সবাই পাস সবাই খুশি

মহামারি করোনাকালে দীর্ঘদিন বন্ধ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। পরীক্ষার হলে বসা হয়নি দেশের ১৩ লাখ ৬৭ হাজার ৩৭৭ জন এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার্থীর। পরীক্ষা ছাড়াই এইচএসসির ফলাফল দেওয়া হয়। শনিবার প্রকাশিত এই ফলাফলে সবাই পাস করেছে অর্থাৎ পাসের হার ১০০ ভাগ। পরীক্ষায় কেউ ফেল করেনি; তাই সবাই খুশি।
দীর্ঘ অপেক্ষার এই ফলাফলে ঘরে ঘরে ছড়িয়ে পড়ে আনন্দের উচ্ছ্বাস। ডিজিটালভাবে ফল প্রকাশের ঘটনা বাংলাদেশের ইতিহাসে এবারই প্রথম। আগের পরীক্ষার ভিত্তিতে করা মূল্যায়নে এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৬১ হাজার ৮০৭ জন শিক্ষার্থী।
২০১৯ সালের এইচএসসি ও সমমানে পাসের হার ছিল ৭৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৪৭ হাজার ২৮৬। এর আগের বছর ২০১৮ সালে পাসের হার ছিল ৬৬ দশমিক ৬৪ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছিল ২৯ হাজার ২৬২।
প্রতিবছর এইচএসসির ফল ঘোষণার পর রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস থাকলেও এবার তার ভিন্ন চিত্র ছিল। ফল ঘোষণার পর হলিক্রস স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজ, মতিঝিল আইডিয়ালসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা শূন্য। করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতে এইচএসসি ও সমমানের ফল জানার জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভিড় না করার আহ্বান জানিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এ ছাড়া ঘরে বসেই শিক্ষার্থীরা মোবাইল ফোনে জেনে গেছে পরীক্ষার ফল। অটোপাসের আনন্দ ছিল ঘরবন্দি।
এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলে জিপিএ-৫ পাওয়ায় এগিয়ে মেয়েরা। আর সব বোর্ডের মধ্যে ঢাকায় সবচেয়ে বেশি শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। ১১টি শিক্ষা বোর্ডে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর মধ্যে ৮৩ হাজার ৩৩৮ জন ছাত্রী এবং ৭৮ হাজার ৪৬৯ জন ছাত্র। সেই হিসেবে উচ্চ মাধ্যমিকে ছাত্রদের থেকে ৪ হাজার ৮৬৯ জন বেশি ছাত্রী জিপিএ-৫ পেয়েছেন।
প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায়, ঢাকা বোর্ডে ৫৭ হাজার ৯২৬, রাজশাহীতে ২৬ হাজার ৫৬৮, কুমিল্লায় নয় হাজার ৩৬৪, যশোরে ১২ হাজার ৮৯২, চট্টগ্রামে ১২ হাজার ১৪৩, বরিশালে ৫ হাজার ৫৬৮, সিলেটে ৪ হাজার ২৪২, দিনাজপুরে ১৪ হাজার ৮৭১ এবং ময়মনসিংহ বোর্ডের ১০ হাজার ৪০ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। এ ছাড়া মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড থেকে চার হাজার ৪৮ এবং কারিগরি বোর্ড থেকে ৪ হাজার ১৪৫ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে।
ঢাকার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে সকালে এক অনুষ্ঠানে এই ফল প্রকাশ করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে অনলাইনে যুক্ত হয়ে ডিজিটালি এ পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করেন। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি শিক্ষা বোর্ডগুলোর চেয়ারম্যানদের কাছ থেকে এইচএসসির ফলের সারসংক্ষেপ গ্রহণ করেন।
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের বছরের পর এবার মহামারির মধ্যে পরীক্ষা ছাড়া সব শিক্ষার্থীকে পাস করানো হলো। বিশেষ পরিস্থিতিতে এভাবে ফল প্রকাশের বিষয়টি তুলে ধরে পরীক্ষাহীন এই ফল নিয়ে শিক্ষার্থীদের স্বার্থে বিরূপ মন্তব্য না করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
২০২০ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল গত বছরের ১ এপ্রিল থেকে। কিন্তু করোনাভাইসের প্রকোপ বাড়তে শুরু করলে ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়ায় পরীক্ষা নেওয়া আর সম্ভব হয়নি। সে কারণে জেএসসি এবং এসএসসির ফলের গড় করে ২০২০ সালের এইচএসসির ফল নির্ধারণ করা হয়েছে। পরীক্ষা ছাড়া ফল প্রকাশের জন্য আইনও সংশোধন করতে হয়েছে।
পরীক্ষা ছাড়াই আগের পরীক্ষার ভিত্তিতে এবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল তৈরিতে সাবজেক্ট ম্যাপিং পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে। কীভাবে এই সাবজেক্ট ম্যাপিং করা হয়েছে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি তা জানিয়েছেন। আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটিও এ বিষয়ে তাদের ব্যাখ্যা দিয়েছে।
