Type to search

Lead Story রাজনীতি

লাগাতার কর্মসূচির ঘোষণা দেবে বিএনপি

রাজধানীতে আগামীকাল বৃহস্পতিবারের ক্ষমতাসীন ও সরকারবিরোধীদের পাল্টাপাল্টি শান্তি সমাবেশ ও মহাসমাবেশ ঘিরে জনমনে ব্যাপক উৎকণ্ঠা চলছে। এর মধ্যেই নিজ নিজ কর্মসূচি সফল করতে সর্বাত্মক প্রস্তুতি চলছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি উভয় দলেই। বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মীকে ঢাকায় জড়ো করার পরিকল্পনাও নিয়েছে উভয় পক্ষ। এ লক্ষ্যে সমাবেশ-মহাসমাবেশের ভেন্যু হিসেবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের অনুমতিও চাওয়া হয়েছে সরকারি ও বিরোধী দলের পক্ষ থেকে। একই স্থানে দুই পক্ষের কর্মসূচি পালনের অনুমতি চাওয়ার বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত দেওয়া না হলেও এ বিষয়ে কৌতূহলের সৃষ্টি হয়েছে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে।

সরকার পদত্যাগের এক দফা দাবিতে ‘চূড়ান্ত’ আন্দোলনে নামছে বিএনপি। কাল বৃহস্পতিবারের মহাসমাবেশই হবে এ আন্দোলনের ‘টার্নিং পয়েন্ট’। কয়েক লাখ লোকের সমাগম ঘটিয়ে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় সমাবেশে পরিণত করতে চায় দলটি। সমাবেশ ঘিরে কোনো সংঘাত ও সহিংসতা ঘটলে লাগাতার কর্মসূচি দেবে তারা। আর শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ শেষ হলে শুক্র ও শনিবার বাদ দিয়ে রোববার থেকেই রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন কার্যালয় ঘেরাও এবং অবস্থানের মতো টানা বড় ধরনের কর্মসূচি দেবে বিরোধী দলটি। একই সঙ্গে পৃথক স্থানে সমাবেশ করবে যুগপৎ আন্দোলনের শরিক বিএনপির সমমনা দল ও জোটগুলো। আগস্ট মাসেই আন্দোলনের ‘ফসল’ ঘরে তুলতে রাজপথে সর্বশক্তি দিয়ে ‘ফয়সালা’ করতে চায় তারা।

দলীয় সূত্র জানায়, আগামী সংসদ নির্বাচনের আগাম তপশিল ঘোষণার আশঙ্কা করছে বিএনপি। একই সঙ্গে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে চূড়ান্ত আন্দোলনের রোডম্যাপ এগিয়ে এনেছে ১৭ বছর ক্ষমতার বাইরে থাকা দলটি। এর আগে সেপ্টেম্বরে চূড়ান্ত আন্দোলনের কর্মসূচি দেওয়ার পরিকল্পনা থাকলেও পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তা পরিবর্তন করে তারা। সার্বিক বিষয় অবহিত করতে গতকাল মঙ্গলবার রাতে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে তাঁর গুলশানের বাসভবনে সাক্ষাৎ করেছেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, অবৈধ সরকারকে অনেক সময় দেওয়া হয়েছে। গণতন্ত্র, দেশ ও জনগণের অনেক ক্ষতি করে ফেলেছে তারা। দীর্ঘ ১৫ বছর ভিন্ন কায়দায় তারা আবার একদলীয় বাকশালের চরিত্র ধারণ করেছে। সারাদেশের মানুষ জেগে উঠেছে। গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার হরণকারী আওয়ামী লীগকে আর ভোটের নামে প্রতারণা করতে দেবে না। তরুণ প্রজন্ম নিজের ভোট নিজে দিতে চায়। মৌলিক মানবাধিকার হারানো জনগণ গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে এ সরকারকে বিদায় করতে ঐক্যবদ্ধ। মহাসমাবেশে লাখ লাখ মানুষের উপস্থিতির মাধ্যমেই নির্দলীয় সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে সরকারকে চূড়ান্ত বার্তা দেওয়া হবে।

