সব রুটে ফেরি চলাচলের অনুমতি, বেড়েছে ঘরমুখী মানুষের চাপ

ঈদে ঘরমুখী যাত্রীরা ঘাটে দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় সব রুটে ফেরি চলাচলের অনুমতি দিয়েছে। এই অনুমতি পর ঘরমুখী মানুষের চাপ বহুগুনে বেড়েছে শিমুলিয়া ঘাটে।
আসন্ন ঈদকে কেন্দ্র করে দেশের দক্ষিণবঙ্গের ঘরমুখী মানুষের চাপ মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ফেরিঘাটে দেখা দিয়েছে। আজ মঙ্গলবার ভোর থেকেই গন্তব্যে পৌঁছাতে শিমুলিয়া ঘাট এলাকায় এসে জড়ো হচ্ছেন যাত্রীরা। বেলা বাড়ার সাথে সাথে বাড়তে থাকে এই ভিড়ও। একইভাবে রাতেও মানুষের ঢল নেমেছিলো শিমুলিয়া ঘাটে।
সবশেষ খবর অনুসারে সোমবার (১০ মে) বিকেলে ফেরি চলাচলের অনুমতি দিয়েছে সরকার। তবে এতে কোভিড-১৯ সংক্রমণ আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
স্বজনদের সাথে ঈদ উদযাপনের জন্য শিমুলিয়াঘাটে এক ধরনের যুদ্ধ চলছে ফেরি ঘাটে। কোভিড-১৯ সংক্রমণ ঝুঁকি উপেক্ষা করেই ঘাটে নেমেছে মানুষের ঢল। জনস্রোত ঠেকাতে শিমুলিয়া ঘাটে দায়িত্ব পালন করছে বিজিবি সদস্যরা। চেকপোস্ট বসানো হয়ছে। এছাড়া ফেরিঘাটের আশপাশে থেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই জেলে নৌকাসহ ট্রলারে পদ্মা পার হওয়ার চেষ্টা করে যাত্রীরা।
বিআইডব্লিউটিসি বাংলাবাজার ফেরি ঘাটের ম্যানেজার সালাহউদ্দিন আহমেদ জানান, রাতে আমাদের সবগুলো ফেরি অর্থাৎ ১৬টির মধ্যে ১৫টি চলে। মানুষ তো এখন কোভিড-১৯ ভয় পায় না। মাস্ক পড়ে না অনেকেই, পড়লেও থুতনির নিচে নামিয়ে রাখে।
তিনি বলেন, কৌশলে রাতের ফেরিকেই বেছে নিয়েছে যাত্রীরা। কেউ স্বাস্থ্যবিধি মানছে না। ভয়াবহ সংকট নিমন্ত্রণ করে ডেকে নিয়ে আসছে অসচেতন মানুষ। দেশে চলমান করোনার মধ্যে আবার নতুন আতঙ্ক ভারতীয় ধরণ ধরা পড়েছে বাংলাদেশে। বিষয়টি নিয়ে ভাবিয়ে তুলেছে সরকার, স্বাস্থ্য বিভাগ ও বিশেষজ্ঞদের। অথচ মানুষের মধ্যে এর কোনো প্রভাব পড়েনি।
বিআইডব্লিউটিসি সূত্র জানা যায়, বর্তমানে ১৬টি ফেরি শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথে সচল রয়েছে। এর মধ্যে ৩টি ফেরি দিনে চলাচল করে লাশবাহী গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্স ও জরুরি প্রয়োজনের গাড়ির জন্য। আর রাতে দরকার অনুযায়ী চলে মালবাহী ফেরি। ফেরিতে লাশ পরিবহন করতে গিয়ে দেখা গেছে হুড়মুড়িয়ে উঠে যাচ্ছেন যাত্রীরাও। এ ধরনের পরিস্থিতি এড়াতে দরকার অনুসারে ফেরি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিআইডব্লিউটিসি।