রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকটের দীর্ঘমেয়াদি ও টেকসই সমাধান খুঁজছে জাপান

জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, তার দেশ রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনের জন্য সক্রিয় পরিবেশ তৈরি করতে যথাসাধ্য চেষ্টা করবে এবং যখনই উপযুক্ত সময় আসবে, তখনই মিয়ানমার পক্ষের কাছে বিষয়টি উত্থাপন অব্যাহত রাখবে।
কসমস গ্রুপের জনহিতকর প্রতিষ্ঠান কসমস ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘বাংলাদেশ-জাপান সম্পর্ক : ভবিষ্যতের পূর্বাভাস’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল সংলাপে ইতো এসব কথা বলেন।
রোববার অনুষ্ঠিত এ সংলাপে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন কসমস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এনায়েতুল্লাহ খান। সভাপতিত্ব করেন প্রখ্যাত কূটনীতিক ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা ড. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী।
সভায় আলোচক প্যানেলে ছিলেন ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) বিশেষ দূত মো. আবুল কালাম আজাদ, জাইকার বাংলাদেশ অফিসের প্রধান প্রতিনিধি হায়াকাওয়া ইউহো, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ডা. সালেহউদ্দিন আহমেদ, টোকিওর স্যাক্রেড হার্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মাসাকা ওহাশি, লেখক ও কলামিস্ট মনজুরুল হক, টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েট স্কুল অব পাবলিক পলিসির ডিন অধ্যাপক তাকাহারা আকিও এবং সাবেক রাষ্ট্রদূত তারিক এ করিম।
রাষ্ট্রদূত ইতো জানান, যখন তারা এ অঞ্চলের স্থিতিশীলতা ও শান্তির কথা বলেন, তখন মানবিক সহায়তা এবং মানবিক সংকট খুব বড় একটি বিষয় হয়ে দাঁড়ায়।
তিনি বলেন, ১ ফেব্রুয়ারির সামরিক অভ্যুত্থানের পর মিয়ানমারের বর্তমান পরিস্থিতির আলোকে এ মুহূর্তে দেশটিতে কী ঘটছে তা অনুমান করা খুব কঠিন। মিয়ানমার এখন কোন দিকে চলছে, সে সম্পর্কে কোনো স্পষ্ট চিত্র নেই। এখন সেখানকার পরিস্থিতি সম্পর্কে প্রকৃতপক্ষে কেউই সুস্পষ্ট ধারণা দিতে পারবেন না।
তারিক এ করিম বলেন, আশা করছি ২০২২ সালে অনুষ্ঠিতব্য জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের নির্বাচনে অস্থায়ী সদস্য প্রার্থী জাপান নিরাপত্তা পরিষদে এ ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।