হেলথ এইড ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গত ২৪ মে ছাত্রলীগের হামলায় গুরুতর আহত ছাত্র দলের সিনিয়র সহ সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু আফসান মোহাম্মদ ইয়াহহিয়া ও উত্তর ছাত্র দলের নেতা শাহাবুদ্দিন শিহাবকে দেখতে যান বিএনপি মহাসচিব। তিনি তাদের চিকিৎসার খোঁজ-খবর নেন।

এ সময় বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, যুগ্ম আহ্বায়ক ইউনুস মৃধা, চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খানসহ স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।   পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার সন্ত্রাসের মধ্য দিয়ে ক্ষমতাকে ধরে রাখতে চায়, জনগণের ভালোবাসায় নয়। এটা হচ্ছে তাদের মৌলিক চরিত্র। আজকে শুরু নয় বা এবারে শুধু নয়, প্রতিবার, আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সন্ত্রাসের মধ্য দিয়ে তাদের রাজনীতিকে এখানে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, তারা সন্ত্রাস করে, ভয়ভীতি দেখিয়ে দেশের মানুষকে একটা ‘ফিয়ারো ফোবিয়া’র মধ্যে রেখে আবারও নির্বাচন করতে চায়, সেই নির্বাচন পার হতে চায়। জনগণ এবার তা হতে দেবে না। বাংলাদেশের মানুষ মনে করে যে, এই নির্বাচন কোনো মতেই আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় থাকা সম্ভব না। তাদেরকে ক্ষমতা থেকে সরে যেতে হবে। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন পরিচালনায় জনগণের অংশগ্রহণের মধ্যদিয়ে এখানে নির্বাচন হতে হবে।

ক্ষমতাসীনদের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধে গড়ে তোলার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ আর কোনো রকমের সন্ত্রাসকে প্রশ্রয় দেবে না। জনগনের ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধের মধ্য দিয়েই এই সন্ত্রাসকে পরাজিত করে জনগনের বিজয় ঘোষিত হবে।-সমকাল
এবিসিবি/এমআই
Translate »