Type to search

Lead Story জাতীয় স্বাস্থ্য

রিজেন্ট হাসপাতাল কেলেঙ্কারি: স্বাস্থ্যের সাবেক ডিজিসহ ৬জনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট

করোনাভাইরাস রোগীর নমুনা পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট দিয়ে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সমালোচিত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদসহ ৬ জনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট পেশ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

এই চার্জশিটে কারাগারে গ্রেফতার রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমের নামও রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) তদন্ত কর্মকর্তা দুদক উপপরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশের কাছে চার্জশিটটি পেশ করেন। সিনিয়র স্পেশাল জজ চার্জশিটটি দেখেছেন। তার নির্দেশনা অনুযায়ী মামলাটির বিচারকার্য শুরু হবে।

করোনা রোগীর নমুনা পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট দিয়ে ও সংশ্লিষ্ট ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের খাবার খরচ বাবদ ভুয়া বিলের মাধ্যমে সরকারের ৩ কোটি ৩৪ লাখ ৬ হাজার পাঁচশ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল দুদক।

গত বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর মামলাটির তদন্তে আসামি হিসেবে স্বাস্থ্যের সাবেক ডিজি আবুল কালাম আজাদের নাম এসেছে।

চার্জশিটভুক্ত অন্য আসামিরা হলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক আমিনুল হাসান, উপ-পরিচালক (হাসপাতাল-১) ডা: মো. ইউনুস আলী, সহকারী পরিচালক (হাসপাতাল-১) ডা. মো. শফিউর রহমান ও গবেষণা কর্মকর্তা ডা. মো. দিদারুল ইসলাম।

চার্জশিটে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজসে ক্ষমতার অপব্যবহার করে লাইসেন্স নবায়নবিহীন বন্ধ রিজেন্ট হাসপাতালকে ডেডিকেটেড কোভিড হাসপাতালে রূপান্তর, মেমোরেন্ডাম অব আন্ডারস্ট্যান্ডিং (এমওইউ) সম্পাদন ও সরকারি প্রতিষ্ঠান নিপসমের ল্যাবে ৩ হাজার ৯৩৯ জন কোভিড রোগীর নমুনা বিনামূল্যে পরীক্ষা করিয়েছেন। অথচ প্রতি রোগীর কাছ থেকে ৩ হাজার ৫০০ টাকা হিসেবে মোট ১ কোটি ৩৭ লাখ ৮৬ হাজার ৫০০ টাকা অবৈধভাবে নেওয়া হয়েছে।

এছাড়া রিজেন্ট হাসপাতালের মিরপুর ও উত্তরা শাখার চিকিৎসক, নার্স, ওয়ার্ডবয় ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের খাবার খরচ বিষয়ে ১ কোটি ৯৬ লাখ ২০ হাজার টাকা আতামসাৎ করা হয়। সব মিলিয়ে আত্মসাৎ করা হয় মোট ৩ কোটি ৩৪ লাখ ৬ হাজার ৫০০ টাকা।

আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/১০৯ ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন-১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় চার্জশিটটির অনুমোদন দিয়েছে কমিশন।-সমকাল

এবিসিবি/এমআই

Translate »