একই সঙ্গে তিনি বলেন, এ সরকারের অধীনে নির্বাচনের আলোচনার আর কোনো সুযোগ নেই। এখন মাত্র পদত্যাগই শেষ কথা। সমাবেশে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটালে তার দায় সরকারকেই বহন করতে হবে বলে জানান তিনি।

বিএনপি ও সমমনা রাজনৈতিক দলের নেতাদের সূত্রে জানা গেছে, কাল বৃহস্পতিবার থেকে একটানা কর্মসূচি নিয়ে তারা রাজপথে থাকবেন। মাঝখানে শুক্রবার গতানুগতিক কর্মসূচি হিসেবে এক দফার প্রতি জনসমর্থন বাড়াতে, কর্মসূচিতে লোকসমাগম ঘটাতে লিফলেট বিতরণের মতো কর্মসূচি থাকতে পারে। শনিবার একযোগে রাজধানীর একাধিক স্থানে সমাবেশ কর্মসূচি বিষয়ে পরিকল্পনা চলছে। তবে রোববার থেকে একের পর এক বড় কর্মসূচি ঘোষণার প্রস্তুতি গ্রহণ করছে বিএনপিসহ ৩৭টি দল। এসব কর্মসূচির মধ্যে সচিবালয়, গণভবন, বঙ্গভবন, নির্বাচন কমিশন ঘেরাও এবং অবস্থানের মতো কঠোর কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা চলছে। এবারের কর্মসূচির ক্ষেত্রেও দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটি, সমমনা জোট গণতন্ত্র মঞ্চ, এলডিপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও জোটের শীর্ষ নেতাদের মতামত নিয়ে চূড়ান্ত করা হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে প্রতিদিনের কর্মসূচি প্রতিদিন ঘোষণা করার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত রয়েছে। সবার সঙ্গে আলোচনার পর কর্মসূচি চূড়ান্ত করবেন বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব।

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, আর সময় নেই। চূড়ান্ত কর্মসূচিতে চলে যাচ্ছেন তারা। সরকারকে অনেক সময় দেওয়া হয়েছে। এখনও সময় আছে। আর সময় দেওয়ার সুযোগ নেই। দাবি আদায়ে তারা টানা কর্মসূচি দিতে বাধ্য হচ্ছেন। এ বিষয়ে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির সঙ্গে তাদের বৈঠকে কর্মসূচি ও কৌশল নিয়ে আলোচনা করা হয়, মতামত নেওয়া হয়। তবে চূড়ান্ত কর্মসূচি নেওয়ার ক্ষেত্রে বিএনপির শীর্ষ নেতারা ভূমিকা পালন করেন।

টার্গেট আগস্ট

বিএনপি নেতারা জানান, দেশের অভ্যন্তরীণ অর্থনৈতিক অবস্থা, দ্রব্যমূল্যসহ নানা সংকটে চাপে রয়েছে সরকার। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক চাপেও সরকার অনেকটা কোণঠাসা অবস্থায়। সর্বশেষ ভিসা নীতির কারণে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মী ছাড়াও প্রশাসনের মধ্যে এক ধরনের ভীতির সঞ্চার হয়েছে। তবে এসব সংকটকে তোয়াক্কা করতে চাইছে না সরকার। তারা আবারও একতরফা নির্বাচনের দিকে হাঁটতে চায়। দেশ-বিদেশের চাপ আমলে না নিয়ে বিরোধী দলহীন নির্বাচনের সব আয়োজন সম্পন্ন করছে। এ অবস্থায় সরকারকে আর সময় দেওয়া হলে নির্বাচনী তপশিল ঘোষণাসহ আন্দোলন দমনে সব প্রক্রিয়া অবলম্বন করবে। তাই কোনো অবস্থায় আর সেই সুযোগ দিতে চাইছে না বিএনপিসহ সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো।

