মিয়ানমারে এবার নীরব ধর্মঘট, বিক্ষোভে প্রাণহানিতে সামরিক বাহিনীর দুঃখপ্রকাশ
মিয়ানমার সামরিক বাহিনী নির্বিচার গুলি চালাচ্ছে বিক্ষোভে। মঙ্গলবারও ৭বছরের একটি শিশু মেয়েকে গুলি করেছে। একইসাথে গত কয়েক সপ্তাহে বহু মানুষ মেরেছে। আরও কত পদক্ষেপ বিক্ষোভ থামাতে। এরপরও থেমে নেই মানুষ। বরং তাদের কঠোর থেকে কঠোরতর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি। তবে এবার বিক্ষোভের ধরন পাল্টাচ্ছে।
অভিনব ও নতুন নতুন বিক্ষোভ পরিকল্পনার ‘নীরব ধর্মঘট’ সর্বশেষ ধরন। বার্তাসংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, বুধবার (২৪ মার্চ) মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থি বিক্ষোভকারীরা বিক্ষোভের আরও পরিকল্পনা করেছেন। ‘নীরব ধর্মঘট’ অর্থাৎ ‘অল শাটডাউন’ তারা করবেন। ঘর থেকে বের হবেন না, কোনো ধরনের ব্যবসার সাথে জড়াবেন না, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানও বন্ধ রাখবেন। ইতোমধ্যে তারা ঘরে থাকার আহ্বানও জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) মান্দালয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর কঠোর ব্যবস্থার কারণে আরও কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। গত ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের পর এ পর্যন্ত প্রায় ২৬১ জনের মৃত্যু হয়েছে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে। তাতেও পিছু নামাতে পারেনি বিক্ষোভকারীদের। তবে মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) নিজের ঘরে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে একটি ৭বছরের শিশু মারা যাওয়ার পর বিকল্প কৌশল বিক্ষোভকারীদের।
দুঃখপ্রকাশ করে এক ব্যক্তি রয়টার্সকে জানিয়েছেন, নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে ৭বছরের একটি শিশু মারা গেছে। গত ১ ফেব্রুয়ারির অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভে রক্তক্ষয়ী যত ঘটনা ঘটেছে, এরমধ্যে সবচেয়ে এটি নির্মম। কনিষ্ঠতম ১ জন ভিকটিম।
প্রতিবেদন জানানো হয়েছে, মেয়েটির বাবাকে গুলি করেছিলেন সেনা সদস্যরা। কিন্তু মেয়েটি বাড়ির ভেতরে তার পিতার কোলে বসেছিল; সে-ই গুলিবিদ্ধ হয়। পরে তার বোন সংবাদমাধ্যম মিয়ানমার নাও-কে বিষয়টি বলেন। এছাড়া এ জেলায় মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) আরও ২জনকে হত্যা করা হয়।যদিও সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে এ ঘটনায় এখনও কোন মন্তব্য করা হয়নি।