জেএসসি ও সমমান পরীক্ষার ২৫ শতাংশ এবং এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ৭৫ শতাংশ বিষয়ভিত্তিক নম্বর বিবেচনা করে গতবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল নির্ধারণ করা হয়েছে। জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষার আবশ্যিক বাংলা, ইংরেজি ও আইসিটি বিষয়ের নম্বরের ২৫ শতাংশ এবং এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার আবশ্যিক বাংলা, ইংরেজি ও আইসিটি বিষয়ের নম্বরের ৭৫ শতাংশ বিবেচনা করে এইচএসসিতে আবশ্যিক বাংলা, ইংরেজি ও আইসিটি বিষয়ের নম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে।
বিজ্ঞান বিভাগের ক্ষেত্রে জেএসসি ও সমমান পরীক্ষার গণিত ও বিজ্ঞান বিষয়ে প্রাপ্ত গড় নম্বরের ২৫ শতাংশ এবং এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন ও উচ্চতর গণিত-জীববিজ্ঞান বিষয়ের ৭৫ শতাংশ নম্বর বিবেচনা করে যথাক্রমে এইচএসসির পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন ও উচ্চতর গণিত-জীববিজ্ঞান বিষয়ের নম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে।
ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের ক্ষেত্রে জেএসসি ও সমমান পরীক্ষার গণিত ও বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ে প্রাপ্ত গড় নম্বরের ২৫ শতাংশ ও এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার গ্রুপভিত্তিক তিনটি সমগোত্রীয় বিষয়ের ৭৫ শতাংশ নম্বর বিবেচনা করে যথাক্রমে এইচএসসির ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপের তিনটি সমগোত্রীয় বিষয়ের নম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে।
মানবিক ও অন্যান্য বিভাগের ক্ষেত্রে জেএসসি ও সমমান পরীক্ষার গণিত ও বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ে প্রাপ্ত গড় নম্বরের ২৫ শতাংশ এবং এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার গ্রুপভিত্তিক পর পর তিনটি বিষয়ের ৭৫ শতাংশ নম্বর বিবেচনা করে যথাক্রমে এইচএসসির মানবিক ও অন্যান্য গ্রুপের তিনটি বিষয়ের নম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে।
গ্রুপ পরিবর্তনের ক্ষেত্রে জেএসসি ও সমমান পরীক্ষার গণিত ও বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ে প্রাপ্ত গড় নম্বরের ২৫ শতাংশ ও এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার গ্রুপভিত্তিক পর পর তিনটি বিষয়ের ৭৫ শতাংশ নম্বর বিবেচনা করে যথাক্রমে এইচএসসির মানবিক ও অন্যান্য গ্রুপের তিনটি বিষয়ের নম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে বলে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটি জানিয়েছে।
জিপিএ উন্নয়নের ক্ষেত্রেও এসব পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছে। আংশিক বিষয়ের পরীক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে অকৃতকার্য বিষয়ের নম্বর দেওয়ার ক্ষেত্রেও ওপরে বর্ণিত পদ্ধতিতে ফলাফল নির্ধারণ করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে ঢাকা বোর্ডের সিস্টেম অ্যানালিস্ট মঞ্জুরুল কবীর জানান, আগের দুই পরীক্ষায় যারা চতুর্থ বিষয়ের জিপিএ মিলিয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন, তাদের কেউ কেউ এবার পদ্ধতিতে মূল্যায়নের ফলে পূর্ণাঙ্গ জিপিএ পাননি।
দুই পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে উচ্চ মাধ্যমিকের ফল তৈরিতে সাবজেক্ট ম্যাপিং করায় ওই দুই পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেলেও এবার ৩৯৬ জন শিক্ষার্থী তা পায়নি। আর জেএসসি-জেডিসি এবং এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় জিপিএ-৫ না পেলেও এবারের মূল্যায়নের ফলাফলে ১৭ হাজার ৪৩ শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। আগের পরীক্ষার ভিত্তিতে করা মূল্যায়নে এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৬১ হাজার ৮০৭ জন শিক্ষার্থী।
