রাজধানীতে সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থীর মৃত্যু, চালক ও হেলপার গ্রেপ্তার

রাজধানীর রামপুরায় সোমবার (২৯ নভেম্বর) রাতে বাসচাপায় ১ শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার পর ক্ষুব্ধ জনতা ১২টি বাসে আগুন দিয়েছে। এ ছাড়া অন্তত ভাঙচুর করা হয়েছে ৪০টি বাস। মধ্যরাত পর্যন্ত সড়কে অবস্থান নিয়ে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর চালায় ক্ষুব্ধ জনতা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাতে রামপুরা বাজার এলাকায় বাস চাপায় মো. মাইনুদ্দিন ওরফে মাইনুল নিহত হয়। এ সময় সাদ্দাম হোসেন নামের আরও ১ পথচারী আহত হন বলে জানা গেছে।
এবার একরামুন্নেছা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল মাইনুল। তার নিহতের খবরে বন্ধু, সহপাঠী ও এলাকাবাসী বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। রাস্তা অবরোধ করে বাসে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর শুরু করে তারা। রাত পৌনে ১টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এলাকাবাসী সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছিল। এতে রামপুরা থেকে মালিবাগ পর্যন্ত দু’পাশে বন্ধ হয়ে যায় গাড়ি চলাচল। ফলে আশপাশ এলাকায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ।
পুলিশ জানান, দুর্ঘটনায় জব্দ করা হয়েছে দায়ী অনাবিল পরিবহনের বাসটি। এর চালক ও হেলপারকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার বিবরণ দিয়ে মৃত্যু মাইনুদ্দিনের সহপাঠী মো. সবুজ জানায়, পরীক্ষা শেষ হওয়ায় উলুন রোডের বাসায় আড্ডা দিচ্ছিল তারা। রাত পৌনে ১১টার দিকে আড্ডা শেষে রাস্তা পার হয়ে ডিআইটি রোডের বাসায় যাচ্ছিল মাইনুল। তখন অনাবিল পরিবহনটি সে হাত দিয়ে থামানোর চেষ্টা করলেও সেটি তার ওপর উঠিয়ে দেওয়া হয়। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হয় মাইনুল।
পুলিশের মতিঝিল বিভাগের এডিসি নুরুল আমিন বলেন, ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে পুলিশ। মৃত্যু ছাত্রের সহপাঠীরাও পুলিশকে সহায়তা করেছে। তবে বাইরের কেউ ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করতে পারে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় অতিরিক্ত মোতায়েন করা হয় পুলিশ।
এবিসিবি/এমআই