দলটির নীতিনির্ধারক সূত্র জানায়, দলের নেতাকর্মী এখন চাঙ্গা অবস্থায় রয়েছে। নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষায় সর্বোচ্চ ভূমিকা নিয়ে মাঠে থাকছে তারা। তাদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে দেশের অন্যান্য বিরোধী দল ছাড়াও বিএনপির কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করছে সাধারণ মানুষও। নানা মত ও পথের পেশাজীবী-বুদ্ধিজীবীসহ সমাজের প্রতিটি শ্রেণি এখন পরিবর্তন চায়। আর এটা কাজে লাগিয়ে আন্দোলনকে সফল করতে চাইছেন দলের হাইকমান্ড। এ লক্ষ্যে ক্ষমতাসীন দলকে দাবি মানতে বাধ্য করার উপযুক্ত সময় হিসেবে আগস্ট মাসকেই বেছে নিয়েছেন তারা। এর ব্যত্যয় ঘটলে তপশিল ঘোষণার মাধ্যমে সেপ্টেম্বর মাসেই নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় প্রবেশ করবে তারা। তাই যে কোনোভাবে হোক, আগস্ট মাসের মধ্যে আন্দোলনের ফসল ঘরে তুলতে মরিয়া বিএনপি। প্রাথমিকভাবে আগস্টের প্রথম দিকেই টার্গেট করা হয়েছে।

গণতন্ত্র মঞ্চের অন্যতম নেতা ও নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, এ সরকারের ওপর জনগণের কোনো আস্থা নেই। তাদের সঙ্গে এখন কেউ নেই। শুধু আজ্ঞাবাহ প্রশাসন দিয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চাইছে তারা। তবে জনগণ এবার জেগে উঠেছে; রাজপথে নেমেছে। তাদের এবার যেতেই হবে।

চলছে জোর প্রস্তুতি

আন্দোলন কর্মসূচি সফল করতে সারাদেশ থেকে নেতাকর্মীর ঢাকায় আসার নির্দেশনা দিয়েছেন দলটির হাইকমান্ড। দলের এমন নির্দেশনায় আন্দোলনের দ্বিতীয় ধাপের ঘোষিত এ ‘মহাসমাবেশ’ কর্মসূচি সফল করতে নেতাকর্মী বিভিন্নভাবে ঢাকায় আসছেন। গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত বাধাহীনভাবে বিভিন্ন এলাকা থেকে ঢাকায় প্রবেশ করতে সক্ষম হয়েছেন তারা। আজ বুধবারের মধ্যে বেশির ভাগ নেতাকর্মী ঢাকায় চলে আসবেন বলে আশাবাদী দলটির দায়িত্বশীল নেতারা। দলের নেতাকর্মী ছাড়াও বিগত দিনে বিএনপি সমর্থিত ইউপি চেয়ারম্যান, উপজেলা চেয়ারম্যানসহ যে কোনো পর্যায়ের জনপ্রতিনিধিদেরও এ কর্মসূচিতে থাকতে বলা হয়েছে। তারাও নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী ঢাকায় চলে আসছেন। অনেকে আসার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এসবের বাইরে ঢাকা মহানগরীর নেতাকর্মীও মহাসমাবেশ সফল করতে সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করছেন। ওয়ার্ড-থানা থেকে শুরু করে প্রতিটি স্তরে যৌথ সভা, প্রস্তুতি সভার মাধ্যমে ব্যাপক লোকসমাগমের নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। এলাকাভিত্তিক দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে থানা ও মহানগর নেতাদের। গতকাল মঙ্গলবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সেখানেও তিনি মহাসমাবেশ সফল করতে নির্দিষ্ট দায়িত্ব বণ্টন করে দেন। এ ছাড়া শৃঙ্খলা, ব্যবস্থাপনাসহ বিভিন্ন উপকমিটিও গঠন করেছে কেন্দ্রীয় বিএনপি। যারা ইতোমধ্যে নিজেদের দায়িত্ব পালন করতে নানা প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে প্রচার-প্রচারণা উপকমিটির নেতৃত্বে শুধু ঢাকাতেই এক লাখের ওপর পোস্টার লাগানো হয়েছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু সমকালকে বলেন, এ সরকারের অত্যাচার-নির্যাতন আর ভয়াবহ লুটপাটে দেশের মানুষ অতিষ্ঠ। তারা ক্ষুব্ধ; এ অবস্থার পরিবর্তন চায়। এ জন্য বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর কর্মসূচিতে ব্যাপক লোকসমাগম ঘটছে। এখন গণঅভ্যুত্থানের জন্য সবাই অপেক্ষা করছে। আর সেটা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মধ্য দিয়েই বিএনপি অর্জন করবে। সরকারের কোনো উস্কানির ফাঁদে তারা পা দেবে না।

ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে নজর

মহাসমাবেশে আগত নেতাকর্মীর আসা-যাওয়া নির্বিঘ্ন করতে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে স্থানীয় নেতাকর্মীর অবস্থান থাকবে। আসা-যাওয়ার নিরাপত্তায় সেসব এলাকার নেতাকর্মীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ থেকে কোনো বাধা দেওয়ার চেষ্টা হলে পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তুলে যে কোনো উপায়ে সমাবেশে আসার জন্য কড়া বার্তা রয়েছে দলটির।

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক জানান, মহাসমাবেশে আট লাখের ওপর জনসমাগম ঘটবে। শুধু ঢাকা মহানগরেই নেতাকর্মীর সঙ্গে সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণে লোকে লোকারণ্য ঘটবে। ইতোমধ্যে সব প্রস্তুতি শেষ করেছেন তারা। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবীন জানান, তারা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করার ঘোষণা দিয়েছেন। কোনোভাবেই উস্কানিতে পড়তে চান না তারা। তবে এবার বাধা দিলে, হামলা করলে নেতাকর্মী ছেড়ে কথা বলবে না।

নয়াপল্টন, না সোহরাওয়ার্দী চূড়ান্ত আজ

বিএনপির মহাসমাবেশের ভেন্যু এখনও নির্ধারিত হয়নি। আজ বুধবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) থেকে ভেন্যুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে। বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী জানান, গত সোমবার তারা তাদের মহাসমাবেশের জন্য রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান কিংবা নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের স্থানের জন্য ডিএমপিকে চিঠি দিয়েছেন। কিন্তু গতকাল পর্যন্ত ডিএমপি থেকে কিছু জানানো হয়নি। তবে তিনি নিজে ডিএমপি কমিশনারকে ফোন করলে জানানো হয়, বুধবার সকালের মধ্যে ভেন্যু নির্ধারণ করা হবে।

অবশ্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের তিন সংগঠনও সমাবেশের অনুমতি চেয়েছে। এ পরিস্থিতিতে পুলিশ কী সিদ্ধান্ত নেবে, তার অপেক্ষায় আছে বিএনপি। এদিকে সমমনা অন্যান্য জোটের মধ্যে গণতন্ত্র মঞ্চ রাজধানীর মৎস্য ভবনের সামনে মহাসমাবেশ করবে। তবে আওয়ামী লীগ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি পেলে তারা সংঘাত এড়াতে সেখান থেকে সরে পুরানা পল্টন এলাকায় মহাসমাবেশ করবে। তাও আজ নির্ধারণ করা বলে জানা গেছে। ১২ দলীয় জোটের উদ্যোগে বিজয়নগর পানির ট্যাঙ্কের সামনে মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের উদ্যোগে পুরানা পল্টনে আল রাজী কমপ্লেক্সের সামনে; এলডিপির উদ্যোগে পান্থপথে দলীয় কার্যালয়ের সামনে, গণফোরামের উদ্যোগে আরামবাগ দলীয় কার্যালয়ের সামনে, গণঅধিকার পরিষদের (নুর) পুরানা পল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।

ঢাকায় অবস্থান নেবেন জেলার নেতাকর্মী

বিভিন্ন জেলা থেকে আসা নেতাকর্মীরা জানান, এবার শুধু মহাসমাবেশ নয়, দলের ঘোষিত এক দফার আন্দোলন সফল করেই তারা বাড়ি ফিরবেন। এ জন্য তারা বেশ কিছুদিন ঢাকায় অবস্থান নেওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে এসেছেন। ঢাকায় মেস কিংবা হোটেল এড়িয়ে আত্মীয়স্বজনের বাসাবাড়িতে বেশির ভাগ নেতাকর্মী উঠেছেন বলে জানা গেছে। জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহিদউদ্দিন স্বপন বলেন, মহাসমাবেশ থেকেই সরকারের বিদায়ের ঘণ্টা বাজবে। আমরা আশা করব, সরকার শুভবুদ্ধির পরিচয় দিয়েই বিদায় নেবে।-সমকাল

এবিসিবি/এমআই

Translate »