ফল প্রকাশকালে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানান, সাধারণ ও মাদ্রাসা বোর্ডের ক্ষেত্রে জেএসসি ও সমমান এবং এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার বিষয়গুলোকে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার বিষয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে ফল প্রস্তুত করা হয়েছে। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ক্ষেত্রে এসএসসি ও সমমান এবং একাদশ শ্রেণির পরীক্ষার বিষয়গুলোকে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার বিষয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রস্তুত হয়েছে ফল। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পরামর্শক কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে সাবজেক্ট ম্যাপিং করে ফল প্রকাশ করা হয়। সমন্বয়কৃত বিষয়ের প্রাপ্ত নম্বরের গড় মানের ভিত্তিতে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার বিষয়ভিত্তিক নম্বর প্রতিস্থাপন করে বিদ্যমান পদ্ধতিতে গ্রেড পয়েন্ট নির্ধারণের মাধ্যমে জিপিএ চূড়ান্ত করা হয়।
এ ছাড়া উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে গ্রুপ বা বিভাগ পরিবর্তনকারী পরীক্ষার্থী, বোর্ড পরিবর্তনকারী পরীক্ষার্থী, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আগত পরীক্ষার্থী, অনিয়মিত পরীক্ষার্থী, মানোন্নয়ন পরীক্ষার্থী, সমতুল্য সনদপ্রাপ্ত পরীক্ষার্থী ও প্রাইভেট পরীক্ষার্থীদের ফলাফল পরামর্শক কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে করা হয়। ফলে কোনো শিক্ষার্থী সংক্ষুব্ধ হলে পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করতে পারবে।
তিনি জানান, এবারের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা না হওয়ায় পরীক্ষার্থীদের ফরমপূরণ বাবদ আদায়কৃত অর্থের অব্যয়িত অংশ ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরীক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, যদি মূল্যবোধ তৈরি না হয়, তাহলে শুধু বেশি নম্বর পেয়ে কী হবে, মানবিক গুণে গুণান্বিত হও; চারপাশে তাকাও মানুষকে ভালোবাসো। নীতি-নৈতিকতা নিয়ে বেড়ে ওঠ, স্বদেশ প্রেমে উজ্জীবিত হও, নিঃস্বার্থ চিত্তে মানবকল্যাণে নিবেদিত হও।
দীপু মনি অভিভাবকদের প্রতি বলেন, আপনার সন্তানকে অসুস্থ প্রতিযোগিতার দিকে ঠেলে দেবেন না, স্বার্থপর হিসেবে গড়ে তুলবেন না। দেশের কল্যাণে, মানুষের কল্যাণে নিয়োজিত হওয়ার শিক্ষা যদি আপনার সন্তান না পায়, মনে রাখবেন এ শিক্ষা অর্থবহ হবে না, শিক্ষার আসল উদ্দেশ্যই ব্যাহত হবে।
শিক্ষকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, যারা শিক্ষকতা পেশায় আছেন, আপনাদের দায়িত্ব অনেক বেশি। শিক্ষার গুণগত পরিবর্তনে বিষয়ভিত্তিক মানসম্পন্ন শিক্ষাদানে আপনাদের ভূমিকাই প্রধান। মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন নাগরিক তৈরির ক্ষেত্রেও আপনারাই রাখতে পারেন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। করোনাভাইসের প্রকোপ বাড়তে শুরু করলে ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়।
তার আগে এসএসসি পরীক্ষা হয়ে গেলেও আটকে যায় এইচএসসি পরীক্ষা। পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল ১ এপ্রিল থেকে। মাসের পর মাস অপেক্ষা করেও পরীক্ষা নেওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি না হওয়ায় গত ৭ অক্টোবর এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী জানান, পঞ্চম ও অষ্টমের সমাপনীর মতো এইচএসসি পরীক্ষাও নেওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু আইনে পরীক্ষা নিয়ে ফল প্রকাশের বিধান থাকায় তা সংশোধন করে বিশেষ পরিস্থিতিতে পরীক্ষা ছাড়াই ফল প্রকাশের বিধান যুক্ত করতে হয়েছে, যা গত সপ্তাহে জাতীয় সংসদের অনুমোদন পায়।
সংসদে পাস হওয়া তিনটি বিলে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সই করার পর সোমবার রাতে ‘ইন্টারমিডিয়েট অ্যান্ড সেকেন্ডারি এডুকেশন (অ্যামেন্ডমেন্ট) অ্যাক্ট-২০২১’ ‘বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড (সংশোধন) অ্যাক্ট-২০২১’, ‘বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড (সংশোধন) অ্যাক্ট-২০২১’ গেজেট আকারে জারি করে সরকার। এরপর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রস্তুত, ঘোষণা ও সনদ বিতরণের জন্য শিক্ষা বোর্ডগুলোকে ক্ষমতা দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।